গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৬ জনের; এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৮৮ জন রোগী। তাতে এ বছর মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ৭১২ জনে।
নভেম্বর মাসের ১৮ দিনেই মারা গেলেন
৭১ জন
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই ডেঙ্গুতে বছরব্যাপী আক্রান্ত হচ্ছে
তাদের মধ্যে ৩৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুধবার, (১৯ নভেম্বর ২০২৫) বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৬ জনের মধ্যে ২ জন ঢাকা উত্তর সিটিতে, ১ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটির এবং ৩ জন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
চলতি নভেম্বর মাসে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হলেন ১৭ হাজার ৪৫০ জন; মৃত্যু হল ৭১ জনের।
এ বছর অক্টোবর মাসে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হন ২২ হাজার ৫২০ জন ডেঙ্গু রোগী, যা এ বছরের সর্বোচ্চ।
এছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ৭ জন, মে মাসে ৩ জন, জুন মাসে ১৯ জন, জুলাই মাসে ৪১ জন, আগস্ট মাসে ৩৯ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয় ডেঙ্গুতে। মার্চ মাসে এ রোগে কারও মৃত্যু হয়নি।
জানুয়ারিতে ১১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১৭৭৩ জন, জুন মাসে ৫৯৫১ জন, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪ জন, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন এবং সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহে রাখছে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাসার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গু মানব স্বাস্থ্যের জন্য এক বৈশ্বিক সংকটে রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভেক্টরবাহিত রোগ, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের বিস্তার হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে সতর্ক করেছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার শহরাঞ্চলগুলোতে এডিস ইজিপ্টি ও এডিস অ্যালপিকটাস মশার প্রজনন ও টিকে থাকার হার দ্রুত বাড়ছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এখন একটি আদর্শ কেস স্টাডি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। একসময় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকা ডেঙ্গু সংক্রমণ এখন জানুয়ারি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৬ জনের; এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৮৮ জন রোগী। তাতে এ বছর মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ৭১২ জনে।
নভেম্বর মাসের ১৮ দিনেই মারা গেলেন
৭১ জন
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই ডেঙ্গুতে বছরব্যাপী আক্রান্ত হচ্ছে
তাদের মধ্যে ৩৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুধবার, (১৯ নভেম্বর ২০২৫) বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৬ জনের মধ্যে ২ জন ঢাকা উত্তর সিটিতে, ১ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটির এবং ৩ জন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
চলতি নভেম্বর মাসে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হলেন ১৭ হাজার ৪৫০ জন; মৃত্যু হল ৭১ জনের।
এ বছর অক্টোবর মাসে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হন ২২ হাজার ৫২০ জন ডেঙ্গু রোগী, যা এ বছরের সর্বোচ্চ।
এছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ৭ জন, মে মাসে ৩ জন, জুন মাসে ১৯ জন, জুলাই মাসে ৪১ জন, আগস্ট মাসে ৩৯ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয় ডেঙ্গুতে। মার্চ মাসে এ রোগে কারও মৃত্যু হয়নি।
জানুয়ারিতে ১১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১৭৭৩ জন, জুন মাসে ৫৯৫১ জন, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪ জন, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন এবং সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহে রাখছে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাসার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গু মানব স্বাস্থ্যের জন্য এক বৈশ্বিক সংকটে রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভেক্টরবাহিত রোগ, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের বিস্তার হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে সতর্ক করেছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার শহরাঞ্চলগুলোতে এডিস ইজিপ্টি ও এডিস অ্যালপিকটাস মশার প্রজনন ও টিকে থাকার হার দ্রুত বাড়ছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এখন একটি আদর্শ কেস স্টাডি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। একসময় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকা ডেঙ্গু সংক্রমণ এখন জানুয়ারি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।