alt

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহে ঢাবিতে শ্রদ্ধা, মিরপুরে দাফন আজ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কথাসাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ আজ (শনিবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে আনা হয়। সেখানে সহকর্মী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।

অপরাজেয় বাংলায় ফুলেল শ্রদ্ধা জানান কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী, ইংরেজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সংগীত বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এরপর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। বাদ জোহর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। পরে তাঁকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

৩ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউল্যাব) যাওয়ার পথে গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ হয়েছে। পরে হৃদ্‌যন্ত্রে রিং পরানো হলেও তিনি আর সেরে ওঠেননি।

১৯৫১ সালের ১৮ জানুয়ারি সিলেটে জন্ম নেওয়া সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে তিনি কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইরিশ কবি ডব্লিউ বি ইয়েটসের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

দীর্ঘ পেশাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন এবং অবসরোত্তর সময়ে ইউল্যাবে যোগ দেন।

প্রবন্ধ, গল্প ও উপন্যাসে সমান দক্ষ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বাংলা কথাসাহিত্যে জাদুবাস্তবতার এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেন, যেখানে বাস্তব ও কল্পনার সীমারেখা মিলেমিশে যায়। তাঁর বিখ্যাত বই ‘প্রেম ও প্রার্থনার গল্প’ ২০০৫ সালে প্রথম আলোর বর্ষসেরা সৃজনশীল বইয়ের পুরস্কার পায়।

বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে একুশে পদক অর্জন করেন।

---

ছবি

শোক সংবাদ

ছবি

২২তম মৃত্যুবার্ষিকী: আহমদুল কবিরের কাজ ছিল মানুষের কল্যাণে

ছবি

সাংবাদিক জাওহার ইকবালের বাবার মৃত্যুতে ডিএসইসির শোক

ছবি

আহমদুল কবিরের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী

ছবি

ভূমিকম্প: পুরান ঢাকায় নিহত পিতা-পুত্রের লাশ বশিকপুরে গ্রামের বাড়িতে দাফন

ছবি

সুফিয়া কামালের ২৬তম প্রয়াণ দিবসে মহিলা পরিষদের শ্রদ্ধা

ছবি

সৈয়দপুরে মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ছবি

সাবেক অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী মারা গেছেন

ছবি

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকীর মৃত্যু, প্রধান উপদেষ্টার শোক

ছবি

সিরাজগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় সাংবাদিক নিহত

ছবি

ঝালকাঠিতে বাসের ধাক্কায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিহত

ছবি

আণবিক বিজ্ঞানী রেজাউর রহমান আর নেই

ছবি

ম হামিদ ও ফাল্গুনী হামিদের ছেলে প্রান্তর জ্যোতির মৃত্যু

ছবি

ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের প্রয়াত সম্পাদকের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

ছবি

আদমদীঘির সাবেক এমপি কছিম উদ্দিন আহম্মেদের ইন্তেকাল

ছবি

বাগাতিপাড়ায় সাংবাদিকের মায়ের ইন্তেকাল

ছবি

তিন গোয়েন্দার স্রষ্টা রকিব হাসানের চিরবিদায়

ছবি

চলে গেলেন প্রবীণ সাংবাদিক সরওয়ার উদ্দিন আহমেদ

ছবি

বৃষ্টিতে ভিজে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন সর্বস্তরের মানুষ

ছবি

সাবেক নৌপ্রধান সরওয়ার জাহান নিজামের মৃত্যু

ছবি

সাবেক প্রধান শিক্ষক ইসহাক আলী আর নেই

ছবি

গণতন্ত্র ও স্থানীয় সরকারের অগ্রদূত তোফায়েল আহমেদ আর নেই

ছবি

আহমদ রফিককে অশ্রুজলে চিরবিদায়

ছবি

শনিবার শহীদ মিনারে ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে

ছবি

সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের জানাজায় মানুষের ঢল

ছবি

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্যামসন এইচ চৌধুরীকে স্মরণ করলো পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীরা

ছবি

ইমারত নির্মাণ শ্রমিক নেতা আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন

ছবি

স্কুবা ডাইভিং দুর্ঘটনায় ‘ইয়া আলী’র গায়ক জুবিনের ‘অকালমৃত্যু’, বিশ্বজুড়ে শোক

ছবি

ফরিদা পারভীন: অচিনের পথে শ্রদ্ধাস্নাত প্রস্থান

ছবি

লেখনিতে মাটি মানুষ আর শেকড়ের কথা তুলে আনতেন রুকুনউদ্দৌলাহ্

ছবি

সাংবাদিক কাজী খলিলুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা

ছবি

শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধায় বদরুদ্দীন উমরের শেষ বিদায়

বদরুদ্দীন উমরকে শেষ বিদায় ফুলেল শ্রদ্ধা ও স্মৃতিচারণে

ছবি

লেখক, গবেষক ও মার্কসবাদী তাত্ত্বিক বদরুদ্দীন উমর মারা গেছেন

গণতন্ত্রী পার্টির নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বাবুর চেহলাম অনুষ্ঠিত

ছবি

মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যবসায়ী নিতাই চন্দ্র ঘোষের পরলোকগমন

tab

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহে ঢাবিতে শ্রদ্ধা, মিরপুরে দাফন আজ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কথাসাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ আজ (শনিবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে আনা হয়। সেখানে সহকর্মী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।

অপরাজেয় বাংলায় ফুলেল শ্রদ্ধা জানান কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী, ইংরেজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সংগীত বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এরপর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। বাদ জোহর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। পরে তাঁকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

৩ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউল্যাব) যাওয়ার পথে গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ হয়েছে। পরে হৃদ্‌যন্ত্রে রিং পরানো হলেও তিনি আর সেরে ওঠেননি।

১৯৫১ সালের ১৮ জানুয়ারি সিলেটে জন্ম নেওয়া সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে তিনি কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইরিশ কবি ডব্লিউ বি ইয়েটসের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

দীর্ঘ পেশাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন এবং অবসরোত্তর সময়ে ইউল্যাবে যোগ দেন।

প্রবন্ধ, গল্প ও উপন্যাসে সমান দক্ষ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বাংলা কথাসাহিত্যে জাদুবাস্তবতার এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেন, যেখানে বাস্তব ও কল্পনার সীমারেখা মিলেমিশে যায়। তাঁর বিখ্যাত বই ‘প্রেম ও প্রার্থনার গল্প’ ২০০৫ সালে প্রথম আলোর বর্ষসেরা সৃজনশীল বইয়ের পুরস্কার পায়।

বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে একুশে পদক অর্জন করেন।

---

back to top