ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে যে তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে, সেটা সঠিক নয়।
পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চাই
হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে অগ্রগতি নেই
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে তালিকাটা এসেছে, এটা কোনো একজন দিয়েছেন, সার্কুলেট (প্রচার) করেছেন। সেটা সম্ভবত কোনো একজন অ্যাডভাইজার রিটুইট করেছেন। তার একটা কমেন্টসহ। কমেন্টটা নিয়ে আমি কোনো কমেন্ট করতে চাই না। হয়তো এটা উনি না করলেও পারতেন। যে তালিকাটা এসেছে, ওখানে এটা সঠিক নয়। এর অধিকাংশ (তালিকার চুক্তি) এক্সিস্ট করে না।
মঙ্গলবার,(২১ অক্টোবর ২০২৫) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেছেন।
ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি অনেক আগেই বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বাকিগুলোর কয়েকটি আছে যে বিভিন্ন পর্যায়ে আছে এবং ঠিক ওই নামে নেই। অন্য রকম ডেসক্রিপশনে (বিবরণ) আছে।’
গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে এক পোস্টে লেখা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পরই চুক্তিগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হয় এবং যথাযথ পর্যালোচনার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’ এর নিচে একটি তালিকাজুড়ে দেয়া হয়। তার শিরোনামে লেখা হয়, ‘হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে করা ১০ চুক্তি বাতিল, বাকিগুলোও বিবেচনাধীন।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেলসংযোগ প্রকল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল বলে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। অভয়পুর-আখাউড়া রেলপথ সম্প্রসারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডোর বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে ‘আশুগঞ্জ-সরাইল-ধারখার প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প চলমান আছে। ওই প্রকল্পের আওতায় কেবল একটি প্যাকেজ বাতিল হয়েছে (প্যাকেজ ৩: ধারখার-আখাউড়া স্থল বন্দর)। ফেনী নদীর পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ত্রিপুরার সাবরুম শহরে পানীয় জল সরবরাহের জন্য ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের জন্য ২০১৯ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ওই সমঝোতা স্মারকটি বাতিল হয়নি।
উপদেষ্টা বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন প্রকল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে স্থগিত হিসেবে। এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদী কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০২২ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সমঝোতা স্মারকটি স্থগিত হয়নি। বন্দরের ব্যবহারসংক্রান্ত সড়ক ও নৌপথ উন্নয়ন চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো চুক্তি নেই। তবে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালে চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিটি বাতিল হয়নি। চুক্তিটি বলবৎ আছে।
তৌহিদ হোসেন জানান, ফারাক্কা বাঁধসংক্রান্ত প্রকল্পে বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতা প্রস্তাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবগত নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিলেট-শিলচর সংযোগ প্রকল্প বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণ চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও ভারতের সঙ্গে এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের আওতায় ভারতের নুমালীগড় থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত যে পাইপলাইন আছে, তা সম্প্রসারণের জন্য ভারতের সঙ্গে একবার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।
উপদেষ্টা জানান, ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প (মিরসরাই ও মোংলা) বাতিল বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীয় ঋণ চুক্তির (এলওসি) আওতায় ওই প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের বিষয়টি বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান। আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুনর্বিবেচনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চুক্তিটি পুনর্বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি (১৯৯৬) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নবায়ন/পুনর্বিবেচনা উল্লেখ করা হলেও ২০২৬ সালে চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনা হবে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি (খসড়া) (২০১১): বাস্তবায়নের জন্য আলোচনায় বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১০-২০১১ সালে খসড়া হওয়া তিস্তা চুক্তিটি এখনও সই হয়নি। ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি জিআরএসইর সঙ্গে টাগ বোট চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চাই
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা একটা স্বাভাবিক সম্পর্ক চাই। সেই স্বাভাবিক সম্পর্কের মধ্যে সফর অন্তর্ভুক্ত। তারা যদি সফরে আসে তাহলে আমরা স্বাগত জানাবো এটাই স্বাভাবিক এবং আমরা তাই করছি।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা তো চাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়–ক। যেটা আসলে অনেকটা একতরফাভাবে আটকে রাখা হয়েছিল এতদিন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের স্বার্থ আছে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় এবং তা এগিয়ে নেয়াতে। আমার মনে হয় আমরা সেভাবেই এগুচ্ছি।’
হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে অগ্রগতি নেই
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে কোনও অগ্রগতি আছে কিনা- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এই ইস্যুতে আমরা বিভিন্ন সময়ে কথাবার্তা বলেছি। এই বিষয়ে কোনো অগ্রগতি থাকলে আমি আপনাদের জানাবো। কোনো অগ্রগতি নেই, কাজেই আমি জানাতে পারছি না।’
এ সময় ত্রিপুরায় তিনি বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ভারতকে তদন্তের দাবি করা হয়েছিল, তবে এর জবাব ভারত দেয়নি বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ভারত যে বয়ান দিয়েছে, সেটা আমরা নাও গ্রহণ করতে পারি। কিন্তু আমাদের তো খুব বেশি কিছু করার নেই। কারণ গ্রামবাসীরা যদি তাদের বেআইনি কাজে বাধা দিয়ে থাকে বা কোনো ক্ষতির জন্য আক্রমণ করে থাকে- অবশ্যই কোনো দেশের আইনে এটা অনুমতি দেয় না। কাজেই আমরা এটার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারিক প্রক্রিয়া চাই।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে যে তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে, সেটা সঠিক নয়।
পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চাই
হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে অগ্রগতি নেই
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে তালিকাটা এসেছে, এটা কোনো একজন দিয়েছেন, সার্কুলেট (প্রচার) করেছেন। সেটা সম্ভবত কোনো একজন অ্যাডভাইজার রিটুইট করেছেন। তার একটা কমেন্টসহ। কমেন্টটা নিয়ে আমি কোনো কমেন্ট করতে চাই না। হয়তো এটা উনি না করলেও পারতেন। যে তালিকাটা এসেছে, ওখানে এটা সঠিক নয়। এর অধিকাংশ (তালিকার চুক্তি) এক্সিস্ট করে না।
মঙ্গলবার,(২১ অক্টোবর ২০২৫) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেছেন।
ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি অনেক আগেই বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বাকিগুলোর কয়েকটি আছে যে বিভিন্ন পর্যায়ে আছে এবং ঠিক ওই নামে নেই। অন্য রকম ডেসক্রিপশনে (বিবরণ) আছে।’
গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে এক পোস্টে লেখা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পরই চুক্তিগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হয় এবং যথাযথ পর্যালোচনার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’ এর নিচে একটি তালিকাজুড়ে দেয়া হয়। তার শিরোনামে লেখা হয়, ‘হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে করা ১০ চুক্তি বাতিল, বাকিগুলোও বিবেচনাধীন।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেলসংযোগ প্রকল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল বলে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। অভয়পুর-আখাউড়া রেলপথ সম্প্রসারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডোর বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে ‘আশুগঞ্জ-সরাইল-ধারখার প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প চলমান আছে। ওই প্রকল্পের আওতায় কেবল একটি প্যাকেজ বাতিল হয়েছে (প্যাকেজ ৩: ধারখার-আখাউড়া স্থল বন্দর)। ফেনী নদীর পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ত্রিপুরার সাবরুম শহরে পানীয় জল সরবরাহের জন্য ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের জন্য ২০১৯ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ওই সমঝোতা স্মারকটি বাতিল হয়নি।
উপদেষ্টা বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন প্রকল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে স্থগিত হিসেবে। এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদী কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০২২ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সমঝোতা স্মারকটি স্থগিত হয়নি। বন্দরের ব্যবহারসংক্রান্ত সড়ক ও নৌপথ উন্নয়ন চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো চুক্তি নেই। তবে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালে চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিটি বাতিল হয়নি। চুক্তিটি বলবৎ আছে।
তৌহিদ হোসেন জানান, ফারাক্কা বাঁধসংক্রান্ত প্রকল্পে বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতা প্রস্তাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবগত নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিলেট-শিলচর সংযোগ প্রকল্প বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণ চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও ভারতের সঙ্গে এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের আওতায় ভারতের নুমালীগড় থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত যে পাইপলাইন আছে, তা সম্প্রসারণের জন্য ভারতের সঙ্গে একবার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।
উপদেষ্টা জানান, ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প (মিরসরাই ও মোংলা) বাতিল বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীয় ঋণ চুক্তির (এলওসি) আওতায় ওই প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের বিষয়টি বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান। আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুনর্বিবেচনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চুক্তিটি পুনর্বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি (১৯৯৬) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নবায়ন/পুনর্বিবেচনা উল্লেখ করা হলেও ২০২৬ সালে চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনা হবে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি (খসড়া) (২০১১): বাস্তবায়নের জন্য আলোচনায় বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১০-২০১১ সালে খসড়া হওয়া তিস্তা চুক্তিটি এখনও সই হয়নি। ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি জিআরএসইর সঙ্গে টাগ বোট চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চাই
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা একটা স্বাভাবিক সম্পর্ক চাই। সেই স্বাভাবিক সম্পর্কের মধ্যে সফর অন্তর্ভুক্ত। তারা যদি সফরে আসে তাহলে আমরা স্বাগত জানাবো এটাই স্বাভাবিক এবং আমরা তাই করছি।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা তো চাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়–ক। যেটা আসলে অনেকটা একতরফাভাবে আটকে রাখা হয়েছিল এতদিন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের স্বার্থ আছে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় এবং তা এগিয়ে নেয়াতে। আমার মনে হয় আমরা সেভাবেই এগুচ্ছি।’
হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে অগ্রগতি নেই
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে কোনও অগ্রগতি আছে কিনা- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এই ইস্যুতে আমরা বিভিন্ন সময়ে কথাবার্তা বলেছি। এই বিষয়ে কোনো অগ্রগতি থাকলে আমি আপনাদের জানাবো। কোনো অগ্রগতি নেই, কাজেই আমি জানাতে পারছি না।’
এ সময় ত্রিপুরায় তিনি বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ভারতকে তদন্তের দাবি করা হয়েছিল, তবে এর জবাব ভারত দেয়নি বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ভারত যে বয়ান দিয়েছে, সেটা আমরা নাও গ্রহণ করতে পারি। কিন্তু আমাদের তো খুব বেশি কিছু করার নেই। কারণ গ্রামবাসীরা যদি তাদের বেআইনি কাজে বাধা দিয়ে থাকে বা কোনো ক্ষতির জন্য আক্রমণ করে থাকে- অবশ্যই কোনো দেশের আইনে এটা অনুমতি দেয় না। কাজেই আমরা এটার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারিক প্রক্রিয়া চাই।’