alt

দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম পাসের হার ‘যথাযথই’ মনে করছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম পাসের হার নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলকে ‘যথাযথই’ মনে করছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।

বৃহস্পতিবার ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশের পর সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি বলেন, “এটা খারাপ হওয়ার কারণ যেটা, খারাপ বলব? নাকি রিয়েল বলব? খারাপ-ভালো তুলনামূলক বিষয়। বিগত বছরের তুলনা করলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, পারসেন্টেজের সংখ্যাটা কম। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কম। শতভাগ পাস এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম। বেশ কিছু জায়গায় ইন্ডিকেটরে অনেকগুলো ইনডেক্সে কমে গেছে। এটি হল বাস্তবতা।”

ঢাকা মহানগরীর সঙ্গে ঢাকা বোর্ডের অধীন অন্যান্য জেলার তুলনা করলে ফলাফল ‘যথাযথ’ মনে হওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ঢাকা মহানগরীতে পাশের হার ৮৪ শতাংশ হলেও শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জে ৪২ শতাংশ, টাঙ্গাইলে ৪৪ শতাংশ, নরসিংদীতে ৬৮ শতাংশ এবং রাজবাড়ীতে প্রায় ৪৬ শতাংশ।

এই ফলাফলকে ‘বাস্তবতা’ হিসেবে তুলে ধরে অধ্যাপক এহসানুল কবির বলেন, “এই বাস্তবতাটা আমাদের সামনে এসে হাজির হয়েছে। আমরা এই বাস্তবতাটা ফ্যাব্রিকেট করিনি। এখন এটা কেন হল? কীভাবে হল? আপনি যদি বলেন যে, খারাপ হয়েছে, আমি বলব যে না, খারাপ হয়নি। ঢাকা মহানগরীতে খুবই ভালো হয়েছে, বা যথাযথ আছে ওখানে, ঢাকা মহানগরীতে। অথবা বলতে হবে যে ওখানে ৮৪ শতাংশ, তাহলে ১৬% ঢাকা মহানগরীতে কেন ফেল করেছে? তাহলে তো ৮৪টাও খারাপ উদাহরণ। কারণ এই সংখ্যাটাও বিশাল।”

এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। দ্বাদশ শ্রেণির গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পর্যায়ে পা রাখতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৯ হাজার ৯৭ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে, যা উত্তীর্ণের মোট সংখ্যার ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।

এর আগে ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ; তখন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, “আমাদের বিবেচনা এই যে, উত্তরপত্র মূল্যায়নটা যথেষ্ট ভালোভাবে হয়েছে। এবং সেই হিসাবে যথাযথ ফলাফলটা আমাদের কাছে এসেছে। এখন দেখতে হবে কারা খারাপ করেছে, কোন এলাকায় খারাপ করেছে। আমরা দেখি ঢাকা মহানগর ৮৪ শতাংশ, তাহলে তো মোটামুটি ঠিক আছে পাসের হার।”

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডেও মহানগরীর বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফলে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়েছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নে নম্বর বাড়ানো বা কমানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা বোর্ড থেকে না যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

অধ্যাপক এহসানুল কবির বলেন, “আমরা কাউকে কোনো ছক বেঁধে দিইনি বা নির্দিষ্ট করে দিইনি যে, উনি এইভাবে নম্বর ছাড় দেবেন, অথবা ওভারমার্কিং করবেন, বেশি বেশি দিয়ে পাশের হার বাড়াতে হবে—এরকম কোথায় প্রশ্নই না। বোর্ডের তরফ থেকে এটি থাকার কোনো প্রয়োজনই নেই।”

