শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ার কারণে যেন বিচার করা না হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এমন আর্জি জানিয়েছেন ৪ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমীর হোসেন। মঙ্গলবার, (২৫ নভেম্বর ২০২৫) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কুষ্টিয়ায় ৬ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তিনি ট্রাইব্যুনালের কাছে এ আর্জি জানান।
এই মামলায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদরউদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা পলাতক আছেন।
তাদের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ৬ জনকে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশদাতা হিসেবে বিচার চলছে।
মঙ্গলবার, দিনের শুরুতে ট্রাইব্যুনালে মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। এ সময় তিনি মামলার বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, ‘হানিফসহ অভিযুক্তরা যে ছাত্র ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর সহিংস হামলা ও সহিংসতার নেতৃত্ব দিয়েছে তার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। এ অপরাধের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার দায়মুক্তির সুযোগ নেই।’
প্রসিকিউশনের বক্তব্য শেষ হলে অভিযুক্তদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন ‘শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ার কারণে তাদের যেন বিচার করা না হয় বলে’ আর্জি জানান। রাষ্ট্রনিযুক্ত এই আইনজীবীর আর্জির জবাবে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘নির্দোষ কেউ যেন বিচারের মুখোমুখি না হন তা নিশ্চিত করতেই আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আখিরাতে বিশ্বাস করি। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে আমরা এখানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যেই বসেছি।’
মামলায় শহীদ পরিবারের সদস্য, প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ভুক্তভোগী, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট মোট ৩৮ জন সাক্ষী রয়েছেন। প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করে আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য্য করেছে।
এর আগে আমির হোসেন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের রাষ্ট্রপক্ষের নিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ার কারণে যেন বিচার করা না হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এমন আর্জি জানিয়েছেন ৪ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমীর হোসেন। মঙ্গলবার, (২৫ নভেম্বর ২০২৫) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কুষ্টিয়ায় ৬ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তিনি ট্রাইব্যুনালের কাছে এ আর্জি জানান।
এই মামলায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদরউদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা পলাতক আছেন।
তাদের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ৬ জনকে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশদাতা হিসেবে বিচার চলছে।
মঙ্গলবার, দিনের শুরুতে ট্রাইব্যুনালে মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। এ সময় তিনি মামলার বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, ‘হানিফসহ অভিযুক্তরা যে ছাত্র ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর সহিংস হামলা ও সহিংসতার নেতৃত্ব দিয়েছে তার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। এ অপরাধের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার দায়মুক্তির সুযোগ নেই।’
প্রসিকিউশনের বক্তব্য শেষ হলে অভিযুক্তদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন ‘শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ার কারণে তাদের যেন বিচার করা না হয় বলে’ আর্জি জানান। রাষ্ট্রনিযুক্ত এই আইনজীবীর আর্জির জবাবে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘নির্দোষ কেউ যেন বিচারের মুখোমুখি না হন তা নিশ্চিত করতেই আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আখিরাতে বিশ্বাস করি। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে আমরা এখানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যেই বসেছি।’
মামলায় শহীদ পরিবারের সদস্য, প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ভুক্তভোগী, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট মোট ৩৮ জন সাক্ষী রয়েছেন। প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করে আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য্য করেছে।
এর আগে আমির হোসেন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের রাষ্ট্রপক্ষের নিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।