ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়ার তত্ত্বাবধানে এবং লিবিয়ার জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের সার্বিক সহযোগিতা ও ব্যবস্থাপনায় ত্রিপলি থেকে স্বেচ্ছায় দেশে প্রত্যাবর্তনে আগ্রহী ৩০৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক শুক্রবার,(২৪ অক্টোবর ২০২৫) সকালে একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরেছেন। এটি লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় পরিচালিত দ্বিতীয় চার্টার ফ্লাইট বলে জানিয়েছে ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস।
রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়া এবং অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়কালে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ দূতাবাস লিবিয়ায় অবস্থানরত অভিবাসীদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক নিবন্ধিত অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের জন্য দূতাবাস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় গত ৯ অক্টোবর প্রথম দফায় ৩০৯ জন এবং আজ দ্বিতীয় দফায় আরও ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে।’
রাষ্ট্রদূত অভিবাসীদের দেশে ফিরে মানবপাচার প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে অনুরোধ করেন। তিনি অনিয়মিত উপায়ে বিদেশ যাত্রার ঝুঁকি ও ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে স্থানীয়ভাবে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত সবাইকে দালালচক্রের বিরুদ্ধে দেশে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন এবং এ বিষয়ে দূতাবাসের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন।
মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত আরও বলেন, ‘প্রত্যেক নাগরিক দেশের সম্পদ। তাই ভবিষ্যতে কেউ যেন অবৈধ পথে বিদেশে না যায়।’ বরং বৈধ উপায়ে, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে দেশের সম্মান, মর্যাদা ও উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
তিনি লিবিয়ার জাতীয় ঐকমত্যের সরকার, বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ দূতাবাস ও লিবিয়া সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ফলেই বাংলাদেশি অভিবাসীদের এই নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।’
প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশি নাগরিকরা ইতিপূর্বে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার জন্য দূতাবাসে আবেদন করেছিলেন। পরবর্তীতে দূতাবাস লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করে এবং অভিবাসীদের অনুকূলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বহিঃগমন ছাড়পত্র সংগ্রহ সহ সব প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়ার তত্ত্বাবধানে এবং লিবিয়ার জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের সার্বিক সহযোগিতা ও ব্যবস্থাপনায় ত্রিপলি থেকে স্বেচ্ছায় দেশে প্রত্যাবর্তনে আগ্রহী ৩০৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক শুক্রবার,(২৪ অক্টোবর ২০২৫) সকালে একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরেছেন। এটি লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় পরিচালিত দ্বিতীয় চার্টার ফ্লাইট বলে জানিয়েছে ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস।
রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়া এবং অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়কালে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ দূতাবাস লিবিয়ায় অবস্থানরত অভিবাসীদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক নিবন্ধিত অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের জন্য দূতাবাস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় গত ৯ অক্টোবর প্রথম দফায় ৩০৯ জন এবং আজ দ্বিতীয় দফায় আরও ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে।’
রাষ্ট্রদূত অভিবাসীদের দেশে ফিরে মানবপাচার প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে অনুরোধ করেন। তিনি অনিয়মিত উপায়ে বিদেশ যাত্রার ঝুঁকি ও ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে স্থানীয়ভাবে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত সবাইকে দালালচক্রের বিরুদ্ধে দেশে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন এবং এ বিষয়ে দূতাবাসের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন।
মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত আরও বলেন, ‘প্রত্যেক নাগরিক দেশের সম্পদ। তাই ভবিষ্যতে কেউ যেন অবৈধ পথে বিদেশে না যায়।’ বরং বৈধ উপায়ে, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে দেশের সম্মান, মর্যাদা ও উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
তিনি লিবিয়ার জাতীয় ঐকমত্যের সরকার, বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ দূতাবাস ও লিবিয়া সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ফলেই বাংলাদেশি অভিবাসীদের এই নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।’
প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশি নাগরিকরা ইতিপূর্বে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার জন্য দূতাবাসে আবেদন করেছিলেন। পরবর্তীতে দূতাবাস লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করে এবং অভিবাসীদের অনুকূলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বহিঃগমন ছাড়পত্র সংগ্রহ সহ সব প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।