চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল নীতিমালার তোয়াক্কা না করে। এবার সেই নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তা আবার গোপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বেতনও। এবার মাসিক বেতন ৯০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করা হয়েছে।
নীতিমালায় নেই,
তবে দেয়া হয়েছে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার পদমর্যাদার ৪/৫ জন কর্মকর্তা থাকার পরও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজনকে নিয়োগ
দেয়া হয়েছে
সিন্ডিকেট সভার
অনুমোদন নেয়ার ২ মাস আগেই নিয়োগ
মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন সিন্ডিকেট সভা দেখিয়ে মেয়াদ বাড়ানো হলো আরও এক বছর
ঘটনা রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ‘চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা নিয়োগের নীতিমালা’ তোয়াক্কা না করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের এই অনিয়ম নিয়ে ৪ নভেম্বর সংবাদে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সিন্ডিকেট সভার অনুমোদন নেয়ার ২ মাস আগেই রেজিস্ট্রার পদে ড. হারুন-অর রশীদকে নিয়োগ দেয়া হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন গত ৪ নভেম্বর সিন্ডিকেট সভা দেখিয়ে এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
ইউজিসির চেয়ারম্যান এস এম এ ফয়েজের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন কাগজ না দেখে তিনি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। তবে ইউজিসির একজন পরিচালক বলেন এ ধরনের নিয়োগ নিয়মের ব্যত্যয়।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে হলে দুটি বহুল প্রচারিত দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। এরপর সিন্ডিকেট সভা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে ১২ বছরের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স হলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কোনোভাবেই দেয়া যাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এ রকম চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যাবে না। এসব ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের নিতে হবে। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার পদমর্যাদার ৪/৫ জন কর্মকর্তা আছেন।
৪ নভেম্বর সিন্ডিকেট সভার সব সিদ্ধান্ত গণমাধ্যম ও ইউজিসিকে লিখিতভাবে অবহিত করা হলেও রেজিস্ট্রার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি গোপন রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে সোমবার রেজিস্ট্রার পদে ড. হারুন অর রশীদের চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর নথি বা আদেশ ফাঁস হয়ে যায়। ওই আদেশের একটি কপি সংবাদ প্রতিনিধির কাছেও আসে। ওই নথিতে স্বাক্ষর করেছেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. তরিকুল ইসলাম।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে সিন্ডিকেটের ১১৬তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেরোবিতে চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার পদে নিয়োজিত ড. হারুন অর রশীদের এর আগের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বর্ণিত নিয়োগবিধি ও শর্তাবলি অপরিবর্তিত রেখে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ থেকে একই পদে পরবর্তী এক বছরের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলো।’
আদেশটির স্মারক নম্বর- বেরোবি/রেজি/সিন্ডিঃ সিদ্ধান্ত /১০৫/২০২৫ /২৫১০, জারির তারিখ ৪ নভেম্বর।
এদিকে রেজিস্ট্রার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনো পত্র ইউজিসিকে দেয়া হয়নি। চিঠির কপিতে ইউজিসি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলে কোনো উল্লেখ নেই। পুরো বিষয়টি গোপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ৫ আগষ্ট গণভ্যুত্থানের পর ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শওকত আলীকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্বে থাকা আলমগীর চৌধুরী স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। ওই সময় তাৎক্ষনিকভাবে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেয়া হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলামকে। তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এরপর বর্তমান উপাচার্য ড. শওকত আলী গত বছরের ২৮ অক্টোবর সিন্ডিকেটের ১০৮তম সভায় নিজেই প্রধান হয়ে সার্চ কমিটি গঠন করেন। সদস্য করা হয় দুজনকে। কিন্তু বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় রেজিস্ট্রার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। আর সিন্ডিকেট সভার অনুমোদন দেয়ার আগেই ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর তারিখে হারুন অর রশীদকে রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রায় দুই মাস পর গত ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৯তম সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি ‘অবগত করে জায়েজ’ দেখানো হয়।
রেজিস্ট্রার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া ড. হারুন অর রশীদের জীবন বৃত্তান্ত থেকে জানা গেছে, তিনি ১ নভেম্বর ২০১৮ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে ইষ্টার্ন ইউনিভার্সিটি, বিরুলিয়া, সাভারে কর্মরত ছিলেন। এর আগে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়েরও ডেপুটি রেজিস্ট্রার ছিলেন।
তার সরকারি বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই।
এ বিষয়ে ড. হারুন অর রশীদের বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
উপাচার্য ড. শওকত আলীও ফোন ধরেননি। তবে এর আগে তিনি সংবাদকে বলেছিলেন, ইউজিসির সঙ্গে কথা বলে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার দাবি ৮ জন আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে ২ জনকে বাছাই করে হারুন অর রশীদকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। সে সময় তিনি দাবি করেছিলেন সব নিয়ম মানা হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল নীতিমালার তোয়াক্কা না করে। এবার সেই নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তা আবার গোপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বেতনও। এবার মাসিক বেতন ৯০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করা হয়েছে।
