উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাবেক সভাপতি, দৈনিক সংবাদের সাবেক সম্পাদনা সহকারী গোলাম মোহাম্মদ ইদু মারা গেছেন।
তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে উদীচী। এক শোকবার্তায় উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানান, গোলাম মোহাম্মদ ইদু-এর মৃত্যুতে একজন অভিভাবককে হারালো দেশ-বিদেশে উদীচীর লাখো শিল্পী-কর্মী। আজীবন বিপ্লবী এই মানুষটির মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গণেরও অনেক বড় ক্ষতি হলো।
উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হওয়ারও প্রায় এক দশক আগে থেকে শিল্পী-সংগ্রামী-কৃষক নেতা সত্যেন সেন একটি গানের দল গঠন করেন। সেই গানের দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর উদীচী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলে প্রথম আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য নির্বাচিত হন গোলাম মোহাম্মদ ইদু। পরবর্তীতে ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি দীর্ঘ দিন তিনি দৈনিক সংবাদের মসম্পাদনা সহকারী জিসেবে কাজ করেছেন।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন তথা বাংলাদেশের প্রতিটি ন্যায়সঙ্গত, প্রগতিশীল আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু। জীবনের একটি দীর্ঘসময় তাকে কারান্তরীণ থাকতে হয়েছে। তারপরও নিজের দায়িত্ব- কর্তব্য থেকে কখনো পিছপা হননি তিনি। শেষ বয়সে শারীরিক নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও উদীচীর ছোট-বড় যেকোন কর্মসূচিতে ছুটে আসতেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু। উদীচীর সব বয়সী শিল্পী-কর্মীর জন্যই তিনি প্রকৃত অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
১৯৩৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম গ্রহন করেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের জটিল রোগের সাথে লড়াই করছিলেন। গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে তাকে রাজধানীর হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু-তিনদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ২১ ডিসেম্বর বিকেলে তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তবে, আজ শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু।
শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩
উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাবেক সভাপতি, দৈনিক সংবাদের সাবেক সম্পাদনা সহকারী গোলাম মোহাম্মদ ইদু মারা গেছেন।
তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে উদীচী। এক শোকবার্তায় উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানান, গোলাম মোহাম্মদ ইদু-এর মৃত্যুতে একজন অভিভাবককে হারালো দেশ-বিদেশে উদীচীর লাখো শিল্পী-কর্মী। আজীবন বিপ্লবী এই মানুষটির মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গণেরও অনেক বড় ক্ষতি হলো।
উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হওয়ারও প্রায় এক দশক আগে থেকে শিল্পী-সংগ্রামী-কৃষক নেতা সত্যেন সেন একটি গানের দল গঠন করেন। সেই গানের দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর উদীচী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলে প্রথম আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য নির্বাচিত হন গোলাম মোহাম্মদ ইদু। পরবর্তীতে ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি দীর্ঘ দিন তিনি দৈনিক সংবাদের মসম্পাদনা সহকারী জিসেবে কাজ করেছেন।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন তথা বাংলাদেশের প্রতিটি ন্যায়সঙ্গত, প্রগতিশীল আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু। জীবনের একটি দীর্ঘসময় তাকে কারান্তরীণ থাকতে হয়েছে। তারপরও নিজের দায়িত্ব- কর্তব্য থেকে কখনো পিছপা হননি তিনি। শেষ বয়সে শারীরিক নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও উদীচীর ছোট-বড় যেকোন কর্মসূচিতে ছুটে আসতেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু। উদীচীর সব বয়সী শিল্পী-কর্মীর জন্যই তিনি প্রকৃত অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
১৯৩৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম গ্রহন করেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের জটিল রোগের সাথে লড়াই করছিলেন। গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে তাকে রাজধানীর হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু-তিনদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ২১ ডিসেম্বর বিকেলে তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তবে, আজ শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু।