ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে সামনে যে নির্বাচন- এই নির্বাচনটি নিয়ে কি আমরা খুব ভয় পাচ্ছি? ভয়ের কোনো কারণ নেই। ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে কিছুদিন প্রশাসন খুব দোদুল্যমান ছিল। অমুকে গিয়ে বলছে এটা করতে হবে। তমুকে গিয়ে বলছে এটা করতে হবে। আমি অমুক আমার কথায় চলবে। এ রকম একটা পরিস্থিতি ছিল।
খুব কঠিন সময় পার করেছেন আপনারা কোনো সন্দেহ নেই। এখন মোটামুটিভাবে উপজেলাপর্যায়ের যে সমস্যাগুলো অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘তাহলে আপনাদের (ইউএনওদের) ভয় নেই এবং এখনকার পর্যায়ে সবচেয়ে ক্ষমতাবান অফিসার কে? উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এটা আপনি চেয়ারে আপনি হয়তো টের পান না। আমাদের যে ভোটকেন্দ্রগুলো হবে ছোটখাট রিপিয়ার যেগুলো হবে এগুলো আপনারা একটু খেয়াল করবেন।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের অনেকে হয়তোবা মনে করতে পারেন যে সামনে কী অবস্থা হতে পারে?। আজ (বুধবার) পত্রিকায় দেখলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবহ সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন থেকে আপনাদের প্রতি মেসেজ হচ্ছে কোনো ভয় নেই। সঠিক কাজ করবেন, নির্বাচন কমিশন আপনাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো কাজ করলে কিন্তু সাংঘাতিক পেরেশানিতে পড়বেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের মান সম্মান যে ভুলণ্ঠিত হয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের যে সুযোগটি এসেছে এটি কাজে লাগাতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে এটি স্বাভাবিক, এই সময়ে আপনার সততার নিষ্ঠা দেখানোর সুযোগ।’
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘প্রবাসী ভোটারদের জন্য পোস্টাল ভোটবিডি অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া ১৬ নভেম্বর (আগামী) থেকে শুরু হতে পারে। এটাকে আমরা অনলাইনে নিয়ে গেছি। সেই অ্যাপ্লিকেশনটা এই মুহূর্তে ট্রায়াল রানে আছে। আশা করছি নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি এই অ্যাপ্লিকেশনটা সবার ব্যবহারের জন্য লঞ্চ করতে পারবো।’
নির্বাচনকে প্রাধান্য দিয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবার যেন আমরা এই নির্বাচনের গুরুত্বটা উপলব্ধি করি। বলার অপেক্ষা রাখে না, সবাই বুঝতে পারছেন যে বাংলাদেশের রাষ্ট্র এবং জাতি হিসেবে আমাদের ইতিহাসে সম্ভবত ওয়ান অব মোস্ট কনসিকুয়েনশিয়াল ইলেকশন এটা। আমরা এই গুরুত্বটা অনুধাবন করবো। আমাদের সব কাজ থাকলেও এটাকে প্রায়রিটি কাজ হিসেবে নিয়ে যেন আমাদের দায়িত্বটা পালন করি। প্রশাসন কঠোর নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাবে এই আবহাওয়াটা তৈরি করতে হবে।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আপনারা কিন্তু একটা ওয়ান অব দি কি প্লেয়ারস টু এনসিউর এনভারনমেন্ট রিমেনস কন্ডিউসিভ এবং নির্বাচন মাঠে যারা আছেন তারা যেন তাদের আচরণবিধি মেনে চলেন এবং থ্রেশহোল্ডের ওপরে না যান। এটা এখন থেকেই কিন্তু আমাদের এই আবহটা তৈরি করতে হবে। এবারের নির্বাচনের অপরচুনিটি যে আমরা সমন্বিতভাবে মাঠ প্রশাসন যে একটা দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারি।’
ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে সামনে যে নির্বাচন- এই নির্বাচনটি নিয়ে কি আমরা খুব ভয় পাচ্ছি? ভয়ের কোনো কারণ নেই। ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে কিছুদিন প্রশাসন খুব দোদুল্যমান ছিল। অমুকে গিয়ে বলছে এটা করতে হবে। তমুকে গিয়ে বলছে এটা করতে হবে। আমি অমুক আমার কথায় চলবে। এ রকম একটা পরিস্থিতি ছিল।
খুব কঠিন সময় পার করেছেন আপনারা কোনো সন্দেহ নেই। এখন মোটামুটিভাবে উপজেলাপর্যায়ের যে সমস্যাগুলো অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘তাহলে আপনাদের (ইউএনওদের) ভয় নেই এবং এখনকার পর্যায়ে সবচেয়ে ক্ষমতাবান অফিসার কে? উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এটা আপনি চেয়ারে আপনি হয়তো টের পান না। আমাদের যে ভোটকেন্দ্রগুলো হবে ছোটখাট রিপিয়ার যেগুলো হবে এগুলো আপনারা একটু খেয়াল করবেন।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের অনেকে হয়তোবা মনে করতে পারেন যে সামনে কী অবস্থা হতে পারে?। আজ (বুধবার) পত্রিকায় দেখলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবহ সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন থেকে আপনাদের প্রতি মেসেজ হচ্ছে কোনো ভয় নেই। সঠিক কাজ করবেন, নির্বাচন কমিশন আপনাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো কাজ করলে কিন্তু সাংঘাতিক পেরেশানিতে পড়বেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের মান সম্মান যে ভুলণ্ঠিত হয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের যে সুযোগটি এসেছে এটি কাজে লাগাতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে এটি স্বাভাবিক, এই সময়ে আপনার সততার নিষ্ঠা দেখানোর সুযোগ।’
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘প্রবাসী ভোটারদের জন্য পোস্টাল ভোটবিডি অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া ১৬ নভেম্বর (আগামী) থেকে শুরু হতে পারে। এটাকে আমরা অনলাইনে নিয়ে গেছি। সেই অ্যাপ্লিকেশনটা এই মুহূর্তে ট্রায়াল রানে আছে। আশা করছি নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি এই অ্যাপ্লিকেশনটা সবার ব্যবহারের জন্য লঞ্চ করতে পারবো।’
নির্বাচনকে প্রাধান্য দিয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবার যেন আমরা এই নির্বাচনের গুরুত্বটা উপলব্ধি করি। বলার অপেক্ষা রাখে না, সবাই বুঝতে পারছেন যে বাংলাদেশের রাষ্ট্র এবং জাতি হিসেবে আমাদের ইতিহাসে সম্ভবত ওয়ান অব মোস্ট কনসিকুয়েনশিয়াল ইলেকশন এটা। আমরা এই গুরুত্বটা অনুধাবন করবো। আমাদের সব কাজ থাকলেও এটাকে প্রায়রিটি কাজ হিসেবে নিয়ে যেন আমাদের দায়িত্বটা পালন করি। প্রশাসন কঠোর নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাবে এই আবহাওয়াটা তৈরি করতে হবে।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আপনারা কিন্তু একটা ওয়ান অব দি কি প্লেয়ারস টু এনসিউর এনভারনমেন্ট রিমেনস কন্ডিউসিভ এবং নির্বাচন মাঠে যারা আছেন তারা যেন তাদের আচরণবিধি মেনে চলেন এবং থ্রেশহোল্ডের ওপরে না যান। এটা এখন থেকেই কিন্তু আমাদের এই আবহটা তৈরি করতে হবে। এবারের নির্বাচনের অপরচুনিটি যে আমরা সমন্বিতভাবে মাঠ প্রশাসন যে একটা দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারি।’
ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।