ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে ভারতকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। গত শুক্রবার এ চিঠি পাঠানো হয় বলে রোববার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এটা শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতকে অনুরোধ জানিয়ে ২য় চিঠি। এর আগেও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ভারত সে চিঠির কোনো উত্তর দেয়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার দিল্লির বাংলাদেশ মিশন থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে এর আগেও চিঠি দিয়েছিল সরকার। সে বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, হাসিনাকে ফেরাতে যে চিঠি দেয়া হয়েছিল, সেই চিঠির জবাব এখনো আসেনি। তবে এখন তো পরিস্থিতি আরেক রকম। এখন শাস্তি দেয়া হয়েছে। তাদের (ভারত) সঙ্গে আমাদের চুক্তিও আছে। তাকে ফেরত আনতে অফিসিয়ালি আমরা চিঠি দেব।
গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারতে পালিয়ে যান। তাদের বিরুদ্ধে জুলাইয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গত ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়।
রায়ের দিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আবারও আহ্বান জানায়। সেদিন সচিবালয়ে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পনে ভারতকে ফের চিঠি দেয়া হবে। একই পরিকল্পনার কথা তিনি শোনান রায়ের তিনদিন পরও। আইন উপদেষ্টার এ বক্তব্যের পরের দিনই চিঠি পাঠানো হয় বলে জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
হাসিনাকে ফেরাতে এর আগে ভারতকে অন্তর্বর্তী সরকার চিঠি পাঠায় গত ডিসেম্বরে; ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার বিচারকাজের শুরুতে। এর মধ্যে বিচারকাজ শেষে রায় হয়ে গেলেও চিঠির কোনো জবাব দেয়নি ভারত সরকার।
ঢাকার পাঠানো চিঠির বিষয়ে গত মাসে দিল্লি সফরকালে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছিলেন, আইনি বিষয়গুলো দিল্লি পর্যালোচনা করে দেখছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে ভারতকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। গত শুক্রবার এ চিঠি পাঠানো হয় বলে রোববার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এটা শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতকে অনুরোধ জানিয়ে ২য় চিঠি। এর আগেও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ভারত সে চিঠির কোনো উত্তর দেয়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার দিল্লির বাংলাদেশ মিশন থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে এর আগেও চিঠি দিয়েছিল সরকার। সে বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, হাসিনাকে ফেরাতে যে চিঠি দেয়া হয়েছিল, সেই চিঠির জবাব এখনো আসেনি। তবে এখন তো পরিস্থিতি আরেক রকম। এখন শাস্তি দেয়া হয়েছে। তাদের (ভারত) সঙ্গে আমাদের চুক্তিও আছে। তাকে ফেরত আনতে অফিসিয়ালি আমরা চিঠি দেব।
গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারতে পালিয়ে যান। তাদের বিরুদ্ধে জুলাইয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গত ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়।
রায়ের দিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আবারও আহ্বান জানায়। সেদিন সচিবালয়ে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পনে ভারতকে ফের চিঠি দেয়া হবে। একই পরিকল্পনার কথা তিনি শোনান রায়ের তিনদিন পরও। আইন উপদেষ্টার এ বক্তব্যের পরের দিনই চিঠি পাঠানো হয় বলে জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
হাসিনাকে ফেরাতে এর আগে ভারতকে অন্তর্বর্তী সরকার চিঠি পাঠায় গত ডিসেম্বরে; ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার বিচারকাজের শুরুতে। এর মধ্যে বিচারকাজ শেষে রায় হয়ে গেলেও চিঠির কোনো জবাব দেয়নি ভারত সরকার।
ঢাকার পাঠানো চিঠির বিষয়ে গত মাসে দিল্লি সফরকালে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছিলেন, আইনি বিষয়গুলো দিল্লি পর্যালোচনা করে দেখছে।