ডেঙ্গুতে আরও ৫৯৩ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শনিবার,(২২ নভেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৯ হাজার ৪৮৬ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৫৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৭ জন, ঢাকা বিভাগে ৮৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৭৮ জন, খুলনা বিভাগে ২৯ জন।
নিহত ৩ জনের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ২ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ৪৫ শিশু, ৬-১০ বছর বয়সের ২৩ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ২৯ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৬৩ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৮১ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ৯০ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ৭০ জন, ৩৬-৪০ বছর বয়সের ৫৭ জন, ৪১-৪৫ বছর বয়সের ৪৩ জন, ৪৬-৫০ বছর বয়সের ২৫ জন, ৭১-৭৫ বছরের ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাস্থ্যগত প্রভাব, বিশেষ করে ব্যাক্টেরিয়াবাহিত রোগ, যেমন- ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের
বিস্তার। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং আদ্রতার পরিবর্তনে এই রোগগুলোর সংক্রমণ পরিধি ও মৌসুমি ধরন আমুল বদলে দিচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে সতর্ক করেছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার শহরগুলোতে এডিস ইজিপ্টি ও এডিস অ্যালবোপিকটাস মশার প্রজনন ও টিকে থাকার হার দ্রুত বাড়ছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এখন একটি আদর্শ কেস স্টাডি, এক সময়ে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকা ডেঙ্গু সংক্রমণ এখন জানুয়ারি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
ডেঙ্গুর বিস্তার জলবায়ু উপাদানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের আবহাওয়ার ধরন বদলে গেছে। বর্ষাকাল দীর্ঘায়িত হয়েছে। অক্টোবর ও নভেম্বর মাস পর্যন্দ চলে বৃষ্টিপাত। এডিস মশা এই বৃষ্টিপাতের সুবিধা নিয়ে প্রজননচক্র চালিয়ে যায়।
অক্টোবরের শেষের দিকে বৃষ্টিতে ফুলের টব, ছাদের বালতি, পানির মিটার বা নির্মণাধীন ভবনের জলাধারে জমে থাকা পরিষ্কার পানি মশার ডিম থেকে লার্ভা বিকাশের সুযোগ তৈরি করে।
নভেম্বর মাসের তাপমাত্রা মশার বেঁচে থাকা ও পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য সবচেয়ে অনুকূল। যার ফলে বর্ষা শেষে শীতের শুরুতেও ডেঙ্গুর সংক্রমণ অব্যাহত আছে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণকে এককালীন প্রকল্প নয়। বরং জাতীয় জনস্বাস্থ্যনীতির স্থায়ী অংশ হিসেবে নিতে হবে। বাজেটে আলাদা বরাদ্দ, জবাবদিহি কাঠামো এবং দীর্ঘমেয়াদি ডেঙ্গুমুক্ত শহর কর্মপরিকল্পনা চালু করতে হবে বলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাসার তার এক প্রতিবেদনে মন্তব্য করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
ডেঙ্গুতে আরও ৫৯৩ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শনিবার,(২২ নভেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৯ হাজার ৪৮৬ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৫৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৭ জন, ঢাকা বিভাগে ৮৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৭৮ জন, খুলনা বিভাগে ২৯ জন।
নিহত ৩ জনের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ২ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ৪৫ শিশু, ৬-১০ বছর বয়সের ২৩ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ২৯ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৬৩ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৮১ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ৯০ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ৭০ জন, ৩৬-৪০ বছর বয়সের ৫৭ জন, ৪১-৪৫ বছর বয়সের ৪৩ জন, ৪৬-৫০ বছর বয়সের ২৫ জন, ৭১-৭৫ বছরের ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাস্থ্যগত প্রভাব, বিশেষ করে ব্যাক্টেরিয়াবাহিত রোগ, যেমন- ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের
বিস্তার। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং আদ্রতার পরিবর্তনে এই রোগগুলোর সংক্রমণ পরিধি ও মৌসুমি ধরন আমুল বদলে দিচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে সতর্ক করেছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার শহরগুলোতে এডিস ইজিপ্টি ও এডিস অ্যালবোপিকটাস মশার প্রজনন ও টিকে থাকার হার দ্রুত বাড়ছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এখন একটি আদর্শ কেস স্টাডি, এক সময়ে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকা ডেঙ্গু সংক্রমণ এখন জানুয়ারি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
ডেঙ্গুর বিস্তার জলবায়ু উপাদানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের আবহাওয়ার ধরন বদলে গেছে। বর্ষাকাল দীর্ঘায়িত হয়েছে। অক্টোবর ও নভেম্বর মাস পর্যন্দ চলে বৃষ্টিপাত। এডিস মশা এই বৃষ্টিপাতের সুবিধা নিয়ে প্রজননচক্র চালিয়ে যায়।
অক্টোবরের শেষের দিকে বৃষ্টিতে ফুলের টব, ছাদের বালতি, পানির মিটার বা নির্মণাধীন ভবনের জলাধারে জমে থাকা পরিষ্কার পানি মশার ডিম থেকে লার্ভা বিকাশের সুযোগ তৈরি করে।
নভেম্বর মাসের তাপমাত্রা মশার বেঁচে থাকা ও পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য সবচেয়ে অনুকূল। যার ফলে বর্ষা শেষে শীতের শুরুতেও ডেঙ্গুর সংক্রমণ অব্যাহত আছে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণকে এককালীন প্রকল্প নয়। বরং জাতীয় জনস্বাস্থ্যনীতির স্থায়ী অংশ হিসেবে নিতে হবে। বাজেটে আলাদা বরাদ্দ, জবাবদিহি কাঠামো এবং দীর্ঘমেয়াদি ডেঙ্গুমুক্ত শহর কর্মপরিকল্পনা চালু করতে হবে বলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাসার তার এক প্রতিবেদনে মন্তব্য করেন।