মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদার রায়ে বলেছেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হলো। এ মামলার জুলাই শহীদদের ‘কনসিডারেবল অ্যামাউন্ট অব কম্পেনসেশন’ (উল্লেখযোগ্য ক্ষতিপূরণ) দিতে সরকারকে নির্দেশ দেয়া হলো। আদালত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে রায়ের কপি দেয়ার নির্দেশ দেন।
রায় ঘোষণার পর বিভিন্ন মহল থেকে জানতে চেষ্টা করা হচ্ছে সে দুইজনের কার কত সম্পদ রয়েছে।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীকে সম্পদের হিসেব নির্বাচন কমিশনের দাখিল করতে হয়। সম্পদের সে হিসাব নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করে। যে কেউ ইচ্ছে করতে নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে গিয়ে সব প্রার্থীর সম্পদের পরিমাণ জানতে পারেন। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসামদুজ্জামান খান কামালের সম্পদের হিসাব দেয়া আছে। এর বাইরেও শেখ হাসিনার কিছু সম্পদের কথা সংবাদ মাধ্যমে ছাপা হয়েছে।
শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে ও আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকা-১২ আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। তখন নির্বাচন কমিশনে তারা সম্পদের বিবরণ এবং হলফনামা জমা দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা তখন হলফনামায় নিজের নামে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব দিয়েছিলেন। তখন নিজের হাতে নগদ অর্থ দেখিয়েছিলেন সাড়ে ২৮ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকার পরিমাণ ছিল প্রায় ২ কোটি ৩৯ লাখ। ছিল ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও ৫৫ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর)।
শেখ হাসিনা হলফনামায় তিনটি ব্যক্তিগত গাড়ি থাকার কথা জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে একটি উপহারের। সেটির দাম দেখাননি। বাকি দুটির দাম দেখিয়েছিলেন সাড়ে ৪৭ লাখ টাকা। সোনা ও অন্য মূল্যবান ধাতুর দাম দেখিয়েছিলেন ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। নিজের আসবাবের দাম ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেখিয়েছিলেন তিনি।
হলফনামায় শেখ হাসিনা নিজের কৃষিজমির পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ১৫ দশমিক ৩ বিঘা, যার ক্রয়কৃত অংশের মূল্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এ জমি টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ সদর, গাজীপুর ও রংপুরে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।
ঢাকার উত্তরে গাজীপুর জেলার মৌচাকের তেলিরচালা এলাকায় বাংলাদেশ স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পূর্ব পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের একটি বাগানবাড়ি আছে। জানা গেছে, ১৯৭০ সালের দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এ জমি লিখে দিয়েছিলেন। উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিক হয়েছেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। পরে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জমির কিছু অংশ সন্তানদের লিখে দেন। সেই সূত্রে মালিক হন শেখ হাসিনার সন্তান সজীব ওয়াজেদ ও সায়মা ওয়াজেদ এবং শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক। নথিপত্রে জমির পরিমাণ ২৯৭ শতক (৯ বিঘা)।
হলফনামা অনুযায়ী, ঢাকার পূর্বাচলে একটি প্লট রয়েছে শেখ হাসিনার নামে, যার দাম ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার নামে এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, ছোট বোন শেখ রেহানা (রেহানা সিদ্দিক), রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের (রূপন্তী) নামে পূর্বাচলে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। সব মিলিয়ে এ পরিবারের ছয়জন মোট ৬০ কাঠা জমি পেয়েছেন। এসব প্লট ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে নেয়া হয়েছে বলে দুদকের মামলা চলছে এখনো।
