কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে মৌলইর শীল নামক এলাকায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসমান অবস্থায় থাকা দুটি ট্রলারসহ ১২ জন জেলেকে আটক করে নিয়ে গেছে মায়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
বৃহস্পতিবার, (২৭ নভেম্বর ২০২৫) সকালে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মৌলইর শীল নামক এলাকায় তাদের আটক করা হয়। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় মাছ শিকারের সময় মায়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এসে জেলেদেরকে আটক করে মারধর করে লুটপাট করেছে। এ সময় ট্রলারের ইঞ্জিন, জালসহ মূল্যবান সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী জেলেরা।
আরাকান আর্মির হাতে আটক জেলেরা সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি মো. আজিম। তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াছের ট্রলারে ৬ জন এবং বাজারপাড়া এলাকার নুর আহমদের ট্রলারে ৬ জন জেলে ছিল। এ দুইটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসমানরত থাকা অবস্থায় আরাকান আর্মি এসে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম জানান, ভোরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় আরাকান আর্মি দুটি ট্রলারসহ ১২ জন জেলেকে আটক করেছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর সেন্টমার্টিন বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় ১৮ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হয়েছিল। আটক জেলেরা সবাই সেন্টমার্টিনের গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ গত ১৮ নভেম্বর টেকনাফ পৌরসভা বোট ঘাটের দুটি ট্রলারসহ ১৬ জন রোহিঙ্গা জেলেকে বঙ্গোপসাগরের অদূরে মাছ শিকারের সময় আটক করেছে মায়ানমার আরাকান আর্মি।
বাংলাদেশি জেলেদের মারধর ও লুটপাট করার অভিযোগ মায়ানমারের নৌবাহিনীর
সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় মাছ শিকারের সময় মায়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এসে জেলেদের আটক করে মারধর ও লুটপাট করেছে। এ সময় তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন, জালসহ মূল্যবান সরঞ্জাম লুট করে নেয়া হয়।
আহত জেলেরা হলেন সৈয়দ আলম, মাঝি মুজিব, হাফেজ উল্লাহ, মো. আয়াছ, শাহ আলম, হামিদ হোসেন ও আব্দু মজিদ সবাই সেন্টমার্টিনের কোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এর মধ্যে আহত সৈয়দ আলম ও আব্দু মজিদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে সেন্টমার্টিনে।
আহত জেলে সৈয়দ আলম জানান, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যায় বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ শিকারের সময় হঠাৎ মায়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ তাদের ট্রলার থামিয়ে জাহাজে তুলে নিয়ে যায় এবং ব্যাপক মারধর করে। পরে তাদের মালামাল লুট করে অন্য একটি ট্রলারের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন ঘাটে পৌঁছে দেয়।
সেন্টমার্টিনের নজরুল পাড়া এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, মোট ৭ জন জেলে এ সময় আটক হয়ে নির্যাতিত হন। তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা খারাপ হয়। গুরুতর আহত সৈয়দ আলমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে মৌলইর শীল নামক এলাকায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসমান অবস্থায় থাকা দুটি ট্রলারসহ ১২ জন জেলেকে আটক করে নিয়ে গেছে মায়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
বৃহস্পতিবার, (২৭ নভেম্বর ২০২৫) সকালে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মৌলইর শীল নামক এলাকায় তাদের আটক করা হয়। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় মাছ শিকারের সময় মায়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এসে জেলেদেরকে আটক করে মারধর করে লুটপাট করেছে। এ সময় ট্রলারের ইঞ্জিন, জালসহ মূল্যবান সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী জেলেরা।
আরাকান আর্মির হাতে আটক জেলেরা সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি মো. আজিম। তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াছের ট্রলারে ৬ জন এবং বাজারপাড়া এলাকার নুর আহমদের ট্রলারে ৬ জন জেলে ছিল। এ দুইটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসমানরত থাকা অবস্থায় আরাকান আর্মি এসে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম জানান, ভোরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় আরাকান আর্মি দুটি ট্রলারসহ ১২ জন জেলেকে আটক করেছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর সেন্টমার্টিন বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় ১৮ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হয়েছিল। আটক জেলেরা সবাই সেন্টমার্টিনের গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ গত ১৮ নভেম্বর টেকনাফ পৌরসভা বোট ঘাটের দুটি ট্রলারসহ ১৬ জন রোহিঙ্গা জেলেকে বঙ্গোপসাগরের অদূরে মাছ শিকারের সময় আটক করেছে মায়ানমার আরাকান আর্মি।
বাংলাদেশি জেলেদের মারধর ও লুটপাট করার অভিযোগ মায়ানমারের নৌবাহিনীর
সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় মাছ শিকারের সময় মায়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এসে জেলেদের আটক করে মারধর ও লুটপাট করেছে। এ সময় তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন, জালসহ মূল্যবান সরঞ্জাম লুট করে নেয়া হয়।
আহত জেলেরা হলেন সৈয়দ আলম, মাঝি মুজিব, হাফেজ উল্লাহ, মো. আয়াছ, শাহ আলম, হামিদ হোসেন ও আব্দু মজিদ সবাই সেন্টমার্টিনের কোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এর মধ্যে আহত সৈয়দ আলম ও আব্দু মজিদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে সেন্টমার্টিনে।
আহত জেলে সৈয়দ আলম জানান, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যায় বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ শিকারের সময় হঠাৎ মায়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ তাদের ট্রলার থামিয়ে জাহাজে তুলে নিয়ে যায় এবং ব্যাপক মারধর করে। পরে তাদের মালামাল লুট করে অন্য একটি ট্রলারের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন ঘাটে পৌঁছে দেয়।
সেন্টমার্টিনের নজরুল পাড়া এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, মোট ৭ জন জেলে এ সময় আটক হয়ে নির্যাতিত হন। তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা খারাপ হয়। গুরুতর আহত সৈয়দ আলমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।