বলিউডের ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমার জনপ্রিয় ‘ইয়া আলী’ গানের শিল্পী জুবিন গার্গ মারা গেছেন।
শুক্রবার,(১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় এক দুর্ঘটনায় তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
সিঙ্গাপুরে ‘নর্থ ইস্ট ইনডিয়া ফেস্টিভ্যালে’ অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। আজ ও কাল সেখানে গান গাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু এর আগের দিন সাগরে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় পড়েন জুবিন।
সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ‘সিপিআর’ দেয়া হয়। এরপর সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলেও বাঁচানো যায়নি। বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় তার মৃত্যু হয়েছে।
‘নর্থ ইস্ট ইনডিয়া ফেস্টিভ্যাল’ কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র অনুজ কুমার বড়ুয়া এনডিটিভিকে বলেন, স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় শ্বাস নিতে পারছিলেন না জুবিন। এরপর তাকে সাগর থেকে তুলে তাৎক্ষণিক সিপিআর দিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
আসামের এ শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।
ভারতীয় সিনেমা ও সঙ্গীতের জগতে নিজের কাজের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন জুবিন। অহমিয়া, বাংলা ও হিন্দি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি।
২০২২ সালে আসামের দিব্রুগড়ে একবার পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। তখন তিনি মাথায় আঘাত পান। সেবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে গুয়াহাটির একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়া হয়।
২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া ইমরান হাশমি ও কঙ্গনা রানাউত অভিনীত গ্যাংস্টার সিনেমায় ‘ইয়া আলী’ গানের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পান এ শিল্পী। এরপর ‘কৃষ থ্রি’ সিমেনার ‘দিল তু হি বাতা’ এর মতো বেশ কয়েকটি হিট গানে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি।
অসমিয়া, বাংলা, হিন্দি শুধু নয়, নেপালি, তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, মারাঠি, ওড়িয়া, ইংরেজি এবং এমনকি কার্বি, মিসিং এবং তিওয়ার মতো ভাষাসহ মোট ৪০ টিরও বেশি ভাষা এবং উপভাষায় গান গেয়েছিলেন।
তবে কেবল গান নয় নানা বাদ্যযন্ত্রেও তিনি পারদর্শী ছিলেন। তিনি তবলা থেকে শুরু করে গিটার, ড্রাম, হারমোনিয়াম, দোতারা, ঢোল, ম্যান্ডোলিন এবং হারমোনিয়ামসহ ১২টি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন। তার বহুমুখী প্রতিভার কারণে তিনি অসমের সবচেয়ে সম্মানিত এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া গায়কদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠেন।
সিনেমায় অভিনয় ও পরিচালকের ভূমিকায়ও ছিলেন তিনি। এর মধ্যে সুপার হিট হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা, মিশন চায়না, দীনবন্ধু ও মন জয়।
তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ, ২০২৪ সালে মেঘালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টর অফ লিটারেচার (ডি.লিট.) ডিগ্রি প্রদান করে।
তার এই অকাল মৃত্যুতে অসমসহ গোটা ভারত ও ভারতের বাইরে ভক্তদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার ভক্ত থেকে সহশিল্পীরা তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নানা পোস্ট শেয়ার করে।
তাদের একজন পশ্চিম বাংলার মেগাস্টার দেব। দেবের জন্য একাধিক গান গেয়েছিলেন জুবিন। তিনিও গায়ককে নিয়ে পোস্ট করেছেন।
১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর মেঘালয়ের তুরায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন জুবিন। প্রখ্যাত সঙ্গীত সুরকার জুবিন মেহতার নামে তার নামকরণ করা হয়।
সাহিত্য ও সঙ্গীতে যথেষ্ঠ চর্চা ছিল জুবিনের পরিবারে। তার বাবা মোহিনী মোহন বোরঠাকুর ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট।
পাশাপাশি তিনি গীতিকার ও কবিও ছিলেন।
জুবিনের মা হলেন ইলি বোরঠাকুরও ছিলেন গায়িকা। বোন জংকি অভিনেত্রী, গায়িকা।
