ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) পুলিশের সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজে বাঁচার জন্য অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে আসামীপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষদিনে এসব কথা বলেন তিনি।
সাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়ে এদিন যুক্তি খণ্ডন করেন আমির হোসেন। বিশেষ করে রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনের সাক্ষ্য সামনে আনেন। তাদের দেয়া সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যান করে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত এ আইনজীবী বলেন, ‘রাজসাক্ষী হয়ে আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাঁচতে চাইছেন’ ।
এছাড়াও সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান ভিন্ন মতাদর্শী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে দেখতে পারেন না বলে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীর জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে তার সাক্ষ্য এ মামলায় প্রভাব পড়বে না বলেও দাবি করেন আইনজীবী।
এর আগে, গত ১৬ অক্টোবর টানা পাঁচদিন এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে প্রসিকিউশন। প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক শেষে রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী আমির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য এক সপ্তাহ সময় চাইলে আদালত তাকে তিনদিন সময় দেন। পরে গত সোমবার থেকে রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন।
গত ১৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এ সময় আদালতে শেখ হাসিনার ‘১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া দরকার’ বলে দাবি করেন তাজুল। পাশাপাশি রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের শাস্তির বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেন তিনি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) পুলিশের সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজে বাঁচার জন্য অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে আসামীপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষদিনে এসব কথা বলেন তিনি।
সাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়ে এদিন যুক্তি খণ্ডন করেন আমির হোসেন। বিশেষ করে রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনের সাক্ষ্য সামনে আনেন। তাদের দেয়া সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যান করে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত এ আইনজীবী বলেন, ‘রাজসাক্ষী হয়ে আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাঁচতে চাইছেন’ ।
এছাড়াও সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান ভিন্ন মতাদর্শী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে দেখতে পারেন না বলে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীর জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে তার সাক্ষ্য এ মামলায় প্রভাব পড়বে না বলেও দাবি করেন আইনজীবী।
এর আগে, গত ১৬ অক্টোবর টানা পাঁচদিন এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে প্রসিকিউশন। প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক শেষে রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী আমির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য এক সপ্তাহ সময় চাইলে আদালত তাকে তিনদিন সময় দেন। পরে গত সোমবার থেকে রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন।
গত ১৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এ সময় আদালতে শেখ হাসিনার ‘১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া দরকার’ বলে দাবি করেন তাজুল। পাশাপাশি রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের শাস্তির বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেন তিনি।