ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মামলায় পলাতক আসামিরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না- এমন বিধান সংবলিত সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশী, কারা হেফাজতে থাকা নাগরিক এবং ভোটের দিন নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য জন্য পোস্টাল ভোটিং (ডাকযোগে ভোট) চালু, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ বাতিলসহ বেশ কয়েকটি বিধান অনুমোদন পেয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে।
উপদেষ্টা পরিষেদের বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত:
ইভিএম বাতিল, সব ভোট ব্যালটে
ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসী, কারাবাসী ও ভোটের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা
একক প্রার্থী হলে ‘না’ ভোটের বিধান
প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক
জোটের প্রার্থী হলেও ভোটে লড়তে হবে নিজ দলের প্রতীকে
জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার
অনিয়ম বন্ধে ইসি প্রয়োজনে পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে
বৃহস্পতিবার,(২৩ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আসিফ নজরুল ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ক্ষেত্রে যে ইম্পোর্টেন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট করা হয়েছে। ইভিএমসংক্রান্ত বিধান বিলুপ্ত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতায় পলাতক ব্যক্তিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।’
পলাতক আসামি বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আফিস নজরুল বলেন, ‘পলাতক হচ্ছে- আদালত যখন পলাতক ঘোষণা করে। যেদিন আদালত আপনাকে আসতে বলছে, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে, আসছেন না- আদালত পলাতক ঘোষণা করে। বিচার চলাকালীন সময়ে পলাতক হয়।’
এর আগে এ মাসেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। সেই সংশোধনী অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় কারও বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলে সেই ব্যক্তি জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
আসছে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে (রোজার আগে) ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচন কমিশনও সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) অনেক নেতার বিচার চলছে। এছাড়া অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দলটির অনেক নেতা আত্মগোপনে চলে গেছেন, যাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা রয়েছেন। তাদের প্রায় সবার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ নেতারা আদালত থেকে পলাতক ঘোষিত হলে ত্রয়োদশ জাতীয় জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন না।
‘প্রার্থীদের হলফনামায় এফিডেভিটের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আয়ের উৎসের বিবরণ দেয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে’, জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব কিছু মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন- প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয়ের উৎস, সম্পত্তি, বিবরণ নির্বাচন কমিশনে দিতে হবে। এটা ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দেন, সবাই জানবে কার কী সম্পত্তি। উনি নির্দেশ দিয়েছেন, এ সংক্রান্ত বিধান আইনে থাকবে।’
এবার ভোটে প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা এবং একক প্রার্থীর আসনে ‘না’ ভোটের বিধান করা হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নো ভোটের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে না ভোট হবে। ২০১৪ সালের ভুয়া, সাজানো নির্বাচন যেন না হয়- সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন যে প্রার্থী পছন্দ না, সেখানে না ভোট দিতে পারবে।’
জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে সংশোধিত আরপিও-তে। আগে ভোটের সময় জোটভুক্ত হয়ে জনপ্রিয় বা বড় দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগ ছিল। এবার সে সুযোগ থাকছে না বলে জানিয়েছেন আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি জোট হলে, জোটের অংশ হলেও দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে; যাতে ভোটাররা ক্লিয়ার আইডিয়া পায় উনি কোন দলের।’
পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধান আরপিও যুক্ত করা হয়েছে। চালু করা হচ্ছে আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং। ভোটের দিন নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিরা, প্রবাসী বাংলাদেশিরা, কারা হেফাজতে থাকা নাগরিকরা ভোট দিতে পারবেন। এখন থেকে এ ব্যক্তিরা চাইলে অনলাইনে নিবন্ধন করে ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান আসিফ নজরুল।
রাজনৈতিক দলের অনুদানের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেয়ার বিধান করা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘যিনি অনুদান দেবেন, তার ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।’
অনিয়ম বন্ধে ইসি প্রয়োজনে পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে- এমন বিধান যুক্ত করা হয়ে বলেও জানান এ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আগের আইনে বিধান ছিল- কোনো ভোটকেন্দ্রে গণ্ডগোল হলে কেন্দ্রের ফলাফল বাতিলের। এখন ইসি যদি মনে করে একটা নির্বাচনী এলাকাতেই এত অনিয়ম হয়েছে, পুরো এলাকার ভোট বাতিল করা উচিত; তাহলে সেটা করতে পারবে। সে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
