ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আজ জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই তারিখে রাতের আঁধারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে।
প্রায় আড়াই মাস আগে ওই বছরেরই ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ এই চার সহকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। একাত্তওে শেখ মুজিবুর রহমান যখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন, তখন মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই চার জন, যারা পরে ‘জাতীয় নেতা’ হিসেবে পরিচিতি পান। ওইসময় ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিকভাবে জনমত তৈরি করা, সবকিছুতেই তারা সম্মুখ সারিতে ছিলেন।
শেখ মুজিবুর রহমান তখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকা সত্ত্বেও তাকেই রাষ্ট্রপতি করে প্রবাসী সরকার গঠন করেছিলেন ওই নেতারা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন গঠিত অস্থায়ী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাজউদ্দীন আহমেদকে করা হয় প্রধানমন্ত্রী। সেই ক্রান্তিকালে মনসুর আলী ছিলেন প্রবাসী সরকারের অর্থমন্ত্রী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘জাতীয় চার নেতাকে’ হত্যার ঘটনায় ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ হত্যাকা-ের ঘটনায় করা মামলা জেল হত্যা মামলা নামে পরিচিতি পায়।
মামলার তদন্ত থেমে ছিল ২১ বছর। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। দলীয়ভাবে ৩ নভেম্বর ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন শুরু হয়।
হত্যাকাণ্ডের ২৯ বছর পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ৮; মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ৩ জন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
আজ জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই তারিখে রাতের আঁধারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে।
প্রায় আড়াই মাস আগে ওই বছরেরই ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ এই চার সহকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। একাত্তওে শেখ মুজিবুর রহমান যখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন, তখন মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই চার জন, যারা পরে ‘জাতীয় নেতা’ হিসেবে পরিচিতি পান। ওইসময় ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিকভাবে জনমত তৈরি করা, সবকিছুতেই তারা সম্মুখ সারিতে ছিলেন।
শেখ মুজিবুর রহমান তখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকা সত্ত্বেও তাকেই রাষ্ট্রপতি করে প্রবাসী সরকার গঠন করেছিলেন ওই নেতারা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন গঠিত অস্থায়ী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাজউদ্দীন আহমেদকে করা হয় প্রধানমন্ত্রী। সেই ক্রান্তিকালে মনসুর আলী ছিলেন প্রবাসী সরকারের অর্থমন্ত্রী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘জাতীয় চার নেতাকে’ হত্যার ঘটনায় ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ হত্যাকা-ের ঘটনায় করা মামলা জেল হত্যা মামলা নামে পরিচিতি পায়।
মামলার তদন্ত থেমে ছিল ২১ বছর। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। দলীয়ভাবে ৩ নভেম্বর ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন শুরু হয়।
হত্যাকাণ্ডের ২৯ বছর পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ৮; মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ৩ জন।