হলফনামায় শেখ হাসিনা তিনতলা ভবনসহ ৬ দশমিক ১০ শতক (আংশিক) জমি নিজের নামে দেখিয়েছেন। এ জমি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। এর অর্জনকালীন মূল্য দেখানো হয়েছে ৫ লাখ টাকা।
ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটির মালিকানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের হাতে রয়েছে। শেখ হাসিনার বাসভবন ধানমন্ডির সুধা সদনের মালিকানা রয়েছে সজীব ওয়াজেদ ও সায়মা ওয়াজেদের নামে।
আসাদুজ্জামান খানের সম্পদ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল যে হলফনামা দিয়েছিলেন, তাতে ঘোষিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মধ্যে হাতে নগদ দেখিয়েছিলেন ৮৪ লাখ টাকার কিছু বেশি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা দেখান ৮২ লাখ টাকার মতো। বন্ড ও শেয়ার ছিল প্রায় ২৪ লাখ টাকার। ডাকঘর, সঞ্চয়পত্র অথবা স্থায়ী আমানত দেখিয়েছিলেন ২ কোটি ১ লাখ টাকা।
আসাদুজ্জামান খান দুটি মোটরগাড়ির দাম দেখিয়েছিলেন ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। তার ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ও আসবাব ছিল ২ লাখ টাকার। তিনি ঋণ বাবদ ব্যবসার মূলধন দেখিয়েছিলেন ২ কোটি ২০ লাখ টাকার। সোনা দেখান ১০ ভরি, তবে দাম উল্লেখ ছিল না।
হলফনামা দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আসাদুজ্জামান খানের কৃষিজমির পরিমাণ ১৭১ শতাংশ (৫ বিঘার বেশি), যার অর্জনকালীন মূল্য ১ কোটি ৬ লাখ টাকা। অকৃষিজমি সাড়ে ১৮ শতাংশ, যার অর্জনকালীন মূল্য সাড়ে ৫৮ লাখ টাকা। তিনি বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্টের ঘরে দুটি সম্পদের মূল্য দেখিয়েছেন। একটি গ্রামের বাড়ি বলে উল্লেখ করেছেন, যার অর্জনকালীন মূল্য ৮০ লাখ টাকা। অন্যদিকে আরেকটির মূল্য দেখানো হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে আসাদুজ্জামান খানের সম্পদের অর্থমূল্য ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার মতো (১০ ভরি সোনার মূল্য বাদে)। তবে দুদক জানিয়েছে, জ্ঞাত আয়ের বাইরেও তার ১৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রেখেছেন তিনি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদার রায়ে বলেছেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হলো। এ মামলার জুলাই শহীদদের ‘কনসিডারেবল অ্যামাউন্ট অব কম্পেনসেশন’ (উল্লেখযোগ্য ক্ষতিপূরণ) দিতে সরকারকে নির্দেশ দেয়া হলো। আদালত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে রায়ের কপি দেয়ার নির্দেশ দেন।
রায় ঘোষণার পর বিভিন্ন মহল থেকে জানতে চেষ্টা করা হচ্ছে সে দুইজনের কার কত সম্পদ রয়েছে।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীকে সম্পদের হিসেব নির্বাচন কমিশনের দাখিল করতে হয়। সম্পদের সে হিসাব নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করে। যে কেউ ইচ্ছে করতে নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে গিয়ে সব প্রার্থীর সম্পদের পরিমাণ জানতে পারেন। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসামদুজ্জামান খান কামালের সম্পদের হিসাব দেয়া আছে। এর বাইরেও শেখ হাসিনার কিছু সম্পদের কথা সংবাদ মাধ্যমে ছাপা হয়েছে।
শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে ও আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকা-১২ আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। তখন নির্বাচন কমিশনে তারা সম্পদের বিবরণ এবং হলফনামা জমা দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা তখন হলফনামায় নিজের নামে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব দিয়েছিলেন। তখন নিজের হাতে নগদ অর্থ দেখিয়েছিলেন সাড়ে ২৮ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকার পরিমাণ ছিল প্রায় ২ কোটি ৩৯ লাখ। ছিল ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও ৫৫ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর)।
শেখ হাসিনা হলফনামায় তিনটি ব্যক্তিগত গাড়ি থাকার কথা জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে একটি উপহারের। সেটির দাম দেখাননি। বাকি দুটির দাম দেখিয়েছিলেন সাড়ে ৪৭ লাখ টাকা। সোনা ও অন্য মূল্যবান ধাতুর দাম দেখিয়েছিলেন ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। নিজের আসবাবের দাম ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেখিয়েছিলেন তিনি।
