মোট আক্রান্ত ৫১,৪০৪ জন, মৃত্যু ২১৭
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৭১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার,(০৭ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৫১ হাজার ৪০৪ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭০ জন, ঢাকা বিভাগে ১৪২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৪১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১৪ জন, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩২ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে।
নিহত ২ জনের মধ্যে ঢাকা উত্তরে ১ জন ও ঢাকা দক্ষিণে ১ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বয়সভেদে ৫ বছর বয়সের ৩৩জন, ৬-১০ বছর বয়সের ২৮ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৪৪ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৮৫ জন। এভাবে শিশু থেকে বয়স্ক পর্যন্ত নানা বয়সে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে।
হাসপাতালের তথ্যমতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৪ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫৮ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১৬ জন, সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে ৩৯ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৬৩ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১২৩ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ৬৪৩ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ভর্তি আছে ২৫২০ জন।
কীটতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার তরুণ ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে সর্বাধিক। ১৬-৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে আক্রাতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। মৃত্যুও তুলনামূলক বেশি। এর অর্থ দাঁড়ায় দেশের সক্রিয় কর্মশক্তি ও শ্রেণীই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাশার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, ডেঙ্গু ব্যর্থতার মূল কারণ মশক নিধন কার্যক্রম এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। সিটি করপোরেশন কাগজে-কলমে কর্মসূচি নিলেও বাস্তবে তার কার্যকারিতা সীমিত। অনেক এলাকায় এখনও সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনার বিজ্ঞানভিত্তিক প্রয়োগ করা হয় না।
জনসচেতনতার ঘাটতিও রয়েছে। অনেক পরিবারে এখনও ডেঙ্গু প্রতিরোধে যথেষ্ট সতর্ক নয় ,ফুলের টব, পানি রাখার কলস, বালতি, নির্মাণাধীন ভবনের জমা থাকা পানি, ড্রামের মতো জায়গায় সহজেই এডিস মশার প্রজনন হচ্ছে। সমন্বয়হীনতা বড় একটি সমস্যা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতাও এখানে বড় ভূমিকা রাখছে। সরকারি হাসপাতালে প্রতিদিন নতুন রোগীর চাপ বাড়ছে।
সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত প্লাজমা বা প্লাটিলেট না পাওয়া গেলে রোগীর জীবন রক্ষা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ছুটছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোট আক্রান্ত ৫১,৪০৪ জন, মৃত্যু ২১৭
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৭১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার,(০৭ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৫১ হাজার ৪০৪ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭০ জন, ঢাকা বিভাগে ১৪২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৪১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১৪ জন, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩২ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে।
নিহত ২ জনের মধ্যে ঢাকা উত্তরে ১ জন ও ঢাকা দক্ষিণে ১ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বয়সভেদে ৫ বছর বয়সের ৩৩জন, ৬-১০ বছর বয়সের ২৮ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৪৪ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৮৫ জন। এভাবে শিশু থেকে বয়স্ক পর্যন্ত নানা বয়সে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে।
হাসপাতালের তথ্যমতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৪ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫৮ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১৬ জন, সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে ৩৯ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৬৩ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১২৩ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ৬৪৩ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ভর্তি আছে ২৫২০ জন।
কীটতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার তরুণ ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে সর্বাধিক। ১৬-৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে আক্রাতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। মৃত্যুও তুলনামূলক বেশি। এর অর্থ দাঁড়ায় দেশের সক্রিয় কর্মশক্তি ও শ্রেণীই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাশার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, ডেঙ্গু ব্যর্থতার মূল কারণ মশক নিধন কার্যক্রম এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। সিটি করপোরেশন কাগজে-কলমে কর্মসূচি নিলেও বাস্তবে তার কার্যকারিতা সীমিত। অনেক এলাকায় এখনও সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনার বিজ্ঞানভিত্তিক প্রয়োগ করা হয় না।
জনসচেতনতার ঘাটতিও রয়েছে। অনেক পরিবারে এখনও ডেঙ্গু প্রতিরোধে যথেষ্ট সতর্ক নয় ,ফুলের টব, পানি রাখার কলস, বালতি, নির্মাণাধীন ভবনের জমা থাকা পানি, ড্রামের মতো জায়গায় সহজেই এডিস মশার প্রজনন হচ্ছে। সমন্বয়হীনতা বড় একটি সমস্যা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতাও এখানে বড় ভূমিকা রাখছে। সরকারি হাসপাতালে প্রতিদিন নতুন রোগীর চাপ বাড়ছে।
সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত প্লাজমা বা প্লাটিলেট না পাওয়া গেলে রোগীর জীবন রক্ষা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ছুটছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।