ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দেশের রাজনীতিতে আদর্শিক বিভাজন থাকছে না বলে মন্তব্য করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, কোনো একটি মতবাদের প্রতি পুরোপুরি সমপর্ণ-সেটা আর নেই। কে ডান আর কে বাম, তার মধ্যে বিভেদ দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতির সঙ্গে অনেক মাত্রা যুক্ত হয়েছে, যেমন ধর্মীয়, নৃতাত্ত্বিক। ফলে রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে তার সঙ্গে খাপ খাওয়াবে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
মঙ্গলবার,(০৭ অক্টোবর ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের যে পরিস্থিতি তাতে মানুষ এখন টেকসই, জবাবদিহিমূলক ও গণতান্ত্রিক সমাজে উত্তরণ ঘটাতে চায়। আপাতত সেটা হলেই আমরা সন্তুষ্ট। ওই ধরনের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলে আমরা নানা চিন্তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে পারবো।’
‘অ্যাপোসলস অব ডেভেলপমেন্ট: সিক্স ইকোনমিস্টস অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড দে মেইড’ শীর্ষক বই নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করে বিআইডিএস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহামান সোবহান। বক্তব্য দেন বইটির লেখক ডেভিড সি এঙ্গারম্যান।
দক্ষিণ এশিয়ার ছয়জন অর্থনীতিবিদ-বাংলাদেশের রেহমান সোবহান, পাকিস্তানের মাহবুব উল হক, শ্রীলঙ্কার লাল জয়বর্ধনে, ভারতের অমর্ত্য সেন, জগদীশ ভাগবতী ও মনমোহন সিং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে উন্নয়নশীল বিশ্বের উন্নয়ন তত্ত্বে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছেন। এ বিষয়ে ‘অ্যাপোসলস অব ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক বই লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ইতিহাসের অধ্যাপক ডেভিড সি এঙ্গারম্যান।
রেহমান সোবহান তার বন্ধুদের অর্থাৎ ছয় অর্থনীবিদ নিয়ে আলোকপাত করেছেন। কার চিন্তাধারা কেমন ছিল, তাদের মধ্যে কী নিয়ে বিতর্ক হতো, এসব নিয়ে কথা বলেন তিনি।
রেহমান সোবহান বলেন, ‘এমন এক সময় ছিল, যখন অনেকেই মনে করতেন, উন্নয়নের জন্য শক্তিশালী রাষ্ট্র প্রয়োজন। কিন্তু পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যকার বৈষম্য বাজারব্যবস্থার কারণে ছিল না, ছিল রাষ্ট্রীয় কারণে। পাকিস্তান রাষ্ট্রই এ বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সে কারণে স্বাধীনতার পর জাতীয়করণের প্রয়োজন হয়েছিল। কেননা তখন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে পুঁজি বা পুঁজিপতি ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, এত দিন ধরে এত কিছু করার পরও সমাজে বৈষম্য থেকে যাচ্ছে। এর কোনো সংশোধন ঘটছে না।
এ বৈষম্য দূর না হলে সমাজে ন্যায্যতা আসবে না বলে মন্তব্য করেন রেহমান সোবহান।
অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক বিনায়ক সেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এমএম আকাশ।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক একে এনামুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও মোস্তাফিজুর রহমান এবং নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
দেশের রাজনীতিতে আদর্শিক বিভাজন থাকছে না বলে মন্তব্য করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, কোনো একটি মতবাদের প্রতি পুরোপুরি সমপর্ণ-সেটা আর নেই। কে ডান আর কে বাম, তার মধ্যে বিভেদ দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতির সঙ্গে অনেক মাত্রা যুক্ত হয়েছে, যেমন ধর্মীয়, নৃতাত্ত্বিক। ফলে রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে তার সঙ্গে খাপ খাওয়াবে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
মঙ্গলবার,(০৭ অক্টোবর ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের যে পরিস্থিতি তাতে মানুষ এখন টেকসই, জবাবদিহিমূলক ও গণতান্ত্রিক সমাজে উত্তরণ ঘটাতে চায়। আপাতত সেটা হলেই আমরা সন্তুষ্ট। ওই ধরনের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলে আমরা নানা চিন্তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে পারবো।’
‘অ্যাপোসলস অব ডেভেলপমেন্ট: সিক্স ইকোনমিস্টস অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড দে মেইড’ শীর্ষক বই নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করে বিআইডিএস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহামান সোবহান। বক্তব্য দেন বইটির লেখক ডেভিড সি এঙ্গারম্যান।
দক্ষিণ এশিয়ার ছয়জন অর্থনীতিবিদ-বাংলাদেশের রেহমান সোবহান, পাকিস্তানের মাহবুব উল হক, শ্রীলঙ্কার লাল জয়বর্ধনে, ভারতের অমর্ত্য সেন, জগদীশ ভাগবতী ও মনমোহন সিং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে উন্নয়নশীল বিশ্বের উন্নয়ন তত্ত্বে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছেন। এ বিষয়ে ‘অ্যাপোসলস অব ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক বই লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ইতিহাসের অধ্যাপক ডেভিড সি এঙ্গারম্যান।
রেহমান সোবহান তার বন্ধুদের অর্থাৎ ছয় অর্থনীবিদ নিয়ে আলোকপাত করেছেন। কার চিন্তাধারা কেমন ছিল, তাদের মধ্যে কী নিয়ে বিতর্ক হতো, এসব নিয়ে কথা বলেন তিনি।
রেহমান সোবহান বলেন, ‘এমন এক সময় ছিল, যখন অনেকেই মনে করতেন, উন্নয়নের জন্য শক্তিশালী রাষ্ট্র প্রয়োজন। কিন্তু পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যকার বৈষম্য বাজারব্যবস্থার কারণে ছিল না, ছিল রাষ্ট্রীয় কারণে। পাকিস্তান রাষ্ট্রই এ বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সে কারণে স্বাধীনতার পর জাতীয়করণের প্রয়োজন হয়েছিল। কেননা তখন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে পুঁজি বা পুঁজিপতি ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, এত দিন ধরে এত কিছু করার পরও সমাজে বৈষম্য থেকে যাচ্ছে। এর কোনো সংশোধন ঘটছে না।
এ বৈষম্য দূর না হলে সমাজে ন্যায্যতা আসবে না বলে মন্তব্য করেন রেহমান সোবহান।
অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক বিনায়ক সেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এমএম আকাশ।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক একে এনামুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও মোস্তাফিজুর রহমান এবং নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।