জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থানের শেষদিনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এই মামলার আরেক আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালেরও মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন তিনি। এ সময় আদালতে ১৪০০ জন নিহত এবং ২৫০০০ আহত হয়েছে উল্লেখ করে ‘একজনের জন্য একবার মৃত্যুদ- হলে তার (শেখ হাসিনার) ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া দরকার’ বলে দাবি করেন তাজুল।
গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ দাবি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। গতকাল এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে প্রসিকিউশন । এই মামলায় মোট তিনজন আসামি হলেও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। সাবেক আইজিপি মামুন তার জবানবন্দিতে ঘটনা সম্পর্কে পূর্ণ সত্য প্রকাশ করেছেন তাই তার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, সেটা ট্রাইব্যুনাল বিবেচনায় নেবেন বলে জানান তাজুল ।
গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিতে এক সপ্তাহ সময় চান। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী সোমবার থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার বিচার চলছে। এ ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে ১৪০০ জনকে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দান, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসেবলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজের’ মোট পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
গতকাল প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম এ মামলায় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে হত্যা অভিযোগের যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। তার বক্তব্যে আবু সাইদকে গুলি করা কনস্টেবল আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্রের নাম আসে। এ সময় ট্রাইব্যুনালে আবু সাঈদকে গুলি করার একটি ভিডিয়ো ট্রাইব্যুনালে দেখানো হয়।
মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আবু সাঈদকে হত্যা করার সময় হাতে লাঠি ছাড়া কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ছিল না। তার লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বারবার ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল গ্রহণ না করে। মিজানুলের দাবি, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে গুলিতে মৃত্যুর কথা না লিখে মাথায় আঘাতের কারণে মৃত্যুর কথা লিখতে বলা হয় । চিকিৎসক তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে তৎকালীন সরকারি দলের লোকজন এক পর্যায়ে বিদেশে চলে যেতে প্রলুব্ধ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই চিকিৎসক, ‘মাথায় আঘাতে মৃত্যু হয়েছে’ লেখেন বলে দাবি এই প্রসিকিউটরের। তবে তিনি আদালতকে অবস্থানগত সাক্ষ্য বিবেচনা করার কথা বলেন।
মিজানুল ইসলামের বক্তব্য শেষ হলে প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম ‘কমান্ড রেসপনসিবিলিটির’ অভিযোগ বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ এর ৪(১) এবং ৪(৩) ও ‘রোম স্ট্যাটিউট’-এর অনুচ্ছেদ ২৮ তুলে শেখ হাসিনার ‘কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ কীভাবে ‘প্রমাণিত’ হয়েছে তা উপস্থাপন করেন। এ সময় ‘ওয়াইডস্প্রেড অ্যাটাক’ কিংবা ‘সিস্টেম্যাটিক অ্যাটাক’ যেকোনো একটি প্রমাণিত হলেই মানবতাবিরোধী অপরাধ ‘প্রমাণিত’ হয় বলেও দাবি করেন তিনি। তাপসের সঙ্গে, ইনুর সঙ্গে এবং মাকসুদ কামালের সঙ্গে কথপোকথন থেকে ‘পরিষ্কার প্রমাণিত’ হয়েছে সব হামলার ব্যাপারে তিনি (শেখ হাসিনা) সম্পূর্ণভাবে ‘জ্ঞাত’ (ফুললি অ্যাওয়ার) ছিলেন। তিনি নিজে ‘নির্দেশ’ দিয়েছিলেন বলে আদালতে উল্লেখ করেন তাজুল।
