কবি, গল্পকার ও প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আবুবকর সিদ্দিক মারা গেছেন । তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
বৃহস্পতিবার ভোরে খুলনার সিটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তার মেয়ে বিদিশা সিদ্দিক জানান।
তিনি বলেন, “বাবা ভোরে পৌনে ৬টায় আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।“
এর আগে, বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আবুবকর সিদ্দিককে খুলনা সিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে রাতেই তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে) স্থানান্তর করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
আবুবকর সিদ্দিক খুলনা শহরের ৫ নম্বর মুন্সিপাড়ায় তার ছোট বোনের বাসায় থাকছিলেন গত একযুগ ধরে। পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন তিনি। তার মেয়ে বিদিশা এক সময় সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের স্ত্রী ছিলেন।
অধ্যাপক আবুবকরের ছোট বোনের ছেলে শরিফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তার মামা। বুধবার সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
আবুবকর সিদ্দিক ১৯৩৪ সালের ১৯ আগস্ট মামারবাড়ি বাগেরহাটের গোটাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তারা বাবা মতিয়র রহমান পাটোয়ারী ছিলেন সরকারি চাকুরে। মা মতিবিবি গৃহিণী। বাবার চাকরি সূত্রে ১৯৩৫ সাল থেকে তিনি হুগলি শহরে এবং ১৯৪৩ সাল থেকে বর্ধমানে বসবাস করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে থেকে ১৯৫৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে তিনি পর্যায়ক্রমে চাখার ফজলুল হক কলেজ, দৌলতপুর বিএল কলেজ, কুষ্টিয়া কলেজ, বাগেরহাট পিসি কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর কুইন্স ইউনিভার্সিটি ও ঢাকার নটরডেম কলেজে অধ্যাপনা করেন।
আবুবকর সিদ্দিকের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ২০টি অধিক কাব্যগ্রন্থ, চারটি উপন্যাস, ১৫টি গল্পগ্রন্থ ও একটি ছড়া গ্রন্থ। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বই কবিতাগ্রন্থ ধবল দুধের স্বরগ্রাম (১৯৬৯), বিনিদ্র কালের ভেলা (১৯৭৬), হে লোকসভ্যতা (১৯৮৪), মানুষ তোমার বিক্ষত দিন (১৯৮৬) ও হট্টমালা (২০০১) নামে একটি ছড়া গ্রন্থ।
সাহিত্যে অবদানের জন্য আবুবকর সিদ্দিক বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, বঙ্গভাষা সংস্কৃতি প্রচার সমিতি পুরস্কার (কলকাতা) সহ আরও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছন।
বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
কবি, গল্পকার ও প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আবুবকর সিদ্দিক মারা গেছেন । তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
বৃহস্পতিবার ভোরে খুলনার সিটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তার মেয়ে বিদিশা সিদ্দিক জানান।
তিনি বলেন, “বাবা ভোরে পৌনে ৬টায় আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।“
এর আগে, বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আবুবকর সিদ্দিককে খুলনা সিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে রাতেই তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে) স্থানান্তর করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
আবুবকর সিদ্দিক খুলনা শহরের ৫ নম্বর মুন্সিপাড়ায় তার ছোট বোনের বাসায় থাকছিলেন গত একযুগ ধরে। পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন তিনি। তার মেয়ে বিদিশা এক সময় সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের স্ত্রী ছিলেন।
অধ্যাপক আবুবকরের ছোট বোনের ছেলে শরিফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তার মামা। বুধবার সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
আবুবকর সিদ্দিক ১৯৩৪ সালের ১৯ আগস্ট মামারবাড়ি বাগেরহাটের গোটাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তারা বাবা মতিয়র রহমান পাটোয়ারী ছিলেন সরকারি চাকুরে। মা মতিবিবি গৃহিণী। বাবার চাকরি সূত্রে ১৯৩৫ সাল থেকে তিনি হুগলি শহরে এবং ১৯৪৩ সাল থেকে বর্ধমানে বসবাস করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে থেকে ১৯৫৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে তিনি পর্যায়ক্রমে চাখার ফজলুল হক কলেজ, দৌলতপুর বিএল কলেজ, কুষ্টিয়া কলেজ, বাগেরহাট পিসি কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর কুইন্স ইউনিভার্সিটি ও ঢাকার নটরডেম কলেজে অধ্যাপনা করেন।
আবুবকর সিদ্দিকের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ২০টি অধিক কাব্যগ্রন্থ, চারটি উপন্যাস, ১৫টি গল্পগ্রন্থ ও একটি ছড়া গ্রন্থ। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বই কবিতাগ্রন্থ ধবল দুধের স্বরগ্রাম (১৯৬৯), বিনিদ্র কালের ভেলা (১৯৭৬), হে লোকসভ্যতা (১৯৮৪), মানুষ তোমার বিক্ষত দিন (১৯৮৬) ও হট্টমালা (২০০১) নামে একটি ছড়া গ্রন্থ।
সাহিত্যে অবদানের জন্য আবুবকর সিদ্দিক বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, বঙ্গভাষা সংস্কৃতি প্রচার সমিতি পুরস্কার (কলকাতা) সহ আরও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছন।