জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রসিকিউশন থেকে ‘টার্গেট’ করে হত্যার যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ব্যাপক মাত্রার (ওয়াইড স্প্রেড) বা পদ্ধতিগত (সিস্টেমেটিক) নিপীড়নের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাও ‘সঠিক নয়’ বলে যুক্তি তুলে ধরেছেন এ আইনজীবী।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা মামলায় মঙ্গলবার,(২১ অক্টোবর ২০২৫) দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্কে মো. আমির হোসেন এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলার আসামি। তাদের মধ্যে মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের অনুপস্থিতিতেই এ বিচারকাজ চলছে। এ দুজনের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
মামলার আনুষ্ঠানিক চার্জ গঠনের বিষয়ে প্রসিকিউশনের দেয়া যুক্তিতর্ক খ-ন করে আমির হোসেন বলেন, ‘আন্দোলন দমন সরকারের ‘ওয়াইড স্প্রেড’ কিংবা ‘সিস্টেমেটিক’ বলা হয়েছে সেটা সঠিক নয়। এখানে সরকারের টার্গেট ছিল না। থাকলে শুধু রংপুরে আবু সাঈদ নয়, আন্দোলনের মূখ্য ভূমিকায় থাকা হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, নাহিদ ইসলামসহ অন্যদেরও টার্গেট করে হত্যা করা হতো। ১৫০০ আন্দোলনকারী মারা গেলেও তারা মারা যাননি।’ ‘এটা টার্গেটভিত্তিক ব্যাপক মাত্রায় হত্যাযজ্ঞ’ দাবি করা প্রসিকিউশনের বক্তব্য সঠিক নয় বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান শেখ হাসিনার পক্ষে লড়া রাষ্ট্্রনিযুক্ত এ আইনজীবী।
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকা- ও অপরাধের বিচার করেছেন দাবি করেন আমির হোসেন আদালতে বলেন, ‘তিনি আসামিদের ছেড়ে দেননি, তাদের কঠিন বিচার হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনে জড়িতদের বিচার, বুয়েটের আবরার ফাহাদ হত্যা ও বিশ্বজিৎ হত্যার ঘটনায় নিজের দলের লোকদেরও বিচারের মুখোমুখি করেছেন তিনি।’
নিজের দলের লোকদের বিচার করার বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রনিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে বিচারবিহীন ব্যবস্থা ছিল, দলীয় লোকদের বিচার করতেন না- রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশনের আনা এসব যুক্তিতর্ক সঠিক নয়।’
এর আগে, গত ১৬ অক্টোবর টানা পাঁচদিন এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে প্রসিকিউশন। প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক শেষে রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী আমির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য এক সপ্তাহ সময় চাইলে আদালত তাকে তিন দিন সময় দেন। পরে গতকাল সোমবার থেকে রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন।
গত ১৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদ- চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় আদালতে শেখ হাসিনার ‘১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া দরকার’ বলে দাবি করেন তাজুল। পাশাপাশি রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী
আবদুল্লাহ আল-মামুনের শাস্তির বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেন তিনি।
মঙ্গলবার প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম, বিএম সুলতান মাহমুদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ান ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রসিকিউশন থেকে ‘টার্গেট’ করে হত্যার যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ব্যাপক মাত্রার (ওয়াইড স্প্রেড) বা পদ্ধতিগত (সিস্টেমেটিক) নিপীড়নের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাও ‘সঠিক নয়’ বলে যুক্তি তুলে ধরেছেন এ আইনজীবী।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা মামলায় মঙ্গলবার,(২১ অক্টোবর ২০২৫) দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্কে মো. আমির হোসেন এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলার আসামি। তাদের মধ্যে মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের অনুপস্থিতিতেই এ বিচারকাজ চলছে। এ দুজনের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
মামলার আনুষ্ঠানিক চার্জ গঠনের বিষয়ে প্রসিকিউশনের দেয়া যুক্তিতর্ক খ-ন করে আমির হোসেন বলেন, ‘আন্দোলন দমন সরকারের ‘ওয়াইড স্প্রেড’ কিংবা ‘সিস্টেমেটিক’ বলা হয়েছে সেটা সঠিক নয়। এখানে সরকারের টার্গেট ছিল না। থাকলে শুধু রংপুরে আবু সাঈদ নয়, আন্দোলনের মূখ্য ভূমিকায় থাকা হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, নাহিদ ইসলামসহ অন্যদেরও টার্গেট করে হত্যা করা হতো। ১৫০০ আন্দোলনকারী মারা গেলেও তারা মারা যাননি।’ ‘এটা টার্গেটভিত্তিক ব্যাপক মাত্রায় হত্যাযজ্ঞ’ দাবি করা প্রসিকিউশনের বক্তব্য সঠিক নয় বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান শেখ হাসিনার পক্ষে লড়া রাষ্ট্্রনিযুক্ত এ আইনজীবী।
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকা- ও অপরাধের বিচার করেছেন দাবি করেন আমির হোসেন আদালতে বলেন, ‘তিনি আসামিদের ছেড়ে দেননি, তাদের কঠিন বিচার হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনে জড়িতদের বিচার, বুয়েটের আবরার ফাহাদ হত্যা ও বিশ্বজিৎ হত্যার ঘটনায় নিজের দলের লোকদেরও বিচারের মুখোমুখি করেছেন তিনি।’
নিজের দলের লোকদের বিচার করার বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রনিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে বিচারবিহীন ব্যবস্থা ছিল, দলীয় লোকদের বিচার করতেন না- রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশনের আনা এসব যুক্তিতর্ক সঠিক নয়।’
এর আগে, গত ১৬ অক্টোবর টানা পাঁচদিন এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে প্রসিকিউশন। প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক শেষে রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী আমির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য এক সপ্তাহ সময় চাইলে আদালত তাকে তিন দিন সময় দেন। পরে গতকাল সোমবার থেকে রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন।
গত ১৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদ- চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় আদালতে শেখ হাসিনার ‘১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া দরকার’ বলে দাবি করেন তাজুল। পাশাপাশি রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী
আবদুল্লাহ আল-মামুনের শাস্তির বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেন তিনি।
মঙ্গলবার প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম, বিএম সুলতান মাহমুদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ান ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।