৯ বছর আগে রাজধানীর কামরাঙ্গীচরে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন দুইজন। বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো.রেজাউল করিম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মোয়াজ্জেম হোসেন।
দণ্ড পাওয়া মো. জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আল ইসলাম কাইত (৪১) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার তেলীপাড়া গ্রামের প্রয়াত জাহাদ আলীর ছেলে। খালাস পাওয়ারা হলেন- জাহাঙ্গীরের মা সুফিয়া বেগম এবং প্রতিবেশী মনোয়ারা বেগম।
পিপি মোয়াজ্জেম বলেন, কামরাঙ্গীচরের চাঁদ মসজিদের পাশের এলাকার একটি বাড়িতে জাহাঙ্গীর তার স্ত্রী রুমা বেগমকে নিয়ে বসবাস করতেন। বিয়ের পর থেকে কারণে অকারণে রুমাকে নির্যাতন করতেন জাহাঙ্গীর ও তার আত্মীয়রা। স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে তাদের বোঝানো হয়। পরে তারা সংসার করতে থাকেন।
২০১৪ সালের ১১ জুন রাতে খাওয়া-দাওয়াকে কেন্দ্র করে রুমার সঙ্গে তার শাশুড়ি সুফিয়ার বাগবিতণ্ডা হয়। পরে বাসায় ফিরে জাহাঙ্গীর রুমার সঙ্গে রাগারাগি ও তাকে থাপ্পড় মারেন। পরদিন সকালে রুমা ক্ষোভে বিছানা থেকে না উঠলে জাহাঙ্গীর আবার রাগারাগি করেন।
এক পর্যায়ে রুমাকে মারধর করেন জাহাঙ্গীর। এতে রুমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। এক পর্যায়ে বিছানায় রুমার গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রুমার মা সুফিয়া খাতুন কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করেন বলে জানান পিপি মোয়াজ্জেম।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর কামরাঙ্গীরচর থানায় তৎকালীন এসআই চিত্ত রঞ্জন রায় তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ১৫ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। বিচার চলাকালে ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে জাহাঙ্গীরকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন জাহাঙ্গীরের মা ও এক প্রতিবেশী। রায় শেষে জাহাঙ্গীরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
৯ বছর আগে রাজধানীর কামরাঙ্গীচরে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন দুইজন। বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো.রেজাউল করিম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মোয়াজ্জেম হোসেন।
দণ্ড পাওয়া মো. জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আল ইসলাম কাইত (৪১) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার তেলীপাড়া গ্রামের প্রয়াত জাহাদ আলীর ছেলে। খালাস পাওয়ারা হলেন- জাহাঙ্গীরের মা সুফিয়া বেগম এবং প্রতিবেশী মনোয়ারা বেগম।
পিপি মোয়াজ্জেম বলেন, কামরাঙ্গীচরের চাঁদ মসজিদের পাশের এলাকার একটি বাড়িতে জাহাঙ্গীর তার স্ত্রী রুমা বেগমকে নিয়ে বসবাস করতেন। বিয়ের পর থেকে কারণে অকারণে রুমাকে নির্যাতন করতেন জাহাঙ্গীর ও তার আত্মীয়রা। স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে তাদের বোঝানো হয়। পরে তারা সংসার করতে থাকেন।
২০১৪ সালের ১১ জুন রাতে খাওয়া-দাওয়াকে কেন্দ্র করে রুমার সঙ্গে তার শাশুড়ি সুফিয়ার বাগবিতণ্ডা হয়। পরে বাসায় ফিরে জাহাঙ্গীর রুমার সঙ্গে রাগারাগি ও তাকে থাপ্পড় মারেন। পরদিন সকালে রুমা ক্ষোভে বিছানা থেকে না উঠলে জাহাঙ্গীর আবার রাগারাগি করেন।
এক পর্যায়ে রুমাকে মারধর করেন জাহাঙ্গীর। এতে রুমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। এক পর্যায়ে বিছানায় রুমার গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রুমার মা সুফিয়া খাতুন কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করেন বলে জানান পিপি মোয়াজ্জেম।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর কামরাঙ্গীরচর থানায় তৎকালীন এসআই চিত্ত রঞ্জন রায় তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ১৫ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। বিচার চলাকালে ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে জাহাঙ্গীরকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন জাহাঙ্গীরের মা ও এক প্রতিবেশী। রায় শেষে জাহাঙ্গীরকে কারাগারে পাঠানো হয়।