হলফনামায় শেখ হাসিনা নিজের কৃষিজমির পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ১৫ দশমিক ৩ বিঘা, যার ক্রয়কৃত অংশের মূল্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এ জমি টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ সদর, গাজীপুর ও রংপুরে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।
ঢাকার উত্তরে গাজীপুর জেলার মৌচাকের তেলিরচালা এলাকায় বাংলাদেশ স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পূর্ব পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের একটি বাগানবাড়ি আছে। জানা গেছে, ১৯৭০ সালের দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এ জমি লিখে দিয়েছিলেন। উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিক হয়েছেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। পরে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জমির কিছু অংশ সন্তানদের লিখে দেন। সেই সূত্রে মালিক হন শেখ হাসিনার সন্তান সজীব ওয়াজেদ ও সায়মা ওয়াজেদ এবং শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক। নথিপত্রে জমির পরিমাণ ২৯৭ শতক (৯ বিঘা)।
হলফনামা অনুযায়ী, ঢাকার পূর্বাচলে একটি প্লট রয়েছে শেখ হাসিনার নামে, যার দাম ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার নামে এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, ছোট বোন শেখ রেহানা (রেহানা সিদ্দিক), রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের (রূপন্তী) নামে পূর্বাচলে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। সব মিলিয়ে এ পরিবারের ছয়জন মোট ৬০ কাঠা জমি পেয়েছেন। এসব প্লট ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে নেয়া হয়েছে বলে দুদকের মামলা চলছে এখনো।
হলফনামায় শেখ হাসিনা তিনতলা ভবনসহ ৬ দশমিক ১০ শতক (আংশিক) জমি নিজের নামে দেখিয়েছেন। এ জমি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। এর অর্জনকালীন মূল্য দেখানো হয়েছে ৫ লাখ টাকা।
ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটির মালিকানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের হাতে রয়েছে। শেখ হাসিনার বাসভবন ধানমন্ডির সুধা সদনের মালিকানা রয়েছে সজীব ওয়াজেদ ও সায়মা ওয়াজেদের নামে।
আসাদুজ্জামান খানের সম্পদ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল যে হলফনামা দিয়েছিলেন, তাতে ঘোষিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মধ্যে হাতে নগদ দেখিয়েছিলেন ৮৪ লাখ টাকার কিছু বেশি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা দেখান ৮২ লাখ টাকার মতো। বন্ড ও শেয়ার ছিল প্রায় ২৪ লাখ টাকার। ডাকঘর, সঞ্চয়পত্র অথবা স্থায়ী আমানত দেখিয়েছিলেন ২ কোটি ১ লাখ টাকা।
আসাদুজ্জামান খান দুটি মোটরগাড়ির দাম দেখিয়েছিলেন ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। তার ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ও আসবাব ছিল ২ লাখ টাকার। তিনি ঋণ বাবদ ব্যবসার মূলধন দেখিয়েছিলেন ২ কোটি ২০ লাখ টাকার। সোনা দেখান ১০ ভরি, তবে দাম উল্লেখ ছিল না।
হলফনামা দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আসাদুজ্জামান খানের কৃষিজমির পরিমাণ ১৭১ শতাংশ (৫ বিঘার বেশি), যার অর্জনকালীন মূল্য ১ কোটি ৬ লাখ টাকা। অকৃষিজমি সাড়ে ১৮ শতাংশ, যার অর্জনকালীন মূল্য সাড়ে ৫৮ লাখ টাকা। তিনি বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্টের ঘরে দুটি সম্পদের মূল্য দেখিয়েছেন। একটি গ্রামের বাড়ি বলে উল্লেখ করেছেন, যার অর্জনকালীন মূল্য ৮০ লাখ টাকা। অন্যদিকে আরেকটির মূল্য দেখানো হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে আসাদুজ্জামান খানের সম্পদের অর্থমূল্য ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার মতো (১০ ভরি সোনার মূল্য বাদে)। তবে দুদক জানিয়েছে, জ্ঞাত আয়ের বাইরেও তার ১৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রেখেছেন তিনি।