প্রবাসী ভোটাররা অনলাইনে নিবন্ধনের সময় পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না দিলে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের ‘টিম লিডার’ সালীম আহমাদ খান।
নিবন্ধন ৫৯ হাজারের বেশি
জোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট, আরপিওর বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট
বৃহস্পতিবার, (২৭ নভেম্বর ২০২৫) তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না দেয়ায় বাহরাইন, কুয়েত, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসীদের নিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা ছাড়া পোস্টাল ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব হবে না।’
প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার ও দেশের ভেতরের তিন ধরনের ব্যক্তির জন্য গত ১৮ নভেম্বর ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে বৈশ্বিক অঞ্চলভিত্তিক নিবন্ধন শুরু হয়, যা বৃহস্পতিবার, প্রথম প্রহর থেকে যে কোনো দেশ থেকে নিবন্ধন করা যাচ্ছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এ নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত ৫৯ হাজার ৬১২ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন।
পোস্টাল ভোট বিডির ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে দেখা যায়, জেলাভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি ১১,৪৭৫ জন নিবন্ধনকারীর বাড়ি ঢাকায়। কুমিল্লার নিবন্ধনকারী ৩,৮৩২ জন, নোয়াখালীর ৩,৫৪৬ জন এবং চট্টগ্রামের ৩,৪৪৫ জন নিবন্ধনকারী রয়েছে। তবে কম-বেশি দেশের ৬৪ জেলার প্রবাসীরাই নিবন্ধনে সাড়া দিয়েছেন।
আসনওয়ারি হিসাবে সবচেয়ে বেশি ১২১৭ জন নিবন্ধনকারীর নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-১। এরপরে রয়েছে ঢাকা-১৮ আসন, সেখানকার ১১৪৭ জন ইতোমধ্যে নিবন্ধন সেরেছেন। সিলেট-১ আসনে ১১২৩ জন, ঢাকা-১০ আসনে ৯৯৮ জন, ঢাকা-৮ আসনে ৯৮০ জন এবং ঢাকা-১৩ আসনের ৯৭২ জন নিবন্ধন করেছেন।
জোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট, আরপিওর বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট
এদিকে সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও ভোট করতে হবে নিজ নিজ দলের প্রতীকে- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত এমন বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট হয়েছে। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।
আগে কোনো দল জোটভুক্ত হয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে জোটের নেতৃত্বে থাকা বড় দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগ পেত। তবে সেটি বাতিল করে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার নতুন বিধান যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ গত ৩ নভেম্বর জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
ওই বিধানসংবলিত অধ্যাদেশের ৯ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী সাহেদুল আজম। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।’
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশের ৯ অনুচ্ছেদ সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের (২৮, ৩৮ ও ৩৯ অনুচ্ছেদ) সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় অধ্যাদেশের ৯ অনুচ্ছেদের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি নিবন্ধিত দল জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে জোটের শরিককে যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি দিতে নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে। আইনসচিব, নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
প্রবাসী ভোটাররা অনলাইনে নিবন্ধনের সময় পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না দিলে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের ‘টিম লিডার’ সালীম আহমাদ খান।
নিবন্ধন ৫৯ হাজারের বেশি
জোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট, আরপিওর বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট
বৃহস্পতিবার, (২৭ নভেম্বর ২০২৫) তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না দেয়ায় বাহরাইন, কুয়েত, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসীদের নিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা ছাড়া পোস্টাল ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব হবে না।’
প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার ও দেশের ভেতরের তিন ধরনের ব্যক্তির জন্য গত ১৮ নভেম্বর ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে বৈশ্বিক অঞ্চলভিত্তিক নিবন্ধন শুরু হয়, যা বৃহস্পতিবার, প্রথম প্রহর থেকে যে কোনো দেশ থেকে নিবন্ধন করা যাচ্ছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এ নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত ৫৯ হাজার ৬১২ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন।
পোস্টাল ভোট বিডির ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে দেখা যায়, জেলাভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি ১১,৪৭৫ জন নিবন্ধনকারীর বাড়ি ঢাকায়। কুমিল্লার নিবন্ধনকারী ৩,৮৩২ জন, নোয়াখালীর ৩,৫৪৬ জন এবং চট্টগ্রামের ৩,৪৪৫ জন নিবন্ধনকারী রয়েছে। তবে কম-বেশি দেশের ৬৪ জেলার প্রবাসীরাই নিবন্ধনে সাড়া দিয়েছেন।
আসনওয়ারি হিসাবে সবচেয়ে বেশি ১২১৭ জন নিবন্ধনকারীর নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-১। এরপরে রয়েছে ঢাকা-১৮ আসন, সেখানকার ১১৪৭ জন ইতোমধ্যে নিবন্ধন সেরেছেন। সিলেট-১ আসনে ১১২৩ জন, ঢাকা-১০ আসনে ৯৯৮ জন, ঢাকা-৮ আসনে ৯৮০ জন এবং ঢাকা-১৩ আসনের ৯৭২ জন নিবন্ধন করেছেন।
জোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট, আরপিওর বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট
এদিকে সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও ভোট করতে হবে নিজ নিজ দলের প্রতীকে- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত এমন বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট হয়েছে। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।
আগে কোনো দল জোটভুক্ত হয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে জোটের নেতৃত্বে থাকা বড় দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগ পেত। তবে সেটি বাতিল করে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার নতুন বিধান যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ গত ৩ নভেম্বর জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
ওই বিধানসংবলিত অধ্যাদেশের ৯ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী সাহেদুল আজম। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।’
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশের ৯ অনুচ্ছেদ সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের (২৮, ৩৮ ও ৩৯ অনুচ্ছেদ) সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় অধ্যাদেশের ৯ অনুচ্ছেদের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি নিবন্ধিত দল জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে জোটের শরিককে যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি দিতে নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে। আইনসচিব, নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।