তিনি আরও জানান, সরকারের তরফ থেকেও কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি; বরং ‘শিক্ষকদের অভিজ্ঞতার ওপর’ নির্ভর করেই খাতা মূল্যায়ন হয়েছে। “এই সংক্রান্ত নির্দেশনা এসএসসির সময় থেকেই দেওয়া রয়েছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নের যে নিয়ম আছে, সেগুলো আমরা স্মরণ করিয়েছি যে, আপনারা অনেকে এখানে ট্রেনিংপ্রাপ্ত, কীভাবে খাতা দেখতে হয়, দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতা সেই অভিজ্ঞতায় যদি কোনো বদঅভ্যাস থেকে থাকে যে, ‘না অসামান্য লিখলে, ভুল লিখলেও এক দুই নম্বর দেওয়া’, ওগুলোর প্রয়োজন নাই।”

ছবি

এখন থেকে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু টেস্ট

চীনে নারী পাচার: দূতাবাস ও ইমিগ্রেশনের ‘যোগসাজশ’ দেখছে র‌্যাব

ছবি

এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্কাউট’র নতুন কমিটির সদস্য নির্বাচিত হলেন স্নিধ

ছবি

সিইপিজেডে কারখানায় ভয়াবহ আগুন, শ্রমিকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে

শেখ হাসিনার ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া দরকার: চিফ প্রসিকিউটর

ছবি

এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ এ মাসেই, স্বাক্ষরের সুযোগ পরেও থাকবে: আলী রীয়াজ

ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থী আনাসসহ ৬ জনকে হত্যার মামলায় সাক্ষ্য দিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব

ছবি

এইচএসসিতে ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল

ছবি

এইচএসসি ফল: জিপিএ-৫ কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন

ছবি

এইচএসসি ফল: পাসের হারে এগিয়ে ঢাকা, পিছিয়ে কুমিল্লা

ছবি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৭৫৮ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ৪

ছবি

জুলাই সনদ: দ্বিমত থাকলেও সইয়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন

ছবি

অস্ত্র মামলায় সুব্রত বাইনসহ চারজনের বিচার শুরুর আদেশ

ছবি

হাসিনার ‘হেলিকপ্টার থেকে গুলির নির্দেশ প্রমাণিত হয়েছে’, এআই নয় যুক্তিতর্কে দাবি তাজুলের

ছবি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার

ছবি

শোনার মানসিকতা রাজনৈতিক দলেরও থাকতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ছবি

নারায়ণগঞ্জে ছিল কুখ্যাত গডফাদার, বললেন আইন উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

‘আনন্দঘন’ পরিবেশে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের আশা আলী রীয়াজের

ছবি

জুলাই সনদ: সন্ধ্যায় দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

ট্রাইব্যুনালে তাজুল ইসলাম: হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা

ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলামকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ

ছবি

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক

ছবি

হজ নিবন্ধনের সময়সীমা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ৮ জানুয়ারি

ছবি

ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে মনোনয়ন না দেয়ার আহ্বান দুদক চেয়ারম্যানের

ছবি

ডেঙ্গু: আরও ৮৪১ জন হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যু ৫ জনের

ছবি

অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের সেনা হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত ‘বৈষম্যমূলক ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী’: টিআইবি

ছবি

পদ্মায় মা ইলিশ শিকারের মহোৎসব

ছবি

বুধবার থেকে অনলাইনে জামিননামা, এক ক্লিকে পৌঁছে যাবে জেলখানায়

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা: ৫ মাসের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

ছবি

ট্রাইব্যুনাল: হানিফসহ চারজনকে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার ‘কমান্ড রেসনসিবিলিটি’ প্রমাণিত হয়েছে দাবি প্রসিকিউশনের

tab

দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম পাসের হার ‘যথাযথই’ মনে করছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম পাসের হার নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলকে ‘যথাযথই’ মনে করছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।

বৃহস্পতিবার ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশের পর সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি বলেন, “এটা খারাপ হওয়ার কারণ যেটা, খারাপ বলব? নাকি রিয়েল বলব? খারাপ-ভালো তুলনামূলক বিষয়। বিগত বছরের তুলনা করলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, পারসেন্টেজের সংখ্যাটা কম। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কম। শতভাগ পাস এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম। বেশ কিছু জায়গায় ইন্ডিকেটরে অনেকগুলো ইনডেক্সে কমে গেছে। এটি হল বাস্তবতা।”

