কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার এখন বৈশ্বিক মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। এআইয়ের অপব্যবহার করে ইন্টারনেটে ‘ভুল তথ্য, কুতথ্য, অপতথ্য’ ছড়িয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেউ যেন প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সেজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
মঙ্গলবার,(২১ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ‘ইন্টিগ্রেশেন অব আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইন আপকামিং ন্যাশনাল পার্লামেন্ট ইলেকশন টু কাউন্টার মিসইনফরমেশন অ্যান্ড ডিসইনফরমেশন’ শীর্ষক সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এনটিএমসি, এমআইএসটি, বিটিআরসি, সিআইডি, আইসিটি বিভাগ, আইএফইএস, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বেসিস, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসি সচিবালয়ের কারিগরি কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশ নেন।
এআইয়ের অপব্যবহার প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেন, ‘আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এর অপব্যবহার রোধে সমন্বিত কার্যক্রম হাতে নিতে চাই।...আমরা অনেক দিন ধরে এটা নিয়ে কাজ করছিলাম। আমরা পরিকল্পনা করেছি এখানে মিসইনফরমেশন (ভুল তথ্য), ডিসইনফরমেশন (কুতথ্য) অ্যাড্রেস করার জন্য একটি সেন্ট্রাল সেল গ্রো করবো।’ তিনি আরও বলেন, এআইয়ের অপব্যবহার মোকাবিলায় কারিগরি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সমন্বিত ও কার্যকর সুপারিশ চায় কমিশন।
সেমিনারে অংশ নেয়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কারিগরি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আজকের কর্মশালা থেকে আমরা একটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ পাবো আশা করি। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে, প্রত্যন্ত অঞ্চল কিংবা দুর্গম এলাকা থেকে কোনো মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়লে, এআই ব্যবহার করে অপতথ্য ছড়াতে তা দ্রুত কীভাবে রোধ করা যাবে এবং বিদ্যমান অবকাঠামোগত পরিস্থিতিতে সঠিক তথ্য কীভাবে পৌঁছানো সম্ভব হবে তা বিবেচনা করতে হবে।’
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এটা ২৪ ঘণ্টার কাজ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কত লোক লাগবে, ফ্যাক্ট চেকিং মেকানিজম কীভাবে কাজ
করবে, সংস্থাগুলোর কাজ কীভাবে সমন্বয় করা হবে এবং কার কী কাজ হবে এবং যেখানে মিথ্যা তথ্যের উৎপত্তি হচ্ছে, সেখানে সঠিক তথ্য কীভাবে দ্রুত পৌঁছানো যাবে- তার সুস্পষ্ট সুপারিশ আসবে আশা করি।’
সিইসি বলেন, ‘ফ্যাক্ট চেকিং মেকানিজম দ্রুত কাজ করতে হবে। তাই আমাদের সমন্বিত ব্যবস্থা ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু একটা গাইডলাইন চাই না। সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত সুপারিশ চাই।’
স্বাগত বক্তব্যে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এক জরিপে দেখা গেছে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যে ভয়াবহতা, তার প্রেক্ষাপটে দেখা যায় যে- বিশ্বের ৯২% নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ভালো অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অপব্যবহার রোধের ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা দরকার।’
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার এখন বৈশ্বিক মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। এআইয়ের অপব্যবহার করে ইন্টারনেটে ‘ভুল তথ্য, কুতথ্য, অপতথ্য’ ছড়িয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেউ যেন প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সেজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
মঙ্গলবার,(২১ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ‘ইন্টিগ্রেশেন অব আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইন আপকামিং ন্যাশনাল পার্লামেন্ট ইলেকশন টু কাউন্টার মিসইনফরমেশন অ্যান্ড ডিসইনফরমেশন’ শীর্ষক সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এনটিএমসি, এমআইএসটি, বিটিআরসি, সিআইডি, আইসিটি বিভাগ, আইএফইএস, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বেসিস, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসি সচিবালয়ের কারিগরি কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশ নেন।
এআইয়ের অপব্যবহার প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেন, ‘আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এর অপব্যবহার রোধে সমন্বিত কার্যক্রম হাতে নিতে চাই।...আমরা অনেক দিন ধরে এটা নিয়ে কাজ করছিলাম। আমরা পরিকল্পনা করেছি এখানে মিসইনফরমেশন (ভুল তথ্য), ডিসইনফরমেশন (কুতথ্য) অ্যাড্রেস করার জন্য একটি সেন্ট্রাল সেল গ্রো করবো।’ তিনি আরও বলেন, এআইয়ের অপব্যবহার মোকাবিলায় কারিগরি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সমন্বিত ও কার্যকর সুপারিশ চায় কমিশন।
সেমিনারে অংশ নেয়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কারিগরি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আজকের কর্মশালা থেকে আমরা একটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ পাবো আশা করি। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে, প্রত্যন্ত অঞ্চল কিংবা দুর্গম এলাকা থেকে কোনো মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়লে, এআই ব্যবহার করে অপতথ্য ছড়াতে তা দ্রুত কীভাবে রোধ করা যাবে এবং বিদ্যমান অবকাঠামোগত পরিস্থিতিতে সঠিক তথ্য কীভাবে পৌঁছানো সম্ভব হবে তা বিবেচনা করতে হবে।’
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এটা ২৪ ঘণ্টার কাজ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কত লোক লাগবে, ফ্যাক্ট চেকিং মেকানিজম কীভাবে কাজ
করবে, সংস্থাগুলোর কাজ কীভাবে সমন্বয় করা হবে এবং কার কী কাজ হবে এবং যেখানে মিথ্যা তথ্যের উৎপত্তি হচ্ছে, সেখানে সঠিক তথ্য কীভাবে দ্রুত পৌঁছানো যাবে- তার সুস্পষ্ট সুপারিশ আসবে আশা করি।’
সিইসি বলেন, ‘ফ্যাক্ট চেকিং মেকানিজম দ্রুত কাজ করতে হবে। তাই আমাদের সমন্বিত ব্যবস্থা ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু একটা গাইডলাইন চাই না। সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত সুপারিশ চাই।’
স্বাগত বক্তব্যে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এক জরিপে দেখা গেছে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যে ভয়াবহতা, তার প্রেক্ষাপটে দেখা যায় যে- বিশ্বের ৯২% নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ভালো অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অপব্যবহার রোধের ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা দরকার।’