প্রতিপাদ্য: থাকবে পুলিশ জনপদে, ভোট দিবেন নিরাপদে
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার,(০৪ নভেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ৪৮ হাজার ১৩৪ জন পুলিশ সদস্যের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে।
গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের ওপর ট্রেনিং অব ট্রেইনার কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে দেড় লাখ পুলিশ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা সংসদ নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের প্রত্যেকের কর্মকা- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য। পুলিশের আইজিপি (পুলিশপ্রধান) বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পুলিশের সব ইউনিটপ্রধানকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যতাযথভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
আইজিপি মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরজমিনে পরিদর্শনের জন্য গত রোববার রাজশাহী ও বগুড়ায় সফর করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং দরকারি দিক নির্দেশনা দেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
উল্লেখ্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ আগামী মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। উল্লেখ্য জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ সদস্যদের এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন এবারই প্রথম।
এদিকে নির্বাচনের প্রশিক্ষণ গাইডলাইন থেকে জানা গেছে, নির্বাচনের আগে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, প্রয়োগ, সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা এবং আন্তঃসংস্থা বা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় সাধন। পুলিশের প্রশিক্ষরা বলছেন, থাকবে পুলিশ জনপদে, ভোট দিবেন নিরাপদে এমন প্রতিপাদ্য তৈরি করে প্রশিক্ষণ গাইড তৈরি করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ভোটের সময় নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে কোনো প্রার্থী যদি নির্দিষ্ট এলাকায় গিয়ে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করে। যাদের কার্যক্রম নির্বাচনী পরিবেশে ব্যাঘাত সৃষ্টি করার সম্ভাবনা রাখে, এমন তথ্যকে গোয়েন্দা তথ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এটা গোয়েন্দা তথ্যের একটি উপাদান।
রাজনৈতিক কার্যক্রম, প্রচারণা এবং সম্ভাব্য সহিংসতার ঝুঁকি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট, গুজব ছড়ানো। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র, সহিংসতার সম্ভাবনা আছে এমন এলাকা এবং ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা।
জনগণের মনোভাব, ক্ষোভ, ছাত্র-তরুণদের গতিবিধি, নির্বাচনী অনিয়ম, ভোট কারচুপি, অর্থ বিতরণ, প্রার্থীদের পটভূমি, নিরাপত্তা হুমকি, সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও বিস্ফোরকের উপস্থিতি, কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা ও নির্বাচনী সামগ্রীসংক্রান্তে বাধা দেয়া হতে পারে এ রকম আশঙ্কা তথ্যসহ নানা কিছু পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
রাজনৈতিক উত্তেজনায় করণীয়: জাতীয় নির্বাচনে একজন প্রার্থী যখন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন। তখন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা তার পোস্টার ছিড়ে ফেলে এবং প্রচারণায় বাধার সৃষ্টি করে তখন একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে কী করতে হবে তাও প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।
নির্বাচনের সময় অপরাধের প্রমাণ হিসেবে অডিও এবং ভিডিও আদালতে গ্রহণ নিয়ে নানা ধরনের গাইডলাইন ও বাংলাদেশের দ-বিধি আইন প্রশিক্ষণে তুলে ধরা হচ্ছে।
নির্বাচনী আচরণ বিধি: মসজিদ, মন্দির, গির্জায় নির্বাচন প্রচারণা চালানো যাবে না। উসকানিমূলক, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন বক্তব্য দেয়া যাবে না।
ভোটের দিন কেন্দ্রে অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ও লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। এসব কিছু নির্বাচন আচরণবিধি-২০০৮-এর ধারা ১১তে কোনগুলো উল্লেখ নেই এমন সব প্রশ্নসহ নতুন নতুন কোর্সে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
যদি কোনো প্রার্থী কোনো ভোটারকে ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে। নির্বাচনে ঘুষ দেয়া নেয়া বা অবৈধ প্রভাব খাটানো অপরাধ। এসব অপরাধ করলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ২৩ ধারা মতে ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা? এছাড়াও ভোট কেন্দ্রের সুশৃঙ্খল লাইন ও স্থানীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখা, কেন্দ্র ও কার্যালয়ের নিরাপত্তা, কর্মকর্তাদের সুরক্ষা, নির্বাচনী সরঞ্জাম ও নথি রক্ষা করা। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ নানা ধরনের কৌশল সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।
এভাবে দেশের পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার ও একাডেমিগুলোতে পুলিশ সদস্যদের ভাগ ভাগ করে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার, রাতে একজন প্রশিক্ষক জানান, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বিকেল সাড়ে ৪টা কিংবা ৫টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ সময় প্রশিক্ষণ ভাতা থেকে প্রশিক্ষণার্থীরা খরচ বহন করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
প্রতিপাদ্য: থাকবে পুলিশ জনপদে, ভোট দিবেন নিরাপদে
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার,(০৪ নভেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ৪৮ হাজার ১৩৪ জন পুলিশ সদস্যের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে।
গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের ওপর ট্রেনিং অব ট্রেইনার কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে দেড় লাখ পুলিশ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা সংসদ নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের প্রত্যেকের কর্মকা- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য। পুলিশের আইজিপি (পুলিশপ্রধান) বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পুলিশের সব ইউনিটপ্রধানকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যতাযথভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
আইজিপি মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরজমিনে পরিদর্শনের জন্য গত রোববার রাজশাহী ও বগুড়ায় সফর করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং দরকারি দিক নির্দেশনা দেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
উল্লেখ্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ আগামী মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। উল্লেখ্য জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ সদস্যদের এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন এবারই প্রথম।
এদিকে নির্বাচনের প্রশিক্ষণ গাইডলাইন থেকে জানা গেছে, নির্বাচনের আগে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, প্রয়োগ, সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা এবং আন্তঃসংস্থা বা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় সাধন। পুলিশের প্রশিক্ষরা বলছেন, থাকবে পুলিশ জনপদে, ভোট দিবেন নিরাপদে এমন প্রতিপাদ্য তৈরি করে প্রশিক্ষণ গাইড তৈরি করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ভোটের সময় নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে কোনো প্রার্থী যদি নির্দিষ্ট এলাকায় গিয়ে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করে। যাদের কার্যক্রম নির্বাচনী পরিবেশে ব্যাঘাত সৃষ্টি করার সম্ভাবনা রাখে, এমন তথ্যকে গোয়েন্দা তথ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এটা গোয়েন্দা তথ্যের একটি উপাদান।
রাজনৈতিক কার্যক্রম, প্রচারণা এবং সম্ভাব্য সহিংসতার ঝুঁকি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট, গুজব ছড়ানো। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র, সহিংসতার সম্ভাবনা আছে এমন এলাকা এবং ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা।
জনগণের মনোভাব, ক্ষোভ, ছাত্র-তরুণদের গতিবিধি, নির্বাচনী অনিয়ম, ভোট কারচুপি, অর্থ বিতরণ, প্রার্থীদের পটভূমি, নিরাপত্তা হুমকি, সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও বিস্ফোরকের উপস্থিতি, কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা ও নির্বাচনী সামগ্রীসংক্রান্তে বাধা দেয়া হতে পারে এ রকম আশঙ্কা তথ্যসহ নানা কিছু পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
রাজনৈতিক উত্তেজনায় করণীয়: জাতীয় নির্বাচনে একজন প্রার্থী যখন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন। তখন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা তার পোস্টার ছিড়ে ফেলে এবং প্রচারণায় বাধার সৃষ্টি করে তখন একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে কী করতে হবে তাও প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।
নির্বাচনের সময় অপরাধের প্রমাণ হিসেবে অডিও এবং ভিডিও আদালতে গ্রহণ নিয়ে নানা ধরনের গাইডলাইন ও বাংলাদেশের দ-বিধি আইন প্রশিক্ষণে তুলে ধরা হচ্ছে।
নির্বাচনী আচরণ বিধি: মসজিদ, মন্দির, গির্জায় নির্বাচন প্রচারণা চালানো যাবে না। উসকানিমূলক, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন বক্তব্য দেয়া যাবে না।
ভোটের দিন কেন্দ্রে অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ও লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। এসব কিছু নির্বাচন আচরণবিধি-২০০৮-এর ধারা ১১তে কোনগুলো উল্লেখ নেই এমন সব প্রশ্নসহ নতুন নতুন কোর্সে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
যদি কোনো প্রার্থী কোনো ভোটারকে ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে। নির্বাচনে ঘুষ দেয়া নেয়া বা অবৈধ প্রভাব খাটানো অপরাধ। এসব অপরাধ করলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ২৩ ধারা মতে ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা? এছাড়াও ভোট কেন্দ্রের সুশৃঙ্খল লাইন ও স্থানীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখা, কেন্দ্র ও কার্যালয়ের নিরাপত্তা, কর্মকর্তাদের সুরক্ষা, নির্বাচনী সরঞ্জাম ও নথি রক্ষা করা। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ নানা ধরনের কৌশল সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।
এভাবে দেশের পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার ও একাডেমিগুলোতে পুলিশ সদস্যদের ভাগ ভাগ করে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার, রাতে একজন প্রশিক্ষক জানান, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বিকেল সাড়ে ৪টা কিংবা ৫টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ সময় প্রশিক্ষণ ভাতা থেকে প্রশিক্ষণার্থীরা খরচ বহন করেন।