শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লাগার কারণ হিসেবে ‘বাতাসের বাধা’র কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে আগুন লাগার প্রায় সাত ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে এক ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, “এটা আমার ধারণা, আর বেশিক্ষণ লাগবে না। কারণ অলরেডি আমাদের পুরো কন্ট্রোলে চলে আসছে। আধা ঘণ্টার বেশি সময় লাগতে পারে।”
আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরির কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল বাতাস। যেহেতু এটা খোলা জায়গা, প্রচুর বাতাস ছিল। ফলে অক্সিজেনের প্রাপ্তি সবসময় ছিল, যেটা আগুনকে জ্বালাতে সহায়তা করে। যে কারণে আপনারা অনেক উপর পর্যন্ত ধোঁয়া দেখতে পেয়েছেন।”
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আগুনের সূত্রপাতটা আমরা এখনো বলতে পারছি না। আগুন নেভানোর পর তদন্ত সাপেক্ষে তা বলা যাবে।”
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, “আমরা একদিকে আগুন নিভিয়েছি, অন্যদিকে জায়গা করে দিয়েছি জিনিসপত্র বের করে আনার জন্য। অনেক জিনিসপত্র আমরা বের করতে দেখেছি। এখন কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, সেটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না। তবে কিছু মালামাল উদ্ধার হয়েছে।”
তিনি জানান, “প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে আমাদের ইউনিট এখানে চলে আসে। তারপর থেকেই আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়। আমরা যখন আসি, তখন অ্যাভিয়েশনের ফায়ার ফাইটিং ভেহিকেলগুলোও কাজ করছিল। এখন পর্যন্ত ৩৭টি ইউনিট কাজ করেছে, এবং আমাদের জানা মতে কোনো নিহতের খবর নেই।”
রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে নিশ্চিত করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল বলেন, “বর্তমানে আমরা নির্বাপণের কাজ করছি। আগুন আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন আর বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।”
তিনি আরও জানান, “এখন পর্যন্ত আমাদের দুইজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছে। আনসারের কিছু সদস্যও প্রাথমিকভাবে আহত হয়ে থাকতে পারেন, তবে সংখ্যাটা এখনো নিশ্চিত না।”
আগুন লাগার স্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলটি হচ্ছে আমদানি কার্গো রাখার জায়গা, আনুমানিক ৪০০ গজ বাই ৪০০ গজের মতো। সেখানে খোলা ও বদ্ধ উভয় ধরনের স্থানে বিভিন্ন স্টোরে মালামাল ছিল, সেগুলোতেই আগুন নেভানোর কাজ করা হয়েছে।”
রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লাগার কারণ হিসেবে ‘বাতাসের বাধা’র কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে আগুন লাগার প্রায় সাত ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে এক ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, “এটা আমার ধারণা, আর বেশিক্ষণ লাগবে না। কারণ অলরেডি আমাদের পুরো কন্ট্রোলে চলে আসছে। আধা ঘণ্টার বেশি সময় লাগতে পারে।”
আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরির কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল বাতাস। যেহেতু এটা খোলা জায়গা, প্রচুর বাতাস ছিল। ফলে অক্সিজেনের প্রাপ্তি সবসময় ছিল, যেটা আগুনকে জ্বালাতে সহায়তা করে। যে কারণে আপনারা অনেক উপর পর্যন্ত ধোঁয়া দেখতে পেয়েছেন।”
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আগুনের সূত্রপাতটা আমরা এখনো বলতে পারছি না। আগুন নেভানোর পর তদন্ত সাপেক্ষে তা বলা যাবে।”
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, “আমরা একদিকে আগুন নিভিয়েছি, অন্যদিকে জায়গা করে দিয়েছি জিনিসপত্র বের করে আনার জন্য। অনেক জিনিসপত্র আমরা বের করতে দেখেছি। এখন কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, সেটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না। তবে কিছু মালামাল উদ্ধার হয়েছে।”
তিনি জানান, “প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে আমাদের ইউনিট এখানে চলে আসে। তারপর থেকেই আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়। আমরা যখন আসি, তখন অ্যাভিয়েশনের ফায়ার ফাইটিং ভেহিকেলগুলোও কাজ করছিল। এখন পর্যন্ত ৩৭টি ইউনিট কাজ করেছে, এবং আমাদের জানা মতে কোনো নিহতের খবর নেই।”
রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে নিশ্চিত করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল বলেন, “বর্তমানে আমরা নির্বাপণের কাজ করছি। আগুন আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন আর বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।”
তিনি আরও জানান, “এখন পর্যন্ত আমাদের দুইজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছে। আনসারের কিছু সদস্যও প্রাথমিকভাবে আহত হয়ে থাকতে পারেন, তবে সংখ্যাটা এখনো নিশ্চিত না।”
আগুন লাগার স্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলটি হচ্ছে আমদানি কার্গো রাখার জায়গা, আনুমানিক ৪০০ গজ বাই ৪০০ গজের মতো। সেখানে খোলা ও বদ্ধ উভয় ধরনের স্থানে বিভিন্ন স্টোরে মালামাল ছিল, সেগুলোতেই আগুন নেভানোর কাজ করা হয়েছে।”