আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে দুই ব্যক্তিকে তুলে নেয়ার ঘটনাকে ‘নজরদারি ও ভয়ের সংস্কৃতি অব্যাহত রাখার দৃষ্টান্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ জানায় সংস্থাটি।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড্ডার বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলকে ধরে নিয়ে যান, যিনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবসাও করেন। এরপর বুধবার ভোরে তাকে স্ত্রীর জিম্মায় বাসায় পৌঁছে দেয়া হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) শফিকুল আলম জানান।
একই ঘটনায় মোবাইল ফোনের ‘গ্রে মার্কেটের’ এক ব্যবসায়ী ‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের’ সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে রাত ৩টার দিকে তার মিরপুর ১ নম্বরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকেও ছেড়ে দেয়া হয়।
এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় টিআইবি বলছে, ‘বিটিআরসির এনইআইআর চালু করা প্রসঙ্গে ভিন্নমত দমনের অপচেষ্টার অংশ হিসেবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাকে তুলে নিয়ে দীর্ঘ সময় হেফাজতে রাখার ঘটনা আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষার অঙ্গীকার পদদলিত করে নজরদারি ও ভয়ের সংস্কৃতি অব্যাহত রাখার দৃষ্টান্ত। এ ধরনের অস্বচ্ছ ও জবাবদিহিহীন অভিযান পতিত কর্তৃত্ববাদী আমলের নজরদারি ও ভীতির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার হতাশাজনক পুনরাবৃত্তি, যা অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত আইনের শাসন ও মানবাধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র সংস্কার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনি সুরক্ষাকে গুরুতরভাবে হুমকির মুখে ফেলেছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে টিআইবি মনে করিয়ে দিতে চায়, সমালোচক মাত্রই শত্রু- এ মনোভাব আত্মঘাতী।’
টিআইবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদমাধ্যমের বরাতে বলা হয়, ‘এনইআইআর চালু করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে অংশীজনের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একজন সাংবাদিক এবং একজন ব্যবসায়ী নেতাকে মাঝরাতে তুলে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবির পক্ষ থেকে কখনো বলা হয়েছে ‘তথ্য যাচাইয়ের জন্য’ আনা হয়েছিল, আবার কখনো বলা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনের আমন্ত্রণপত্রে সভাপতির পদবি ব্যবহারের পর সাংবাদিকের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ব্যবহারের কারণে আনা হয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ভিন্নমত দমনে গভীর রাতে কারণ না জানিয়ে বাসা থেকে তুলে নেয়া, অভিযোগ গোপন রাখা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বক্তব্যে অসঙ্গতি- কর্তৃত্ববাদী নিপীড়নমূলক চর্চা অব্যাহত রাখার উদ্বেগজনক দৃষ্টান্ত।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে দুই ব্যক্তিকে তুলে নেয়ার ঘটনাকে ‘নজরদারি ও ভয়ের সংস্কৃতি অব্যাহত রাখার দৃষ্টান্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ জানায় সংস্থাটি।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড্ডার বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলকে ধরে নিয়ে যান, যিনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবসাও করেন। এরপর বুধবার ভোরে তাকে স্ত্রীর জিম্মায় বাসায় পৌঁছে দেয়া হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) শফিকুল আলম জানান।
একই ঘটনায় মোবাইল ফোনের ‘গ্রে মার্কেটের’ এক ব্যবসায়ী ‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের’ সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে রাত ৩টার দিকে তার মিরপুর ১ নম্বরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকেও ছেড়ে দেয়া হয়।
এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় টিআইবি বলছে, ‘বিটিআরসির এনইআইআর চালু করা প্রসঙ্গে ভিন্নমত দমনের অপচেষ্টার অংশ হিসেবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাকে তুলে নিয়ে দীর্ঘ সময় হেফাজতে রাখার ঘটনা আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষার অঙ্গীকার পদদলিত করে নজরদারি ও ভয়ের সংস্কৃতি অব্যাহত রাখার দৃষ্টান্ত। এ ধরনের অস্বচ্ছ ও জবাবদিহিহীন অভিযান পতিত কর্তৃত্ববাদী আমলের নজরদারি ও ভীতির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার হতাশাজনক পুনরাবৃত্তি, যা অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত আইনের শাসন ও মানবাধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র সংস্কার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনি সুরক্ষাকে গুরুতরভাবে হুমকির মুখে ফেলেছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে টিআইবি মনে করিয়ে দিতে চায়, সমালোচক মাত্রই শত্রু- এ মনোভাব আত্মঘাতী।’
টিআইবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদমাধ্যমের বরাতে বলা হয়, ‘এনইআইআর চালু করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে অংশীজনের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একজন সাংবাদিক এবং একজন ব্যবসায়ী নেতাকে মাঝরাতে তুলে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবির পক্ষ থেকে কখনো বলা হয়েছে ‘তথ্য যাচাইয়ের জন্য’ আনা হয়েছিল, আবার কখনো বলা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনের আমন্ত্রণপত্রে সভাপতির পদবি ব্যবহারের পর সাংবাদিকের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ব্যবহারের কারণে আনা হয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ভিন্নমত দমনে গভীর রাতে কারণ না জানিয়ে বাসা থেকে তুলে নেয়া, অভিযোগ গোপন রাখা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বক্তব্যে অসঙ্গতি- কর্তৃত্ববাদী নিপীড়নমূলক চর্চা অব্যাহত রাখার উদ্বেগজনক দৃষ্টান্ত।’