নীতিমালায় নেই,
তবে দেয়া হয়েছে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার পদমর্যাদার ৪/৫ জন কর্মকর্তা থাকার পরও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজনকে নিয়োগ
দেয়া হয়েছে
সিন্ডিকেট সভার
অনুমোদন নেয়ার ২ মাস আগেই নিয়োগ
মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন সিন্ডিকেট সভা দেখিয়ে মেয়াদ বাড়ানো হলো আরও এক বছর
ঘটনা রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ‘চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা নিয়োগের নীতিমালা’ তোয়াক্কা না করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের এই অনিয়ম নিয়ে ৪ নভেম্বর সংবাদে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সিন্ডিকেট সভার অনুমোদন নেয়ার ২ মাস আগেই রেজিস্ট্রার পদে ড. হারুন-অর রশীদকে নিয়োগ দেয়া হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন গত ৪ নভেম্বর সিন্ডিকেট সভা দেখিয়ে এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
ইউজিসির চেয়ারম্যান এস এম এ ফয়েজের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন কাগজ না দেখে তিনি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। তবে ইউজিসির একজন পরিচালক বলেন এ ধরনের নিয়োগ নিয়মের ব্যত্যয়।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে হলে দুটি বহুল প্রচারিত দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। এরপর সিন্ডিকেট সভা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে ১২ বছরের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স হলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কোনোভাবেই দেয়া যাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এ রকম চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যাবে না। এসব ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের নিতে হবে। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার পদমর্যাদার ৪/৫ জন কর্মকর্তা আছেন।
৪ নভেম্বর সিন্ডিকেট সভার সব সিদ্ধান্ত গণমাধ্যম ও ইউজিসিকে লিখিতভাবে অবহিত করা হলেও রেজিস্ট্রার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি গোপন রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে সোমবার রেজিস্ট্রার পদে ড. হারুন অর রশীদের চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর নথি বা আদেশ ফাঁস হয়ে যায়। ওই আদেশের একটি কপি সংবাদ প্রতিনিধির কাছেও আসে। ওই নথিতে স্বাক্ষর করেছেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. তরিকুল ইসলাম।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে সিন্ডিকেটের ১১৬তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেরোবিতে চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার পদে নিয়োজিত ড. হারুন অর রশীদের এর আগের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বর্ণিত নিয়োগবিধি ও শর্তাবলি অপরিবর্তিত রেখে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ থেকে একই পদে পরবর্তী এক বছরের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলো।’
আদেশটির স্মারক নম্বর- বেরোবি/রেজি/সিন্ডিঃ সিদ্ধান্ত /১০৫/২০২৫ /২৫১০, জারির তারিখ ৪ নভেম্বর।
এদিকে রেজিস্ট্রার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনো পত্র ইউজিসিকে দেয়া হয়নি। চিঠির কপিতে ইউজিসি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলে কোনো উল্লেখ নেই। পুরো বিষয়টি গোপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ৫ আগষ্ট গণভ্যুত্থানের পর ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শওকত আলীকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্বে থাকা আলমগীর চৌধুরী স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। ওই সময় তাৎক্ষনিকভাবে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেয়া হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলামকে। তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এরপর বর্তমান উপাচার্য ড. শওকত আলী গত বছরের ২৮ অক্টোবর সিন্ডিকেটের ১০৮তম সভায় নিজেই প্রধান হয়ে সার্চ কমিটি গঠন করেন। সদস্য করা হয় দুজনকে। কিন্তু বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় রেজিস্ট্রার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। আর সিন্ডিকেট সভার অনুমোদন দেয়ার আগেই ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর তারিখে হারুন অর রশীদকে রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রায় দুই মাস পর গত ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৯তম সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি ‘অবগত করে জায়েজ’ দেখানো হয়।
রেজিস্ট্রার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া ড. হারুন অর রশীদের জীবন বৃত্তান্ত থেকে জানা গেছে, তিনি ১ নভেম্বর ২০১৮ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে ইষ্টার্ন ইউনিভার্সিটি, বিরুলিয়া, সাভারে কর্মরত ছিলেন। এর আগে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়েরও ডেপুটি রেজিস্ট্রার ছিলেন।
তার সরকারি বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই।
এ বিষয়ে ড. হারুন অর রশীদের বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
উপাচার্য ড. শওকত আলীও ফোন ধরেননি। তবে এর আগে তিনি সংবাদকে বলেছিলেন, ইউজিসির সঙ্গে কথা বলে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার দাবি ৮ জন আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে ২ জনকে বাছাই করে হারুন অর রশীদকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। সে সময় তিনি দাবি করেছিলেন সব নিয়ম মানা হয়েছে।