ঢাকা মহানগরীর সঙ্গে ঢাকা বোর্ডের অধীন অন্যান্য জেলার তুলনা করলে ফলাফল ‘যথাযথ’ মনে হওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ঢাকা মহানগরীতে পাশের হার ৮৪ শতাংশ হলেও শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জে ৪২ শতাংশ, টাঙ্গাইলে ৪৪ শতাংশ, নরসিংদীতে ৬৮ শতাংশ এবং রাজবাড়ীতে প্রায় ৪৬ শতাংশ।

এই ফলাফলকে ‘বাস্তবতা’ হিসেবে তুলে ধরে অধ্যাপক এহসানুল কবির বলেন, “এই বাস্তবতাটা আমাদের সামনে এসে হাজির হয়েছে। আমরা এই বাস্তবতাটা ফ্যাব্রিকেট করিনি। এখন এটা কেন হল? কীভাবে হল? আপনি যদি বলেন যে, খারাপ হয়েছে, আমি বলব যে না, খারাপ হয়নি। ঢাকা মহানগরীতে খুবই ভালো হয়েছে, বা যথাযথ আছে ওখানে, ঢাকা মহানগরীতে। অথবা বলতে হবে যে ওখানে ৮৪ শতাংশ, তাহলে ১৬% ঢাকা মহানগরীতে কেন ফেল করেছে? তাহলে তো ৮৪টাও খারাপ উদাহরণ। কারণ এই সংখ্যাটাও বিশাল।”

এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। দ্বাদশ শ্রেণির গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পর্যায়ে পা রাখতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৯ হাজার ৯৭ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে, যা উত্তীর্ণের মোট সংখ্যার ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।

এর আগে ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ; তখন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, “আমাদের বিবেচনা এই যে, উত্তরপত্র মূল্যায়নটা যথেষ্ট ভালোভাবে হয়েছে। এবং সেই হিসাবে যথাযথ ফলাফলটা আমাদের কাছে এসেছে। এখন দেখতে হবে কারা খারাপ করেছে, কোন এলাকায় খারাপ করেছে। আমরা দেখি ঢাকা মহানগর ৮৪ শতাংশ, তাহলে তো মোটামুটি ঠিক আছে পাসের হার।”

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডেও মহানগরীর বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফলে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়েছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নে নম্বর বাড়ানো বা কমানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা বোর্ড থেকে না যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

অধ্যাপক এহসানুল কবির বলেন, “আমরা কাউকে কোনো ছক বেঁধে দিইনি বা নির্দিষ্ট করে দিইনি যে, উনি এইভাবে নম্বর ছাড় দেবেন, অথবা ওভারমার্কিং করবেন, বেশি বেশি দিয়ে পাশের হার বাড়াতে হবে—এরকম কোথায় প্রশ্নই না। বোর্ডের তরফ থেকে এটি থাকার কোনো প্রয়োজনই নেই।”

তিনি আরও জানান, সরকারের তরফ থেকেও কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি; বরং ‘শিক্ষকদের অভিজ্ঞতার ওপর’ নির্ভর করেই খাতা মূল্যায়ন হয়েছে। “এই সংক্রান্ত নির্দেশনা এসএসসির সময় থেকেই দেওয়া রয়েছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নের যে নিয়ম আছে, সেগুলো আমরা স্মরণ করিয়েছি যে, আপনারা অনেকে এখানে ট্রেনিংপ্রাপ্ত, কীভাবে খাতা দেখতে হয়, দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতা সেই অভিজ্ঞতায় যদি কোনো বদঅভ্যাস থেকে থাকে যে, ‘না অসামান্য লিখলে, ভুল লিখলেও এক দুই নম্বর দেওয়া’, ওগুলোর প্রয়োজন নাই।”

back to top