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বলিউডের ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমার জনপ্রিয় ‘ইয়া আলী’ গানের শিল্পী জুবিন গার্গ মারা গেছেন।
শুক্রবার,(১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় এক দুর্ঘটনায় তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
সিঙ্গাপুরে ‘নর্থ ইস্ট ইনডিয়া ফেস্টিভ্যালে’ অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। আজ ও কাল সেখানে গান গাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু এর আগের দিন সাগরে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় পড়েন জুবিন।
সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ‘সিপিআর’ দেয়া হয়। এরপর সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলেও বাঁচানো যায়নি। বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় তার মৃত্যু হয়েছে।
‘নর্থ ইস্ট ইনডিয়া ফেস্টিভ্যাল’ কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র অনুজ কুমার বড়ুয়া এনডিটিভিকে বলেন, স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় শ্বাস নিতে পারছিলেন না জুবিন। এরপর তাকে সাগর থেকে তুলে তাৎক্ষণিক সিপিআর দিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
আসামের এ শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।
ভারতীয় সিনেমা ও সঙ্গীতের জগতে নিজের কাজের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন জুবিন। অহমিয়া, বাংলা ও হিন্দি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি।
২০২২ সালে আসামের দিব্রুগড়ে একবার পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। তখন তিনি মাথায় আঘাত পান। সেবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে গুয়াহাটির একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়া হয়।
২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া ইমরান হাশমি ও কঙ্গনা রানাউত অভিনীত গ্যাংস্টার সিনেমায় ‘ইয়া আলী’ গানের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পান এ শিল্পী। এরপর ‘কৃষ থ্রি’ সিমেনার ‘দিল তু হি বাতা’ এর মতো বেশ কয়েকটি হিট গানে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি।
অসমিয়া, বাংলা, হিন্দি শুধু নয়, নেপালি, তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, মারাঠি, ওড়িয়া, ইংরেজি এবং এমনকি কার্বি, মিসিং এবং তিওয়ার মতো ভাষাসহ মোট ৪০ টিরও বেশি ভাষা এবং উপভাষায় গান গেয়েছিলেন।
তবে কেবল গান নয় নানা বাদ্যযন্ত্রেও তিনি পারদর্শী ছিলেন। তিনি তবলা থেকে শুরু করে গিটার, ড্রাম, হারমোনিয়াম, দোতারা, ঢোল, ম্যান্ডোলিন এবং হারমোনিয়ামসহ ১২টি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন। তার বহুমুখী প্রতিভার কারণে তিনি অসমের সবচেয়ে সম্মানিত এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া গায়কদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠেন।
সিনেমায় অভিনয় ও পরিচালকের ভূমিকায়ও ছিলেন তিনি। এর মধ্যে সুপার হিট হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা, মিশন চায়না, দীনবন্ধু ও মন জয়।
তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ, ২০২৪ সালে মেঘালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টর অফ লিটারেচার (ডি.লিট.) ডিগ্রি প্রদান করে।
তার এই অকাল মৃত্যুতে অসমসহ গোটা ভারত ও ভারতের বাইরে ভক্তদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার ভক্ত থেকে সহশিল্পীরা তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নানা পোস্ট শেয়ার করে।
তাদের একজন পশ্চিম বাংলার মেগাস্টার দেব। দেবের জন্য একাধিক গান গেয়েছিলেন জুবিন। তিনিও গায়ককে নিয়ে পোস্ট করেছেন।
১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর মেঘালয়ের তুরায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন জুবিন। প্রখ্যাত সঙ্গীত সুরকার জুবিন মেহতার নামে তার নামকরণ করা হয়।
সাহিত্য ও সঙ্গীতে যথেষ্ঠ চর্চা ছিল জুবিনের পরিবারে। তার বাবা মোহিনী মোহন বোরঠাকুর ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট।
পাশাপাশি তিনি গীতিকার ও কবিও ছিলেন।
জুবিনের মা হলেন ইলি বোরঠাকুরও ছিলেন গায়িকা। বোন জংকি অভিনেত্রী, গায়িকা।