ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
অবরোধ ঘোষণার হুঁশিয়ারিতে রাঙামাটিতে অনুষ্ঠেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন সভা স্থগিতের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন। শুক্রবার, (১৭ অক্টোবর ২০২৫) দেয়া এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়। আগামীকাল রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমি জটিলতা নিরসনে কাজ করছে এ কমিশন। তবে কমিশনের এ বৈঠকের আগেই বৈঠক বাতিলের দাবিতে রাঙামাটির সচেতন ছাত্র-জনতার ব্যানারে হরতালের ডাক দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের পক্ষ থেকে এ বৈঠক স্থগিতের কথা জানানো হয়। কমিশনের সচিব (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার, এ বৈঠক স্থগিতের প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনসহ বিভিন্ন পক্ষের জোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গত ১২ জানুয়ারি পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটি গঠন করে। এরপর গত ১৯ জুলাই এই কমিটির সভা রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হয় এবং এ সভায় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানানো হয়, যা আমাদের আশান্বিত করেছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে ভূমি সমস্যা সমাধানের জন্য গঠিত পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন কার্যকর করা একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ১৯ অক্টোবর (আগামীকাল) এ কমিশনের একটি সভা আহ্বানের পরপরই আমরা লক্ষ্য করলাম একটি পক্ষ এ সভা ভণ্ডুল করতে এবং চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। বাঙালিদের ছাত্রসংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের ডাকা হরতালের হুমকিতে গতকাল বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি নিষ্পত্তি বিরোধ কমিশন সচিব (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সভা স্থগিত করা হয়। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয়ে স্থাপিত ভূমি কমিশনের অফিসে এই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ভূমি কমিশনের সভা স্থগিত করায় আমরা গভীর উদ্বিগ্ন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করছি।’ বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের অনভিপ্রেত হুঁশিয়ারিতে যদি বারবার সভা ডেকে স্থগিত করা হয়, তবে তাতে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া হুমকির মুখে পড়বে। পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য রাষ্ট্রীয় সব শক্তিকে সংহত করে এ চুক্তি বাস্তবায়নে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে সব হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভূমি কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত করার দাবি জানানো হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের দুই যুগ্ম আহ্বায়ক মানবাধিকারকর্মী জাকির হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
অবরোধ ঘোষণার হুঁশিয়ারিতে রাঙামাটিতে অনুষ্ঠেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন সভা স্থগিতের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন। শুক্রবার, (১৭ অক্টোবর ২০২৫) দেয়া এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়। আগামীকাল রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমি জটিলতা নিরসনে কাজ করছে এ কমিশন। তবে কমিশনের এ বৈঠকের আগেই বৈঠক বাতিলের দাবিতে রাঙামাটির সচেতন ছাত্র-জনতার ব্যানারে হরতালের ডাক দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের পক্ষ থেকে এ বৈঠক স্থগিতের কথা জানানো হয়। কমিশনের সচিব (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার, এ বৈঠক স্থগিতের প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনসহ বিভিন্ন পক্ষের জোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গত ১২ জানুয়ারি পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটি গঠন করে। এরপর গত ১৯ জুলাই এই কমিটির সভা রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হয় এবং এ সভায় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানানো হয়, যা আমাদের আশান্বিত করেছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে ভূমি সমস্যা সমাধানের জন্য গঠিত পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন কার্যকর করা একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ১৯ অক্টোবর (আগামীকাল) এ কমিশনের একটি সভা আহ্বানের পরপরই আমরা লক্ষ্য করলাম একটি পক্ষ এ সভা ভণ্ডুল করতে এবং চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। বাঙালিদের ছাত্রসংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের ডাকা হরতালের হুমকিতে গতকাল বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি নিষ্পত্তি বিরোধ কমিশন সচিব (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সভা স্থগিত করা হয়। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয়ে স্থাপিত ভূমি কমিশনের অফিসে এই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ভূমি কমিশনের সভা স্থগিত করায় আমরা গভীর উদ্বিগ্ন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করছি।’ বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের অনভিপ্রেত হুঁশিয়ারিতে যদি বারবার সভা ডেকে স্থগিত করা হয়, তবে তাতে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া হুমকির মুখে পড়বে। পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য রাষ্ট্রীয় সব শক্তিকে সংহত করে এ চুক্তি বাস্তবায়নে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে সব হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভূমি কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত করার দাবি জানানো হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের দুই যুগ্ম আহ্বায়ক মানবাধিকারকর্মী জাকির হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।