শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনা তদন্তে ঢাকায় এসেছে তুরস্কের ৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। রোববার, (২৬ অক্টোবর ২০২৫) সকালে দলটি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন ফার্স্ট ডিগ্রি চিফ সুপারিনটেনডেন্ট ওইকুন ইলগুন। এ সময় বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনও উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রণালয় বলছে, বৈঠকে কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষজ্ঞ দল তদন্তে সব ধরনের কারিগরি ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দেয়া আশ্বাস দেয়।

এ সময় শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘এই সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে এবং তদন্ত কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, অতিরিক্ত সচিব হুমায়রা সুলতানা।

গত ১৮ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে লাগা আগুন ওইদিন রাত ৯টায় নিয়ন্ত্রণে আসার পর বিমান চলাচল শুরু হয়। তবে পুরোপুরি নেভাতে লেগে যায় ২৭ ঘণ্টা। ওই অগ্নিকা-ে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ-ইএবি।

স্বরষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গতকাল শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে বলেছিলেন, ‘বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকা-ের ঘটনায় কোনো অব্যবস্থাপনা ছিল কিনা, সেটি খতিয়ে দেখতে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্কের বিশেষজ্ঞরা আসবেন। তারা তদন্ত করে এর কারণ ও দায় নির্ধারণে সহায়তা করবেন।’

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস ব্যর্থ হয়নি দাবি করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। তারা সময় মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ করেছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ও ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ফায়ার সার্ভিসের অন্য ইউনিটগুলোও ১৫ থেকে ২০

মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে আসে।’

তিনি বলেন, ‘কার্গো ভিলেজে দাহ্য পদার্থ বেশি থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে গার্মেন্টস পণ্য বেশি ছিল এবং কিছু কেমিক্যালও ছিল। ‘আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সময় লেগেছে। তাছাড়া অনেক সময় বাতাসের কারণেও আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগে। ওই দিন রাত ৯টায় পুনরায় ফ্লাইট ওঠা-নামা চালু করা সম্ভব হয়েছে।’