ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ‘গুম’ বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে আলোচনায় আসা ‘মায়ের ডাক’ এর সানজিদা ইসলাম তুলির বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ অভিযোগে মামলা করেছেন পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ী। বুধবার, (২৬ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালতে মামলার আবেদন করেন পুরান ঢাকার কাজী আলাউদ্দিন রোডের ‘ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক’ হোসাইন মোহাম্মদ আনোয়ার ওরফে আনোয়ার হোসেন। আদালত বাদীর বক্তব্য শুনে আবেদনটি আমলে নেয় এবং অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সিরাজুল ইসলাম শেখ এ তথ্য দিয়েছেন। গত ১৪ নভেম্বর ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে সামনে নারী ও শিশু ফেরামের উদ্যোগে ‘নারীর ওপর ক্রমবর্ধমান সংহিংসতা ও অসম্মান: প্রতিরোধে প্রস্তুত সচেতন সমাজ’ শীর্ষক সমাবেশ হয়, সেখানে দেয়া তুলির বক্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা হয়েছে। নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো বিষয়ে গত ২৭ অক্টোবর জামায়াতের ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান যে বক্তব্য দিয়েছিলেন নারীদের ওই সমাবেশে তা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে এবং মিছিলে স্লোগান দিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা।
তুলির বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪১ অনুযায়ী ধর্ম চর্চার অধিকার হলো মানুষের মৌলিক অধিকার। ‘বিবাহ’ হলো ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতিনীতি ও বিধান। পবিত্র কোরআনে সুরা নিসার ৩ নম্বর আয়াত অনুযায়ী একজন মুসলিম পুরুষ চারটি পর্যন্ত বিবাহ করতে পারবেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন “মুসলিম পার্সোনাল ‘ল’ (শরিয়ত) অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট, ১৯৩৭” ধারা ২ অনুযায়ী বিবাহ, ভরণপোষণ, তালাক ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিদ্যমান পক্ষরা যদি মুসলিম হয়, সেক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়াহ আইন প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে কোনো নাগরিক ধর্ম প্রতিপালন নাও করতে পারে, কিন্তু ধর্মকে অপমান করা এবং ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করার অধিকার কারো নেই।” তুলির বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি ইসলামে বিবাহ বিষয়ে ‘অবমাননাকর’ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি ইসলাম ধর্মকে ‘অপমান করেছেন’ এবং মুসলামদের ‘ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত’ করেছেন, যা দণ্ডবিধির ২৯৫(ক) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ‘গুম’ বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে আলোচনায় আসা ‘মায়ের ডাক’ এর সানজিদা ইসলাম তুলির বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ অভিযোগে মামলা করেছেন পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ী। বুধবার, (২৬ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালতে মামলার আবেদন করেন পুরান ঢাকার কাজী আলাউদ্দিন রোডের ‘ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক’ হোসাইন মোহাম্মদ আনোয়ার ওরফে আনোয়ার হোসেন। আদালত বাদীর বক্তব্য শুনে আবেদনটি আমলে নেয় এবং অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সিরাজুল ইসলাম শেখ এ তথ্য দিয়েছেন। গত ১৪ নভেম্বর ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে সামনে নারী ও শিশু ফেরামের উদ্যোগে ‘নারীর ওপর ক্রমবর্ধমান সংহিংসতা ও অসম্মান: প্রতিরোধে প্রস্তুত সচেতন সমাজ’ শীর্ষক সমাবেশ হয়, সেখানে দেয়া তুলির বক্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা হয়েছে। নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো বিষয়ে গত ২৭ অক্টোবর জামায়াতের ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান যে বক্তব্য দিয়েছিলেন নারীদের ওই সমাবেশে তা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে এবং মিছিলে স্লোগান দিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা।
তুলির বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪১ অনুযায়ী ধর্ম চর্চার অধিকার হলো মানুষের মৌলিক অধিকার। ‘বিবাহ’ হলো ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতিনীতি ও বিধান। পবিত্র কোরআনে সুরা নিসার ৩ নম্বর আয়াত অনুযায়ী একজন মুসলিম পুরুষ চারটি পর্যন্ত বিবাহ করতে পারবেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন “মুসলিম পার্সোনাল ‘ল’ (শরিয়ত) অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট, ১৯৩৭” ধারা ২ অনুযায়ী বিবাহ, ভরণপোষণ, তালাক ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিদ্যমান পক্ষরা যদি মুসলিম হয়, সেক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়াহ আইন প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে কোনো নাগরিক ধর্ম প্রতিপালন নাও করতে পারে, কিন্তু ধর্মকে অপমান করা এবং ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করার অধিকার কারো নেই।” তুলির বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি ইসলামে বিবাহ বিষয়ে ‘অবমাননাকর’ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি ইসলাম ধর্মকে ‘অপমান করেছেন’ এবং মুসলামদের ‘ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত’ করেছেন, যা দণ্ডবিধির ২৯৫(ক) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।