আসাদুজ্জামান খান কামালকে সর্বোচ্চ ‘কমান্ড’ তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে দাবি করেন চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘তার বাসায় ‘কোর কমিটির’ বৈঠক হত। তিনি আইজপিকে নির্দেশ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। তিনি যেহেতু ‘নির্দেশ’ দিয়েছিলেন তাই তিনি আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থার চেষ্টাও করেননি। তাই তিনি বলতে পারেন না যে তিনি জানতেন না।’ তাজুল ইসলাম আদালতে ‘কমান্ড রেসপনসিবিলিটির’ ওপর আন্তর্জাতিক আদালতের কয়েকটি রায় ও সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান। জেনেভা প্রটোকল-১ তুলে ধরেন। এ সময় তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি জেনারেল তোমোয়ুকি ইয়ামাশিতার যুদ্ধাপরাধের মামলাসহ তিনটি মামলার অংশ পড়ে শোনান ।
তাজুল বলেন, ‘ওইসব মামলায় যেভাবে ‘ওয়াইডস্প্রেড’ এবং ‘সিস্টেম্যাটিক অ্যাটাক’ প্রমাণ হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি স্বচ্ছভাবে এখানে ‘প্রমাণিত’ হয়েছে। নিরস্ত্র জনগণের ওপর ‘ওয়াইডস্প্রেড’ এবং ‘সিস্টেম্যাটিক অ্যাটাক’ হয়েছে। ‘এন্টায়ার পপুলেশন অব জিওগ্রাফিক্যাল এনটিটি’-এর ওপর ‘অ্যাটক’ হয়েছে, ‘লার্জ স্ক্যাল অ্যাটাক’।’ ১৪০০ জন নিহত এবং ২৫০০০ আহত হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘একজনের জন্য একবার মৃত্যুদ- হলে তার ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া দরকার।’
রাষ্ট্রের পুরো ফোর্সকে ব্যবহার করলেও সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে পারেনি দাবি করে তাজুল বলেন, ‘বিজিবি, পুলিশ, আনসার, গোয়েন্দা সংস্থা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করলেও, শুধু সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে পারেননি। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী নির্বিচার হাত্যাকাণ্ডে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। জনগণ তাদের ফুল দিয়েছে, চুমু খেয়েছে।’ শুধু কোটা আন্দোলন দমন তাদের উদ্দেশ্য ছিল না। তাদের এ নৃশংসতার উদ্দেশ্য ছিল, হাসিনাকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখা বলেও দাবি করেন তাজুল।
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থানের শেষদিনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এই মামলার আরেক আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালেরও মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন তিনি। এ সময় আদালতে ১৪০০ জন নিহত এবং ২৫০০০ আহত হয়েছে উল্লেখ করে ‘একজনের জন্য একবার মৃত্যুদ- হলে তার (শেখ হাসিনার) ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া দরকার’ বলে দাবি করেন তাজুল।
গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ দাবি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। গতকাল এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে প্রসিকিউশন । এই মামলায় মোট তিনজন আসামি হলেও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। সাবেক আইজিপি মামুন তার জবানবন্দিতে ঘটনা সম্পর্কে পূর্ণ সত্য প্রকাশ করেছেন তাই তার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, সেটা ট্রাইব্যুনাল বিবেচনায় নেবেন বলে জানান তাজুল ।
গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিতে এক সপ্তাহ সময় চান। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী সোমবার থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার বিচার চলছে। এ ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে ১৪০০ জনকে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দান, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসেবলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজের’ মোট পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
গতকাল প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম এ মামলায় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে হত্যা অভিযোগের যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। তার বক্তব্যে আবু সাইদকে গুলি করা কনস্টেবল আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্রের নাম আসে। এ সময় ট্রাইব্যুনালে আবু সাঈদকে গুলি করার একটি ভিডিয়ো ট্রাইব্যুনালে দেখানো হয়।
মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আবু সাঈদকে হত্যা করার সময় হাতে লাঠি ছাড়া কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ছিল না। তার লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বারবার ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল গ্রহণ না করে। মিজানুলের দাবি, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে গুলিতে মৃত্যুর কথা না লিখে মাথায় আঘাতের কারণে মৃত্যুর কথা লিখতে বলা হয় । চিকিৎসক তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে তৎকালীন সরকারি দলের লোকজন এক পর্যায়ে বিদেশে চলে যেতে প্রলুব্ধ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই চিকিৎসক, ‘মাথায় আঘাতে মৃত্যু হয়েছে’ লেখেন বলে দাবি এই প্রসিকিউটরের। তবে তিনি আদালতকে অবস্থানগত সাক্ষ্য বিবেচনা করার কথা বলেন।
মিজানুল ইসলামের বক্তব্য শেষ হলে প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম ‘কমান্ড রেসপনসিবিলিটির’ অভিযোগ বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ এর ৪(১) এবং ৪(৩) ও ‘রোম স্ট্যাটিউট’-এর অনুচ্ছেদ ২৮ তুলে শেখ হাসিনার ‘কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ কীভাবে ‘প্রমাণিত’ হয়েছে তা উপস্থাপন করেন। এ সময় ‘ওয়াইডস্প্রেড অ্যাটাক’ কিংবা ‘সিস্টেম্যাটিক অ্যাটাক’ যেকোনো একটি প্রমাণিত হলেই মানবতাবিরোধী অপরাধ ‘প্রমাণিত’ হয় বলেও দাবি করেন তিনি। তাপসের সঙ্গে, ইনুর সঙ্গে এবং মাকসুদ কামালের সঙ্গে কথপোকথন থেকে ‘পরিষ্কার প্রমাণিত’ হয়েছে সব হামলার ব্যাপারে তিনি (শেখ হাসিনা) সম্পূর্ণভাবে ‘জ্ঞাত’ (ফুললি অ্যাওয়ার) ছিলেন। তিনি নিজে ‘নির্দেশ’ দিয়েছিলেন বলে আদালতে উল্লেখ করেন তাজুল।
আসাদুজ্জামান খান কামালকে সর্বোচ্চ ‘কমান্ড’ তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে দাবি করেন চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘তার বাসায় ‘কোর কমিটির’ বৈঠক হত। তিনি আইজপিকে নির্দেশ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। তিনি যেহেতু ‘নির্দেশ’ দিয়েছিলেন তাই তিনি আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থার চেষ্টাও করেননি। তাই তিনি বলতে পারেন না যে তিনি জানতেন না।’ তাজুল ইসলাম আদালতে ‘কমান্ড রেসপনসিবিলিটির’ ওপর আন্তর্জাতিক আদালতের কয়েকটি রায় ও সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান। জেনেভা প্রটোকল-১ তুলে ধরেন। এ সময় তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি জেনারেল তোমোয়ুকি ইয়ামাশিতার যুদ্ধাপরাধের মামলাসহ তিনটি মামলার অংশ পড়ে শোনান ।
তাজুল বলেন, ‘ওইসব মামলায় যেভাবে ‘ওয়াইডস্প্রেড’ এবং ‘সিস্টেম্যাটিক অ্যাটাক’ প্রমাণ হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি স্বচ্ছভাবে এখানে ‘প্রমাণিত’ হয়েছে। নিরস্ত্র জনগণের ওপর ‘ওয়াইডস্প্রেড’ এবং ‘সিস্টেম্যাটিক অ্যাটাক’ হয়েছে। ‘এন্টায়ার পপুলেশন অব জিওগ্রাফিক্যাল এনটিটি’-এর ওপর ‘অ্যাটক’ হয়েছে, ‘লার্জ স্ক্যাল অ্যাটাক’।’ ১৪০০ জন নিহত এবং ২৫০০০ আহত হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘একজনের জন্য একবার মৃত্যুদ- হলে তার ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া দরকার।’
রাষ্ট্রের পুরো ফোর্সকে ব্যবহার করলেও সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে পারেনি দাবি করে তাজুল বলেন, ‘বিজিবি, পুলিশ, আনসার, গোয়েন্দা সংস্থা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করলেও, শুধু সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে পারেননি। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী নির্বিচার হাত্যাকাণ্ডে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। জনগণ তাদের ফুল দিয়েছে, চুমু খেয়েছে।’ শুধু কোটা আন্দোলন দমন তাদের উদ্দেশ্য ছিল না। তাদের এ নৃশংসতার উদ্দেশ্য ছিল, হাসিনাকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখা বলেও দাবি করেন তাজুল।