ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের ঘোষণা অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে এলেও এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করণীয় ঠিক করতে অধ্যাদেশ জারির অপেক্ষায় থাকার কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
বুধবার,(১৯ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে সিইসি বলেনে, ‘অধ্যাদেশটা হলে তখন আমার একটা দায়বদ্ধতা আসবে এ ব্যাপারে বক্তব্য দেয়ার। কিন্তু রাজনীতিবিদরা অনেক জিজ্ঞাসা করছেন, কীভাবে করবেন, কীভাবে এগুলোর জবাব দেবেন, কতটা বাক্স করবেন। এগুলোর সব চিন্তা, এক্সারসাইজ শুরু করবো আমরা অধ্যাদেশটা হওয়ার পর।’
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কম অভিজ্ঞতা হয়নি; যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে। শুধু আমাদের উচিত হবে, দেশের আর্থ সামাজিক, রাজনৈতিক, সামাজিক বাস্তবতাটা মেনে নিয়ে চিন্তাভাবনাটা করা।’
রাজনৈতিক বাস্তবতা কী, তা রাজনীতিকরা জানেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বয়স হওয়ার পর থেকে দেশের রাজনীতিকদের দেখে আসছি। ছাত্র অবস্থায় মান্না ভাইকে পেয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা হিসেবে। স্যারের (বিএনপির আবদুল মঈন খান) সঙ্গে তো চাকরিই করেছি। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ডিল করতে করতে এবং এ দেশের নির্বাচন দেখতে দেখতে, পাকিস্তান আমল থেকে দেখে এসেছি, বেসিক ডেমোক্রেসি থেকে সব কিছু।’
সিইসি বলেন, ‘আমি আর খোলাসা করে বলতে চাই না। এগুলোর হিটওয়েব আমি ফিল করি এখানে বসে। রাজনৈতিক বাস্তবতার হিটওয়েবটা আমাকে ফিল করতে হয়। কারণ, এটা খুব মসৃণ বাস্তবতা নয়। সামাজিক বাস্তবতাও সেরকম। এগুলো বিবেচনায় নিয়েই আমাদেরকে এগোতে হচ্ছে।’
নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘এমন নয় যে কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষে, আপনাদেরও যদি এখানে বসিয়ে দিই, এগুলোকে উপেক্ষা করে যাওয়া সম্ভব নয়। বাস্তবতা যেটা আছে, সেটা বিবেচনায় নিয়ে আপনাকে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুত নিতে হবে। বাস্তবতাটা পুরোপুরি উপেক্ষা করা না সম্ভব নয়।’
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সবকিছু যদি ঐকমত্য কমিশনের জন্য বসে থাকতাম, আমি জানি না নির্বাচন আদৌ করতে পারতাম কি না। তিনি বলেন, ‘গণভোটের কথা এসেছে। আগে আইনটা তো হতে হবে।’
ভোটার উপস্থিতি
সকালে প্রথম পর্বের সংলাপে স্বাগত বক্তব্যে সিইসি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি ও আচরণবিধি পরিপালনে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংলাপের মূল উদ্দেশ্য দুটো। আচরণবিধি জারি হয়েছে। আচরণবিধি পরিপাল ও সহযোগিতা চাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’
কিছু বিলম্বে এ সংলাপ হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘আমরা আনন্দিত আপনারা ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন। সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছে। এতে ইসির কাজ সহজ হয়েছে।’
গত ১৫ বছরে দেশের ভোটাররা ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের কথায় তৃণমূল সরাসরি প্রভাবিত হয়। আপনারা উদ্বুদ্ধ করেন ভোটকেন্দ্রে আসতে, ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে। দলীয় প্রার্থীরা যেন আচরণবিধি পরিপালন করে।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের ঘোষণা অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে এলেও এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করণীয় ঠিক করতে অধ্যাদেশ জারির অপেক্ষায় থাকার কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
বুধবার,(১৯ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে সিইসি বলেনে, ‘অধ্যাদেশটা হলে তখন আমার একটা দায়বদ্ধতা আসবে এ ব্যাপারে বক্তব্য দেয়ার। কিন্তু রাজনীতিবিদরা অনেক জিজ্ঞাসা করছেন, কীভাবে করবেন, কীভাবে এগুলোর জবাব দেবেন, কতটা বাক্স করবেন। এগুলোর সব চিন্তা, এক্সারসাইজ শুরু করবো আমরা অধ্যাদেশটা হওয়ার পর।’
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কম অভিজ্ঞতা হয়নি; যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে। শুধু আমাদের উচিত হবে, দেশের আর্থ সামাজিক, রাজনৈতিক, সামাজিক বাস্তবতাটা মেনে নিয়ে চিন্তাভাবনাটা করা।’
রাজনৈতিক বাস্তবতা কী, তা রাজনীতিকরা জানেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বয়স হওয়ার পর থেকে দেশের রাজনীতিকদের দেখে আসছি। ছাত্র অবস্থায় মান্না ভাইকে পেয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা হিসেবে। স্যারের (বিএনপির আবদুল মঈন খান) সঙ্গে তো চাকরিই করেছি। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ডিল করতে করতে এবং এ দেশের নির্বাচন দেখতে দেখতে, পাকিস্তান আমল থেকে দেখে এসেছি, বেসিক ডেমোক্রেসি থেকে সব কিছু।’
সিইসি বলেন, ‘আমি আর খোলাসা করে বলতে চাই না। এগুলোর হিটওয়েব আমি ফিল করি এখানে বসে। রাজনৈতিক বাস্তবতার হিটওয়েবটা আমাকে ফিল করতে হয়। কারণ, এটা খুব মসৃণ বাস্তবতা নয়। সামাজিক বাস্তবতাও সেরকম। এগুলো বিবেচনায় নিয়েই আমাদেরকে এগোতে হচ্ছে।’
নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘এমন নয় যে কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষে, আপনাদেরও যদি এখানে বসিয়ে দিই, এগুলোকে উপেক্ষা করে যাওয়া সম্ভব নয়। বাস্তবতা যেটা আছে, সেটা বিবেচনায় নিয়ে আপনাকে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুত নিতে হবে। বাস্তবতাটা পুরোপুরি উপেক্ষা করা না সম্ভব নয়।’
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সবকিছু যদি ঐকমত্য কমিশনের জন্য বসে থাকতাম, আমি জানি না নির্বাচন আদৌ করতে পারতাম কি না। তিনি বলেন, ‘গণভোটের কথা এসেছে। আগে আইনটা তো হতে হবে।’
ভোটার উপস্থিতি
সকালে প্রথম পর্বের সংলাপে স্বাগত বক্তব্যে সিইসি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি ও আচরণবিধি পরিপালনে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংলাপের মূল উদ্দেশ্য দুটো। আচরণবিধি জারি হয়েছে। আচরণবিধি পরিপাল ও সহযোগিতা চাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’
কিছু বিলম্বে এ সংলাপ হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘আমরা আনন্দিত আপনারা ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন। সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছে। এতে ইসির কাজ সহজ হয়েছে।’
গত ১৫ বছরে দেশের ভোটাররা ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের কথায় তৃণমূল সরাসরি প্রভাবিত হয়। আপনারা উদ্বুদ্ধ করেন ভোটকেন্দ্রে আসতে, ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে। দলীয় প্রার্থীরা যেন আচরণবিধি পরিপালন করে।’