গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে থাকা স্মার্টফোন ও গ্যাজেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ছেড়ে দেয়ার পর রাজধানীসহ সারাদেশের মোবাইল মার্কেটগুলো গতকাল সকাল থেকে খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে গতকাল বুধবার দিনভর মার্কেট বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়া ক্রেতা ও বিক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
বসুন্ধরা সিটির ‘মোবাইল সিটি’ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, ‘গত মঙ্গলবার রাতে এমবিসিবির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি পুলিশ আটক করার প্রতিবাদে মোবাইল বিক্রেতারা মোবাইল বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি ছেড়ে দেয়ার পর আমরা বৃহস্পতিবার, (২০ নভেম্বর ২০২৫) স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিনের মতো সব মোবাইল মার্কেটের দোকান খুলেছি। ক্রেতাদের সাময়িক অসুবিধা হওয়ায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’
মোবাইল মার্কেট চালুর বিষয়ে মোতালেব প্লাজার মোবাইল ব্যবসায়ী শাহ আলম ব্যাপারী বলেন, আমাদের এমবিসিবির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি পুলিশ ছেড়ে দেয়ায় মোবাইল বিক্রির মার্কেটগুলো খোলা থাকবে।’ ইস্টার্ণ প্লাজার মোবাইল বিক্রেতা সাইম প্লাসের স্বত্বাধিকারী মো. কামাল হোসেন বলেন, মোবাইল মার্কেটগুলো স্বাভাবিকভাবে খোলা রয়েছে। এমবিসিবির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি পুলিশ ছাড়ার পরেই ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান খুলেছেন। মার্কেট বন্ধ থাকার কারণে ক্রেতাদের অনেক অসুবিধা ও ক্ষতি হয়েছে।’
ডিবির কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে এমবিসিবির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াস বলেন, ‘আমাকে আটকের উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘এনইআইআর বাস্তবায়ন, মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন ঠেকানো। কিন্তু আমার আটকের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন থেকেই ব্যবসায়ীরা প্রতীকী ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যেহেতু সন্ধ্যায় আমাকে ডিবি ছেড়ে দিয়েছে, সেহেতু রাতেই মোবাইল ব্যবসায়ীরা সারদেশের মোবাইল মার্কেটগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাকে আটক করে সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করার চেষ্টা সফল হয়নি।’
ধানমন্ডি থেকে বসুন্ধরা মার্কেটে আসা দিনার আহমেদ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘নিউজে দেখলাম, মোবাইল মার্কেট বন্ধ। তবে একটা ফেইসবুক পেইজ থেকে মোবাইল বিক্রেতার নম্বরে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম মার্কেট চালু হয়েছে তাই চলে এলাম। তবে একটু ফাঁকা লাগছে, অনেকে হয়তো এখনও জানেন না মোবাইল মার্কেট চালু হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, অনিবন্ধিত মোবাইল হ্যান্ডসেটের ব্যবহার রোধ ও টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু করতে যাচ্ছে এনইআইআর ব্যবস্থা। এটি চালু হলে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নিবন্ধনবিহীন, চুরি হওয়া বা আমদানি অননুমোদিত ফোনের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ হবে বলে আশা করছে সরকার। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘এনইআইআর বাস্তবায়ন, মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এমবিসিবি। তবে গত মঙ্গলবার রাতে এমবিসিবির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াস ও সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বাসা থেকে নিয়ে যায়। এই ‘আটকের’ প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে ডিবি কার্যালয় ঘেরাও করেন। মিজানুর রহমানকে সকালে ও আবু সাঈদ পিয়াসকে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ডিবি ছেড়ে দেয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে থাকা স্মার্টফোন ও গ্যাজেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ছেড়ে দেয়ার পর রাজধানীসহ সারাদেশের মোবাইল মার্কেটগুলো গতকাল সকাল থেকে খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে গতকাল বুধবার দিনভর মার্কেট বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়া ক্রেতা ও বিক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
বসুন্ধরা সিটির ‘মোবাইল সিটি’ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, ‘গত মঙ্গলবার রাতে এমবিসিবির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি পুলিশ আটক করার প্রতিবাদে মোবাইল বিক্রেতারা মোবাইল বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি ছেড়ে দেয়ার পর আমরা বৃহস্পতিবার, (২০ নভেম্বর ২০২৫) স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিনের মতো সব মোবাইল মার্কেটের দোকান খুলেছি। ক্রেতাদের সাময়িক অসুবিধা হওয়ায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’
মোবাইল মার্কেট চালুর বিষয়ে মোতালেব প্লাজার মোবাইল ব্যবসায়ী শাহ আলম ব্যাপারী বলেন, আমাদের এমবিসিবির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি পুলিশ ছেড়ে দেয়ায় মোবাইল বিক্রির মার্কেটগুলো খোলা থাকবে।’ ইস্টার্ণ প্লাজার মোবাইল বিক্রেতা সাইম প্লাসের স্বত্বাধিকারী মো. কামাল হোসেন বলেন, মোবাইল মার্কেটগুলো স্বাভাবিকভাবে খোলা রয়েছে। এমবিসিবির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি পুলিশ ছাড়ার পরেই ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান খুলেছেন। মার্কেট বন্ধ থাকার কারণে ক্রেতাদের অনেক অসুবিধা ও ক্ষতি হয়েছে।’
ডিবির কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে এমবিসিবির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াস বলেন, ‘আমাকে আটকের উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘এনইআইআর বাস্তবায়ন, মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন ঠেকানো। কিন্তু আমার আটকের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন থেকেই ব্যবসায়ীরা প্রতীকী ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যেহেতু সন্ধ্যায় আমাকে ডিবি ছেড়ে দিয়েছে, সেহেতু রাতেই মোবাইল ব্যবসায়ীরা সারদেশের মোবাইল মার্কেটগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাকে আটক করে সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করার চেষ্টা সফল হয়নি।’
ধানমন্ডি থেকে বসুন্ধরা মার্কেটে আসা দিনার আহমেদ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘নিউজে দেখলাম, মোবাইল মার্কেট বন্ধ। তবে একটা ফেইসবুক পেইজ থেকে মোবাইল বিক্রেতার নম্বরে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম মার্কেট চালু হয়েছে তাই চলে এলাম। তবে একটু ফাঁকা লাগছে, অনেকে হয়তো এখনও জানেন না মোবাইল মার্কেট চালু হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, অনিবন্ধিত মোবাইল হ্যান্ডসেটের ব্যবহার রোধ ও টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু করতে যাচ্ছে এনইআইআর ব্যবস্থা। এটি চালু হলে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নিবন্ধনবিহীন, চুরি হওয়া বা আমদানি অননুমোদিত ফোনের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ হবে বলে আশা করছে সরকার। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘এনইআইআর বাস্তবায়ন, মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এমবিসিবি। তবে গত মঙ্গলবার রাতে এমবিসিবির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াস ও সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বাসা থেকে নিয়ে যায়। এই ‘আটকের’ প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে ডিবি কার্যালয় ঘেরাও করেন। মিজানুর রহমানকে সকালে ও আবু সাঈদ পিয়াসকে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ডিবি ছেড়ে দেয়।