মামলায় পলাতক আসামিরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না- এমন বিধান সংবলিত সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশী, কারা হেফাজতে থাকা নাগরিক এবং ভোটের দিন নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য জন্য পোস্টাল ভোটিং (ডাকযোগে ভোট) চালু, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ বাতিলসহ বেশ কয়েকটি বিধান অনুমোদন পেয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে।
উপদেষ্টা পরিষেদের বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত:
ইভিএম বাতিল, সব ভোট ব্যালটে
ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসী, কারাবাসী ও ভোটের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা
একক প্রার্থী হলে ‘না’ ভোটের বিধান
প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক
জোটের প্রার্থী হলেও ভোটে লড়তে হবে নিজ দলের প্রতীকে
জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার
অনিয়ম বন্ধে ইসি প্রয়োজনে পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে
বৃহস্পতিবার,(২৩ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আসিফ নজরুল ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ক্ষেত্রে যে ইম্পোর্টেন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট করা হয়েছে। ইভিএমসংক্রান্ত বিধান বিলুপ্ত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতায় পলাতক ব্যক্তিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।’
পলাতক আসামি বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আফিস নজরুল বলেন, ‘পলাতক হচ্ছে- আদালত যখন পলাতক ঘোষণা করে। যেদিন আদালত আপনাকে আসতে বলছে, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে, আসছেন না- আদালত পলাতক ঘোষণা করে। বিচার চলাকালীন সময়ে পলাতক হয়।’
এর আগে এ মাসেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। সেই সংশোধনী অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় কারও বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলে সেই ব্যক্তি জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
আসছে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে (রোজার আগে) ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচন কমিশনও সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) অনেক নেতার বিচার চলছে। এছাড়া অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দলটির অনেক নেতা আত্মগোপনে চলে গেছেন, যাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা রয়েছেন। তাদের প্রায় সবার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ নেতারা আদালত থেকে পলাতক ঘোষিত হলে ত্রয়োদশ জাতীয় জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন না।
‘প্রার্থীদের হলফনামায় এফিডেভিটের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আয়ের উৎসের বিবরণ দেয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে’, জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব কিছু মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন- প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয়ের উৎস, সম্পত্তি, বিবরণ নির্বাচন কমিশনে দিতে হবে। এটা ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দেন, সবাই জানবে কার কী সম্পত্তি। উনি নির্দেশ দিয়েছেন, এ সংক্রান্ত বিধান আইনে থাকবে।’
এবার ভোটে প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা এবং একক প্রার্থীর আসনে ‘না’ ভোটের বিধান করা হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নো ভোটের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে না ভোট হবে। ২০১৪ সালের ভুয়া, সাজানো নির্বাচন যেন না হয়- সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন যে প্রার্থী পছন্দ না, সেখানে না ভোট দিতে পারবে।’
জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে সংশোধিত আরপিও-তে। আগে ভোটের সময় জোটভুক্ত হয়ে জনপ্রিয় বা বড় দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগ ছিল। এবার সে সুযোগ থাকছে না বলে জানিয়েছেন আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি জোট হলে, জোটের অংশ হলেও দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে; যাতে ভোটাররা ক্লিয়ার আইডিয়া পায় উনি কোন দলের।’
পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধান আরপিও যুক্ত করা হয়েছে। চালু করা হচ্ছে আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং। ভোটের দিন নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিরা, প্রবাসী বাংলাদেশিরা, কারা হেফাজতে থাকা নাগরিকরা ভোট দিতে পারবেন। এখন থেকে এ ব্যক্তিরা চাইলে অনলাইনে নিবন্ধন করে ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান আসিফ নজরুল।
রাজনৈতিক দলের অনুদানের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেয়ার বিধান করা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘যিনি অনুদান দেবেন, তার ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।’
অনিয়ম বন্ধে ইসি প্রয়োজনে পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে- এমন বিধান যুক্ত করা হয়ে বলেও জানান এ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আগের আইনে বিধান ছিল- কোনো ভোটকেন্দ্রে গণ্ডগোল হলে কেন্দ্রের ফলাফল বাতিলের। এখন ইসি যদি মনে করে একটা নির্বাচনী এলাকাতেই এত অনিয়ম হয়েছে, পুরো এলাকার ভোট বাতিল করা উচিত; তাহলে সেটা করতে পারবে। সে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।’