সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর তিন ‘সহযোগীকে’ দুর্নীতির দুই মামলায় ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার পৃথক দুই আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ। আসামিরা হলেন-ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও আরামিট পিএলসির এজিএম মো. আব্দুল আজিজ, ক্লাসিক ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও আরামিট পিএলসির এজিএম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং আরামিট পিএলসি এজিএম উৎপল পাল। এদিন তাদের আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ৭দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন দুই তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান এবং সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান। শুনানি নিয়ে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন।
দুদকের প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমী বলেন,‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান আসামিদের ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাচার করে। সেজন্য দুই মামলায় তাদের প্রত্যেককে ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়েছে।’
গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসেন বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ইউসিবি পিএলসির মহাখালী শাখার গ্রাহক সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড ও ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিনকে ‘চাপ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ’ করেছেন।
তারা অন্য আসামিদের সহযোগিতায় ঋণ অনুমোদন করিয়ে ‘ঘুষ গ্রহণ করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থ বিদেশে পাচার করে’ মানিলন্ডারিংসহ অন্যান্য ধারায় অপরাধ করেছেন বলে দুদকের ভাষ্য। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সজীব আহমেদ বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধ অন্য মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়,আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসি’র ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার গ্রাহক প্রতিষ্ঠান বেস্ট সার্ভিসেস লিমিটেড (বর্তমানে আইকনক্স সার্ভিসেস লিমিটেড)-এর চেয়ারম্যান আমিন আহম্মেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উম্মে কুলসুমের কাছ থেকে ‘ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চাপ সৃষ্টি করে ৬০ কোটি টাকা উৎকোচ’ গ্রহণ করেন। এ লেনদেনে আরামিট গ্রুপের কর্মচারী ভুয়া প্রতিষ্ঠান ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং মালিক মো. আব্দুল আজিজ, ক্লাসিক ট্রেডিং এর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মডেল ট্রেডিংয়ের মোহাম্মদ মিছাবাহল আলম, লুসেন্ট ট্রেডিংয়ের মোহাম্মদ জাহিদ ও রেডিয়াস ট্রেডিংয়ের মো. ফরিদ উদ্দিনদের সহযোগিতা করে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ করেছেন বলে দুদকের অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর তিন ‘সহযোগীকে’ দুর্নীতির দুই মামলায় ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার পৃথক দুই আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ। আসামিরা হলেন-ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও আরামিট পিএলসির এজিএম মো. আব্দুল আজিজ, ক্লাসিক ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও আরামিট পিএলসির এজিএম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং আরামিট পিএলসি এজিএম উৎপল পাল। এদিন তাদের আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ৭দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন দুই তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান এবং সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান। শুনানি নিয়ে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন।
দুদকের প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমী বলেন,‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান আসামিদের ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাচার করে। সেজন্য দুই মামলায় তাদের প্রত্যেককে ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়েছে।’
গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসেন বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ইউসিবি পিএলসির মহাখালী শাখার গ্রাহক সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড ও ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিনকে ‘চাপ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ’ করেছেন।
তারা অন্য আসামিদের সহযোগিতায় ঋণ অনুমোদন করিয়ে ‘ঘুষ গ্রহণ করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থ বিদেশে পাচার করে’ মানিলন্ডারিংসহ অন্যান্য ধারায় অপরাধ করেছেন বলে দুদকের ভাষ্য। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সজীব আহমেদ বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধ অন্য মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়,আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসি’র ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার গ্রাহক প্রতিষ্ঠান বেস্ট সার্ভিসেস লিমিটেড (বর্তমানে আইকনক্স সার্ভিসেস লিমিটেড)-এর চেয়ারম্যান আমিন আহম্মেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উম্মে কুলসুমের কাছ থেকে ‘ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চাপ সৃষ্টি করে ৬০ কোটি টাকা উৎকোচ’ গ্রহণ করেন। এ লেনদেনে আরামিট গ্রুপের কর্মচারী ভুয়া প্রতিষ্ঠান ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং মালিক মো. আব্দুল আজিজ, ক্লাসিক ট্রেডিং এর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মডেল ট্রেডিংয়ের মোহাম্মদ মিছাবাহল আলম, লুসেন্ট ট্রেডিংয়ের মোহাম্মদ জাহিদ ও রেডিয়াস ট্রেডিংয়ের মো. ফরিদ উদ্দিনদের সহযোগিতা করে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ করেছেন বলে দুদকের অভিযোগ।