অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ শেষে যে পরিমাণ খাদ্য মজুত থাকার কথা, তার চেয়ে বেশি থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন আলী ইমাম মজুমদার।
এ বছর প্রতি কেজি ধান কেনা হবে ৩৪ টাকা করে, সিদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি এবং আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে
আমন মৌসুমের ধান, চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে বৃহস্পতিবার, (২০ নভেম্বর ২০২৫) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আশার বাণী শোনান।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, আগামী বছরের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে খাদ্য অধিদপ্তরের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে হবে, এজন্য তারা তখন নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মধ্য ফেব্রুয়ারির আগেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান চাল সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার শৈথিল্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
আমন মৌসুমের ধান, চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার, যা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। আলী ইমাম মজুমদার আরও বলেন, নির্বাচনের আগে আমাদের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় সবটা সংগ্রহ করে ফেলার জন্য আমরা চেষ্টা করবো। বর্তমান সরকার পরবর্তী সরকারের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে কাজগুলোকে কমফোর্টেবল রেখে যাবে। এ ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ বছর ধান কেনা হবে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা করে, সিদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি এবং আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে। এরমধ্যে বেশ কিছু চুক্তি হয়ে গেছে।
উপদেষ্টা আশা পোষণ করে বলেন, যে পরিমাণ খাদ্য সংগ্রহের টার্গেট দেয়া হয়েছে আমরা তা পূরণ করবে পারবো। আমরা ৫০ হাজার টন ধান, ৬ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার টন আতপ চালের যে টার্গেটটা দিয়েছি, সেটা মিনিমাম। তবে আমরা বলেছি টার্গেটটা ম্যাক্সিমাম যে যত করতে পারে তত ভালো। আমরা যত বেশি সংগ্রহ করতে পারবো তত বেশি বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমাতে পারবো।
তিনি বলেন, পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের বিতরণের জন্য সরকার সব সময় একটা মজুত গড়ে তুলে থাকে। সেই মজুতটা যাতে সন্তোষজনক ও নিরাপদ পর্যায়ে থাকে সে বিষয় আমরা সবসময় সক্রিয় ও সচেতন থাকি। এজন্য আমাদের কিছু পরিমাণ আমদানি করতে হয়। এ বছর বোরতে আমরা রেকর্ড পরিমাণ ধান চাল সংগ্রহ করেছি।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমাদের পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম ক্রমান্বয় সম্প্রসারিত হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৫ লাখ বৃদ্ধি করে ৫৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল দেয়া হচ্ছে। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি আগে ছিল পাঁচ মাস এ বছর এটা ছয় মাস করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস এগুলোর মাধ্যমে চালের দাম বাজারে দীর্ঘদিন স্থিতিশীল রয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ শেষে যে পরিমাণ খাদ্য মজুত থাকার কথা, তার চেয়ে বেশি থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন আলী ইমাম মজুমদার।
এ বছর প্রতি কেজি ধান কেনা হবে ৩৪ টাকা করে, সিদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি এবং আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে
আমন মৌসুমের ধান, চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে বৃহস্পতিবার, (২০ নভেম্বর ২০২৫) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আশার বাণী শোনান।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, আগামী বছরের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে খাদ্য অধিদপ্তরের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে হবে, এজন্য তারা তখন নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মধ্য ফেব্রুয়ারির আগেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান চাল সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার শৈথিল্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
আমন মৌসুমের ধান, চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার, যা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। আলী ইমাম মজুমদার আরও বলেন, নির্বাচনের আগে আমাদের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় সবটা সংগ্রহ করে ফেলার জন্য আমরা চেষ্টা করবো। বর্তমান সরকার পরবর্তী সরকারের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে কাজগুলোকে কমফোর্টেবল রেখে যাবে। এ ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ বছর ধান কেনা হবে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা করে, সিদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি এবং আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে। এরমধ্যে বেশ কিছু চুক্তি হয়ে গেছে।
উপদেষ্টা আশা পোষণ করে বলেন, যে পরিমাণ খাদ্য সংগ্রহের টার্গেট দেয়া হয়েছে আমরা তা পূরণ করবে পারবো। আমরা ৫০ হাজার টন ধান, ৬ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার টন আতপ চালের যে টার্গেটটা দিয়েছি, সেটা মিনিমাম। তবে আমরা বলেছি টার্গেটটা ম্যাক্সিমাম যে যত করতে পারে তত ভালো। আমরা যত বেশি সংগ্রহ করতে পারবো তত বেশি বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমাতে পারবো।
তিনি বলেন, পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের বিতরণের জন্য সরকার সব সময় একটা মজুত গড়ে তুলে থাকে। সেই মজুতটা যাতে সন্তোষজনক ও নিরাপদ পর্যায়ে থাকে সে বিষয় আমরা সবসময় সক্রিয় ও সচেতন থাকি। এজন্য আমাদের কিছু পরিমাণ আমদানি করতে হয়। এ বছর বোরতে আমরা রেকর্ড পরিমাণ ধান চাল সংগ্রহ করেছি।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমাদের পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম ক্রমান্বয় সম্প্রসারিত হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৫ লাখ বৃদ্ধি করে ৫৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল দেয়া হচ্ছে। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি আগে ছিল পাঁচ মাস এ বছর এটা ছয় মাস করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস এগুলোর মাধ্যমে চালের দাম বাজারে দীর্ঘদিন স্থিতিশীল রয়েছে।