বীর মুক্তিযোদ্ধা, সিনিয়র সাংবাদিক, দৈনিক করতোয়ার প্রধান প্রতিবেদক সাংবাদিক সৈয়দ আহমেদ অটল মারা গেছেন। গতকাল সকালে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বাদ জুমা প্রথমে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জানাজা হয়। জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তিনি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সৈয়দ আহমেদ অটলের ছেলে রাফসান জানি জিসান বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে তার বাবা সৈয়দ আহমদ অটল শারিরীক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। প্রথমে কয়েকদিন বাসা থেকে চিকিৎসা নিলেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে পরে আসগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।
সৈয়দ আহমদ অটলের জন্ম বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর ১৯৫২ সালের ১০ মার্চ। তিনি ছয় ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। বাম আদর্শ অনুসারী সৈয়দ আহমেদ আটল দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিটে কাজ করতেন।
বগুড়ার চকযাদু প্রাইমারি স্কুল, বাংলা স্কুল, সরকারি আযিযুল হক কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজে লেখাপড়া করেন। ছাত্র অবস্থায় তিনি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ অংশ নেন। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।
প্রগতিশীল চেতনায় বিশ্বাসী সৈয়দ আহমেদ অটল পেশা হিসেব বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক করতোয়ায় ১৯৭৮ সাল সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। সেখান থেকে ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠাতা বার্তা সম্পাদক হিসাব দৈনিক উত্তরাঞ্চলে যোগদান করেন। ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে আবারও দৈনিক করতোয়ায় (ঢাকায়) যোগদান। ঢাকায় দীর্ঘদিন রিপোর্টার হিসেব কাজ করার পর ২০০৮ সালে করতোয়ার চিফ রিপোর্টারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একই পদ কর্মরত ছিলেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সৈয়দ আহমেদ অটল জাতীয় প্রেস ক্লাব, বাংলাদশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও বগুড়া প্রেস ক্লাবের সদস্য ছিলেন। এছাড়া ডিআরইউ’র সাবেক দফতর সম্পাদক এবং বগুড়া প্রেসক্লাবের দুইবার কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। জড়িত ছিলন খেলাঘর আসর ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে। সৈয়দ আহমেদ অটলের আলোচিত বই ‘লড়াই’। বইটি ২০১৭ সালের অমর একুশের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়।
শুক্রবার, ০৮ মার্চ ২০২৪
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সিনিয়র সাংবাদিক, দৈনিক করতোয়ার প্রধান প্রতিবেদক সাংবাদিক সৈয়দ আহমেদ অটল মারা গেছেন। গতকাল সকালে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বাদ জুমা প্রথমে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জানাজা হয়। জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তিনি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সৈয়দ আহমেদ অটলের ছেলে রাফসান জানি জিসান বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে তার বাবা সৈয়দ আহমদ অটল শারিরীক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। প্রথমে কয়েকদিন বাসা থেকে চিকিৎসা নিলেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে পরে আসগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।
সৈয়দ আহমদ অটলের জন্ম বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর ১৯৫২ সালের ১০ মার্চ। তিনি ছয় ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। বাম আদর্শ অনুসারী সৈয়দ আহমেদ আটল দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিটে কাজ করতেন।
বগুড়ার চকযাদু প্রাইমারি স্কুল, বাংলা স্কুল, সরকারি আযিযুল হক কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজে লেখাপড়া করেন। ছাত্র অবস্থায় তিনি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ অংশ নেন। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।
প্রগতিশীল চেতনায় বিশ্বাসী সৈয়দ আহমেদ অটল পেশা হিসেব বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক করতোয়ায় ১৯৭৮ সাল সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। সেখান থেকে ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠাতা বার্তা সম্পাদক হিসাব দৈনিক উত্তরাঞ্চলে যোগদান করেন। ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে আবারও দৈনিক করতোয়ায় (ঢাকায়) যোগদান। ঢাকায় দীর্ঘদিন রিপোর্টার হিসেব কাজ করার পর ২০০৮ সালে করতোয়ার চিফ রিপোর্টারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একই পদ কর্মরত ছিলেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সৈয়দ আহমেদ অটল জাতীয় প্রেস ক্লাব, বাংলাদশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও বগুড়া প্রেস ক্লাবের সদস্য ছিলেন। এছাড়া ডিআরইউ’র সাবেক দফতর সম্পাদক এবং বগুড়া প্রেসক্লাবের দুইবার কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। জড়িত ছিলন খেলাঘর আসর ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে। সৈয়দ আহমেদ অটলের আলোচিত বই ‘লড়াই’। বইটি ২০১৭ সালের অমর একুশের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়।