ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকার থেকে ৮৩২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যৌথ তদন্ত দল অগ্রণী ব্যাংকের লকার দুটি থেকে এসব স্বর্ণালংকার জব্দ করে।
সিআইসির এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এটি আদালতের বিষয়; তাদের অনুমতি সাপেক্ষে খোলা হয়েছে। তবে এটি এনবিআর বা এনবিআরের কোনো অভিযান না। যৌথ অভিযানের ভিত্তিতে হয়েছে।’
জব্দের সোয়া দুই মাস পর আদালতের অনুমতি নিয়ে লকার দুটি খোলা হয়। এদিনই শেখ হাসিনার নামে পূবালী ব্যাংকে থাকা একটি লকার খোলা হয়।
সিআইসির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বুধবার,(২৬ নভেম্বর ২০২৫) বলেন, ‘কাল সব লকারই খোলা হয়েছে।’
সব বলতে পূবালী ব্যাংকের লকারও খোলা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ পুবালী ব্যাংকেরটাও খোলা হয়েছে। কিন্তু সেখানে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। সব পাওয়া গেছে অগ্রণীতে। এখন ওখানেই (লকার) থাকবে, পরে গভর্নমেন্টের খাতে চলে যাবে।’
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার দিলকুশায় অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে লকার দুটি জব্দ করে সিআইসি, যার নম্বর ৭৫১ ও ৭৫৩। তখন অগ্রণী ব্যাংকের এমডি আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) দুটি লকার ভাড়া নিয়েছিলেন। সে দুটি নিয়ম অনুযায়ী সেভাবেই ব্যাংকে সংরক্ষিত অবস্থায় আছে। তারা (এনবিআর) এসেছিল লকারের অবস্থান জানতে। আইন অনুযায়ী গ্রাহকের অনুপস্থিতিতে লকার খুলতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে। আদালতের অনুমতি ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার খোলা যাবে।’
আদালতের আদেশ পেলে ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও তখন জানিয়েছিলেন তিনি। এর আগে পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় (সেনা কল্যাণ ভবন) শেখ হাসিনার একটি লকার জব্দ করে সিআইসি। ১২৮ নম্বর লকারটি শেখ হাসিনার নামে থাকার তথ্য পেয়ে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল।
নিয়ম অনুযায়ী, একটি লকারের দুটি চাবি থাকে। একটি গ্রাহকের কাছে এবং আরেকটি ব্যাংকের লকার নিরাপত্তা শাখায়। লকার খুলতে হলে দুটি চাবিই লাগে। অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার একটি ব্যাংক হিসাবও গত বছরের আগস্ট থেকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশে। সেই হিসাবে কত টাকা আছে, তাও জেনেছে এনবিআরের দলটি। প্রবল গণআন্দোলনের মধ্যে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে, প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের ‘দুর্নীতির’ তদন্ত শুরু করে। সরকার শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের কর ফাঁকি ও আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকার থেকে ৮৩২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যৌথ তদন্ত দল অগ্রণী ব্যাংকের লকার দুটি থেকে এসব স্বর্ণালংকার জব্দ করে।
সিআইসির এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এটি আদালতের বিষয়; তাদের অনুমতি সাপেক্ষে খোলা হয়েছে। তবে এটি এনবিআর বা এনবিআরের কোনো অভিযান না। যৌথ অভিযানের ভিত্তিতে হয়েছে।’
জব্দের সোয়া দুই মাস পর আদালতের অনুমতি নিয়ে লকার দুটি খোলা হয়। এদিনই শেখ হাসিনার নামে পূবালী ব্যাংকে থাকা একটি লকার খোলা হয়।
সিআইসির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বুধবার,(২৬ নভেম্বর ২০২৫) বলেন, ‘কাল সব লকারই খোলা হয়েছে।’
সব বলতে পূবালী ব্যাংকের লকারও খোলা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ পুবালী ব্যাংকেরটাও খোলা হয়েছে। কিন্তু সেখানে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। সব পাওয়া গেছে অগ্রণীতে। এখন ওখানেই (লকার) থাকবে, পরে গভর্নমেন্টের খাতে চলে যাবে।’
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার দিলকুশায় অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে লকার দুটি জব্দ করে সিআইসি, যার নম্বর ৭৫১ ও ৭৫৩। তখন অগ্রণী ব্যাংকের এমডি আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) দুটি লকার ভাড়া নিয়েছিলেন। সে দুটি নিয়ম অনুযায়ী সেভাবেই ব্যাংকে সংরক্ষিত অবস্থায় আছে। তারা (এনবিআর) এসেছিল লকারের অবস্থান জানতে। আইন অনুযায়ী গ্রাহকের অনুপস্থিতিতে লকার খুলতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে। আদালতের অনুমতি ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার খোলা যাবে।’
আদালতের আদেশ পেলে ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও তখন জানিয়েছিলেন তিনি। এর আগে পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় (সেনা কল্যাণ ভবন) শেখ হাসিনার একটি লকার জব্দ করে সিআইসি। ১২৮ নম্বর লকারটি শেখ হাসিনার নামে থাকার তথ্য পেয়ে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল।
নিয়ম অনুযায়ী, একটি লকারের দুটি চাবি থাকে। একটি গ্রাহকের কাছে এবং আরেকটি ব্যাংকের লকার নিরাপত্তা শাখায়। লকার খুলতে হলে দুটি চাবিই লাগে। অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার একটি ব্যাংক হিসাবও গত বছরের আগস্ট থেকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশে। সেই হিসাবে কত টাকা আছে, তাও জেনেছে এনবিআরের দলটি। প্রবল গণআন্দোলনের মধ্যে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে, প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের ‘দুর্নীতির’ তদন্ত শুরু করে। সরকার শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের কর ফাঁকি ও আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করছে।