জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিষয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এ প্রস্তাবে- রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান এবং তাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য নতুন করে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথভাবে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার, (২০ নভেম্বর ২০২৫) ১০৫টি দেশ এ প্রস্তাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছরই প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকারের লাগাতার লঙ্ঘন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন, মানবিক সহায়তা প্রবেশাধিকারের ওপর বিধিনিষেধ এবং বাংলাদেশে ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে রোহিঙ্গাদের অব্যাহত অনুপ্রবেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এ প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য টেকসই আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সদস্যদেশগুলোকে তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানায়। তবে গত আট বছরে বাস্তুচ্যুত এই জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের জন্য কোনো কার্যকর অগ্রগতি হয়নি বলে প্রতিনিধিদলটি হতাশা প্রকাশ করে।
প্রতিনিধিদলটি বলেছে, বাংলাদেশ আর ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার বোঝা বহন করতে পারছে না। তাই তারা রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরাতে জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানায়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সাল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হয়ে বাস করতে শুরু করে, শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে প্রথম রোহিঙ্গারা প্রবেশ করে ১৯৭৮ সালে। দ্বিতীয় দফা রোহিঙ্গারা আসে ১৯৯১-৯২ সালে। তৃতীয় দফা প্রবেশ করে ২০১৬ সালে। সর্বশেষ মোটাদাগে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে ২০১৭ সালের আগস্টের ২৫ তারিখ থেকে এবং সে সময় প্রায় দুই মাসে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী আনুমানিক ৩-৫ লাখের মতো শরণার্থী বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। বেশিরভাগ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থিত কুতুপালং-এর মতো শরণার্থী শিবিরগুলোতে বাস করছে।
বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছে, কারণ এই বিপুলসংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিষয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এ প্রস্তাবে- রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান এবং তাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য নতুন করে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথভাবে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার, (২০ নভেম্বর ২০২৫) ১০৫টি দেশ এ প্রস্তাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছরই প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকারের লাগাতার লঙ্ঘন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন, মানবিক সহায়তা প্রবেশাধিকারের ওপর বিধিনিষেধ এবং বাংলাদেশে ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে রোহিঙ্গাদের অব্যাহত অনুপ্রবেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এ প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য টেকসই আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সদস্যদেশগুলোকে তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানায়। তবে গত আট বছরে বাস্তুচ্যুত এই জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের জন্য কোনো কার্যকর অগ্রগতি হয়নি বলে প্রতিনিধিদলটি হতাশা প্রকাশ করে।
প্রতিনিধিদলটি বলেছে, বাংলাদেশ আর ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার বোঝা বহন করতে পারছে না। তাই তারা রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরাতে জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানায়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সাল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হয়ে বাস করতে শুরু করে, শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে প্রথম রোহিঙ্গারা প্রবেশ করে ১৯৭৮ সালে। দ্বিতীয় দফা রোহিঙ্গারা আসে ১৯৯১-৯২ সালে। তৃতীয় দফা প্রবেশ করে ২০১৬ সালে। সর্বশেষ মোটাদাগে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে ২০১৭ সালের আগস্টের ২৫ তারিখ থেকে এবং সে সময় প্রায় দুই মাসে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী আনুমানিক ৩-৫ লাখের মতো শরণার্থী বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। বেশিরভাগ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থিত কুতুপালং-এর মতো শরণার্থী শিবিরগুলোতে বাস করছে।
বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছে, কারণ এই বিপুলসংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝা।