ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ভোটে ব্যবহার বন্ধের পর এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) অধ্যায়ের ইতি টানতে মাঠপর্যায়ের হালনাগাদ তথ্য নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসির যুগ্ম-সচিব মঈন উদ্দীন খান স্বাক্ষরিত চিঠি সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইভিএম বিষয়ে ভবিষ্যৎ করণীয় এবং বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত ইভিএমের গোডাউন বা জায়গা ভাড়াসংক্রান্ত করণীয় ঠিক করতে তিন ধরনের তথ্য চেয়েছে ইসি।
এ এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসি দায়িত্ব নেয়ার পর ভোটে ইভিএম ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ইসি বলেছে, আগামী সংসদ নির্বাচন প্রচলিত ব্যালট পেপার ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও ইভিএমে ভোট প্রক্রিয়া বাতিলের সুপারিশ করে।
ইভিএমে ভোট না নিলেও দেড় লাখ ইভিএমের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে তা প্রকল্প থেকে বুঝে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয় গত ১২ জানুয়ারি, ইসির দ্বিতীয় কমিশন সভায়। এপ্রিলে প্রকল্প পরিচালকও বদলি হয় এবং ইভিএমের নিষ্পত্তি করতে একটি কমিটিও করা হয়।
এর ধারাবাহিকতায় জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের জন্য কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি বাদ দেয়া হয় নীতিমালায়। সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) থেকেও ইভিএমের বিধান বিলোপ করে সংশোধন প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠায়।
২০১০ সালে সিটি নির্বাচনে ইভিএমের যাত্রা শুরু হয়, ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনেও ব্যবহার হয়। নানা ধরনের জটিলতা পেরিয়ে দেড় দশকের মাথায় ইভিএমের ইতি ঘটেছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইভিএম ব্যবহার না হলেও অতীতের কোথাও মামলা থাকলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যন্ত্রপাতির ভবিষ্যৎও ঠিক করতে বিলম্ব হচ্ছে। ভবিষ্যত করণীয় ঠিক করতে আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে যেসব তথ্য চেয়েছে ইসি, তার মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারসংক্রান্ত কোনো মামলা আছে কিনা।
মামলা থাকলে নির্বাচনের নাম, নির্বাচনী এলাকা, নির্বাচনের তারিখ, মামলাসংক্রান্ত বিবরণ, সংশ্লিষ্ট ইভিএমের পরিমাণ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্যান্য তথ্য। ইভিএম সংরক্ষণের জন্য গোডাউন বা জায়গা ভাড়াসংক্রান্ত মামলার তথ্য। ইভিএমের জন্য ভাড়া করা গোডাউনের বকেয়া থাকলে, তার তথ্য।
ইসির যুগ্ম-সচিব মঈন উদ্দীন খান গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ইভিএমের ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ নিয়ে একটি কমিটি কাজ করছে। সব ধরনের তথ্য দরকার হচ্ছে এখন। বিশেষ করে মামলা, গোডাউন ভাড়াসংক্রান্ত মামলা ও বকেয়াসংক্রান্ত তথ্য পেলে তা নিষ্পত্তি করে পরবর্তী বিষয় ঠিক করবে এ কমিটি। সেজন্য মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
ভোটে ব্যবহার বন্ধের পর এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) অধ্যায়ের ইতি টানতে মাঠপর্যায়ের হালনাগাদ তথ্য নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসির যুগ্ম-সচিব মঈন উদ্দীন খান স্বাক্ষরিত চিঠি সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইভিএম বিষয়ে ভবিষ্যৎ করণীয় এবং বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত ইভিএমের গোডাউন বা জায়গা ভাড়াসংক্রান্ত করণীয় ঠিক করতে তিন ধরনের তথ্য চেয়েছে ইসি।
এ এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসি দায়িত্ব নেয়ার পর ভোটে ইভিএম ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ইসি বলেছে, আগামী সংসদ নির্বাচন প্রচলিত ব্যালট পেপার ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও ইভিএমে ভোট প্রক্রিয়া বাতিলের সুপারিশ করে।
ইভিএমে ভোট না নিলেও দেড় লাখ ইভিএমের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে তা প্রকল্প থেকে বুঝে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয় গত ১২ জানুয়ারি, ইসির দ্বিতীয় কমিশন সভায়। এপ্রিলে প্রকল্প পরিচালকও বদলি হয় এবং ইভিএমের নিষ্পত্তি করতে একটি কমিটিও করা হয়।
এর ধারাবাহিকতায় জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের জন্য কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি বাদ দেয়া হয় নীতিমালায়। সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) থেকেও ইভিএমের বিধান বিলোপ করে সংশোধন প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠায়।
২০১০ সালে সিটি নির্বাচনে ইভিএমের যাত্রা শুরু হয়, ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনেও ব্যবহার হয়। নানা ধরনের জটিলতা পেরিয়ে দেড় দশকের মাথায় ইভিএমের ইতি ঘটেছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইভিএম ব্যবহার না হলেও অতীতের কোথাও মামলা থাকলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যন্ত্রপাতির ভবিষ্যৎও ঠিক করতে বিলম্ব হচ্ছে। ভবিষ্যত করণীয় ঠিক করতে আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে যেসব তথ্য চেয়েছে ইসি, তার মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারসংক্রান্ত কোনো মামলা আছে কিনা।
মামলা থাকলে নির্বাচনের নাম, নির্বাচনী এলাকা, নির্বাচনের তারিখ, মামলাসংক্রান্ত বিবরণ, সংশ্লিষ্ট ইভিএমের পরিমাণ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্যান্য তথ্য। ইভিএম সংরক্ষণের জন্য গোডাউন বা জায়গা ভাড়াসংক্রান্ত মামলার তথ্য। ইভিএমের জন্য ভাড়া করা গোডাউনের বকেয়া থাকলে, তার তথ্য।
ইসির যুগ্ম-সচিব মঈন উদ্দীন খান গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ইভিএমের ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ নিয়ে একটি কমিটি কাজ করছে। সব ধরনের তথ্য দরকার হচ্ছে এখন। বিশেষ করে মামলা, গোডাউন ভাড়াসংক্রান্ত মামলা ও বকেয়াসংক্রান্ত তথ্য পেলে তা নিষ্পত্তি করে পরবর্তী বিষয় ঠিক করবে এ কমিটি। সেজন্য মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে।’