ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
১১তম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনে নামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা -সংবাদ
১১তম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনে নামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতির কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।
আগামীকাল থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দুটি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য ৩ দফা দাবি আদায়ে বাস্তবায়ন পরিষদ এবং সংগঠন ঐক্য পরিষদের চলমান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আগামীকাল থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো।’
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদও সংবাদ মাধ্যমকে আন্দোলন স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১০ গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষকরা। পরে ১১তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন। কিন্তু আশ্বাস পূরণ না হওয়ায় গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তারা মিছিল নিয়ে শাহাবাগের দিকে যাওয়া চেষ্টা করলে আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠি চার্জ, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। সে সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকার আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওইদিন রাতে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন? এরপর ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। এর মধ্যে সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
হয়রানিমূলক বদলির অভিযোগ
গতকাল বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে ‘হয়রানিমূলক বদলি’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, রেওয়াজ না থাকলেও প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে তাদের বদলি করা হয়েছে।
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ বলেন, তাকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি বলেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ৪২ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে পরিষদের আরেক আহ্বায়ক ও প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম বলেন, ‘আমাকে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
১১তম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনে নামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা -সংবাদ
১১তম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনে নামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতির কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।
আগামীকাল থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দুটি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য ৩ দফা দাবি আদায়ে বাস্তবায়ন পরিষদ এবং সংগঠন ঐক্য পরিষদের চলমান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আগামীকাল থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো।’
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদও সংবাদ মাধ্যমকে আন্দোলন স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১০ গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষকরা। পরে ১১তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন। কিন্তু আশ্বাস পূরণ না হওয়ায় গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তারা মিছিল নিয়ে শাহাবাগের দিকে যাওয়া চেষ্টা করলে আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠি চার্জ, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। সে সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকার আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওইদিন রাতে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন? এরপর ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। এর মধ্যে সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
হয়রানিমূলক বদলির অভিযোগ
গতকাল বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে ‘হয়রানিমূলক বদলি’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, রেওয়াজ না থাকলেও প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে তাদের বদলি করা হয়েছে।
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ বলেন, তাকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি বলেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ৪২ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে পরিষদের আরেক আহ্বায়ক ও প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম বলেন, ‘আমাকে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।’