আরও ৪ জনের মৃত্যু, ১১০১ জন হাসপাতালে
রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে শিশুর ডেঙ্গু পরীক্ষা -সংবাদ
গত ২৪ ঘন্টায় রাজধানীতে ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১০১ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার,(০৪ নভেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৭৩ হাজার ৯২৩ জন। এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় নিহত ৪ জনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ৩ জন এবং ঢাকা উত্তরে ১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে- বরিশাল বিভাগে ১৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৫ জন, ঢাকা বিভাগে ২০৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৪১ জন, ঢাকা দক্ষিণে ১৭৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৫ জন, রংপুর বিভাগে ১৯ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জনের তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
হাসপাতালের তথ্য মতে- ঢাকা মেডিকেলে ১৮২ জন, মিটফোর্ডে ৪৩ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২৫ জন, সোহ্রাওয়ার্দীতে ৫২ জন, মুগদা মেডিকেলে ১৯২ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৯২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১৭৩ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি হাসপাতালে ৯০৫ জন এবং সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ৩ হাজার ১০২ জন ভর্তি আছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাসার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, চলতি নভেম্বর মাসেও ডেঙ্গু কমছে না বরং পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক পর্যায়ে আছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের আবহাওয়া এখন আর আগের নিয়মে চলে না। আগে সেপ্টেম্বর মাসে বৃষ্টি প্রায় বন্ধ হয়ে যেত। এখন অক্টোবরের শেষেদিকেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। যা এডিস মশার প্রজননের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে।
তার মতে, ডেঙ্গু এখন আর মৌসুমী রোগ নয়। এটি জনস্বাস্থ্য সংকটে পরিণত হয়েছে। আগে বর্ষাকালে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন অক্টোবর ও নভেম্বর মাস পেরিয়ে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বিস্তার করবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। এজন্য পরিস্থিতি আরও জটিল ও উদ্বেগজনক হতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা করেছেন।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রশাসনিক অদক্ষতা, অভিজ্ঞ ও দক্ষ কীটতত্ত্ববিদ নিয়োগ না করা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ধীরগতি। ডেঙ্গু মোকাবিলায় নাগরিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এডিস মশার ৮০ শতাংশ প্রজনন স্থানই মানুষের আবাসিক বা কর্মস্থল পরিবেশে অবস্থিত।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
আরও ৪ জনের মৃত্যু, ১১০১ জন হাসপাতালে
রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে শিশুর ডেঙ্গু পরীক্ষা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
গত ২৪ ঘন্টায় রাজধানীতে ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১০১ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার,(০৪ নভেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৭৩ হাজার ৯২৩ জন। এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় নিহত ৪ জনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ৩ জন এবং ঢাকা উত্তরে ১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে- বরিশাল বিভাগে ১৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৫ জন, ঢাকা বিভাগে ২০৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৪১ জন, ঢাকা দক্ষিণে ১৭৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৫ জন, রংপুর বিভাগে ১৯ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জনের তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
হাসপাতালের তথ্য মতে- ঢাকা মেডিকেলে ১৮২ জন, মিটফোর্ডে ৪৩ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২৫ জন, সোহ্রাওয়ার্দীতে ৫২ জন, মুগদা মেডিকেলে ১৯২ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৯২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১৭৩ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি হাসপাতালে ৯০৫ জন এবং সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ৩ হাজার ১০২ জন ভর্তি আছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাসার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, চলতি নভেম্বর মাসেও ডেঙ্গু কমছে না বরং পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক পর্যায়ে আছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের আবহাওয়া এখন আর আগের নিয়মে চলে না। আগে সেপ্টেম্বর মাসে বৃষ্টি প্রায় বন্ধ হয়ে যেত। এখন অক্টোবরের শেষেদিকেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। যা এডিস মশার প্রজননের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে।
তার মতে, ডেঙ্গু এখন আর মৌসুমী রোগ নয়। এটি জনস্বাস্থ্য সংকটে পরিণত হয়েছে। আগে বর্ষাকালে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন অক্টোবর ও নভেম্বর মাস পেরিয়ে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বিস্তার করবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। এজন্য পরিস্থিতি আরও জটিল ও উদ্বেগজনক হতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা করেছেন।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রশাসনিক অদক্ষতা, অভিজ্ঞ ও দক্ষ কীটতত্ত্ববিদ নিয়োগ না করা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ধীরগতি। ডেঙ্গু মোকাবিলায় নাগরিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এডিস মশার ৮০ শতাংশ প্রজনন স্থানই মানুষের আবাসিক বা কর্মস্থল পরিবেশে অবস্থিত।