২২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সোমবার, সংবাদের প্রধান সম্পাদক আহমদুল কবিরের (মনু মিয়া) কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ -সংবাদ
আহমদুল কবিরের স্মরণসভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, আহমদুল কবিরের কর্ম ছিল সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণের জন্য। তার কাছে জাতি ধর্ম-বর্ণ-ধনী-গরীব অসহায় মানুষ ছিল নিরাপদ। তিনি সাগরের মতো সবাইকে বুকে টেনে নিতেন। সবাইকে বটবৃক্ষের তিনি আপামর জনতাকে ছায়া দিতেন।
সোমবার, (২৪ নভেম্বর ২০২৫) ছিল সংবাদের প্রধান সম্পাদক, দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব, প্রগতিশীল রাজনীতিক আহমদুল কবিরের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে ঘোড়াশালে আহমদুল কবির স্মৃতি সংসদ এবং স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে দিনভর পালন করা হয় বিভিন্ন কর্মসূচি। কর্মসূচিতে ছিল মরহুমের নিজ বাড়ি ঘোড়াশালের জমিদার (মিয়া বাড়ি)তে সকালে কোরআন খতম, দুই সহস্রাধিক দুস্থদের মধ্যে উন্নত মানের খাবার বিতরণ, মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক প্রদান এবং মোনাজাত তার আত্মা ও পরিবারের কল্যাণ কামনা করে দোয়া হয় ।
সকালে মরহুমের বড় ছেলে দৈনিক সংবাদের সম্পাদক আলতামাশ কবির স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আহমদুল কবির (মনু মিয়া) স্মৃতি সংসদ, পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাবে পক্ষ হতে সাংবাদিকরা, নেহাব গ্রামবাসী, পাঁচদোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মেসার্স ইসলাম ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি অ্যান্ড মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স ও গণতন্ত্রী পার্টির নেতাকর্মীরা। বিকেলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার কন্যা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজিবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবির।
এরপর আহমুল কবির স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, পাঁচদোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন। বক্তব্য দেন আহমদুল কবির স্মৃতি সংসদের সদস্য বেনু মাস্টার । তিনি বলেন, স্মৃতিচারণে বলেন- আহমদুল কবির ছিলেন পলাশ-ঘোড়াশালের রূপকার, তার নামে স্মৃতি সংসদ বছরব্যাপী মেধাবী, গরীব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে আসছে, পিডিব হতে নির্গত অবশিষ্ট পানির স্রোতেরধারা নিয়ে কৃষকদের কল্যাণার্থে দীর্ঘ একটি খালের ব্যবস্থা করেন। মহান আল্লাহ তার আত্মাকে জান্নাতবাসী করুক।
স্মৃতি সংসদের সদস্য ডা. বিজয় বণিক বলেন, তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকদের গুরু, তার আদর্শ ঘওে ঘরে প্রচার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, যত দিন বাংলাদেশ থাকবে আহমদুল কবির সাহেবের সুকর্ম কোনোদিনই ভুলবো না। নিঃস্বার্থপর কবির সাহেবের মতো উচ্চমানের অর্থনীতিবিদ দেশে দ্বিতীয়জন নেই। আহমদুল কবির সাহেবের হাত ধরেই পলাশ- ঘোড়াশালের এত বড় শিল্পাঞ্চল গোড়াপত্তন হয়। যেখানে সারাদেশের হাজার হাজার নর-নারী কাজ করছে।
স্মৃতি সংসদের চরসিন্দুর ইউনিয়নের সদস্য মো. খোরশেদ দেওয়ান বলেন, কবির সাহেব ছিল জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একবাক্যে সহযোগিতা করার সুপুরুষ। আজ পর্যন্ত শুনিনি কোনো মানুষ আছে তার কাজ থেকে সহযোগিতা পাননি। আপনারা সবাই কবির সাহেবে আদর্শ গ্রহণ করে দেশ-জাতির সেবা করবেন।
জাতিয় পার্টির পলাশ উপজেলার সভাপতি এ কে এম জাকির হোসের বলেন, আহমদুল কবির স্যারের মধ্যে ছিল না কোনো হিংসা, স্বার্থপরতা, অহংহার। তার বুক ছিল আকাশের মতো বিশাল। সবাই তার বুকে ঠাঁই পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এরশাদ সাহেব তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রী হতে অনুরোধ করেন। কিন্তু নিঃস্বার্থবান আহমদুল কবির এরশাদের অনুরোধ হাসি মুখে ত্যাগ করেন। এমন ত্যাগী নেতা দেশে দ্বিতীয়জন নেই।
আহমদুল কবির স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক কার্ত্তিক চ্যাটার্জী বলেন, চরসিন্দুর হতে ডাংগা যতগুলো কলকারখানা গড়ে উঠেছে তার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন আহমদুল কবির (মনু মিয়া)। যার অবদান চিরস্মরণীয় ও নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল। তার মাতো মানুষ বার বার জন্ম হয় না।
ঘোড়াশাল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম বলেন, তার কথা শুনতাম মনে হতো মানুষ এত ভালো হয় কীভাবে। এত সুন্দর ব্যবহার, কর্তব্যবোধ ও একনিষ্ঠতা আমি স্যারের মধ্যে দেখেছি।
আলোচনার সভার সভাপতি মো. মনির হোসেন বলেন, আহমদুল কবির অনেক গুণে গুণান্বিত ছিল। আপনারা সবাই তার জন্য, তার পরিবারের সবার জন্য দোয়া করবেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
২২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সোমবার, সংবাদের প্রধান সম্পাদক আহমদুল কবিরের (মনু মিয়া) কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ -সংবাদ
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
আহমদুল কবিরের স্মরণসভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, আহমদুল কবিরের কর্ম ছিল সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণের জন্য। তার কাছে জাতি ধর্ম-বর্ণ-ধনী-গরীব অসহায় মানুষ ছিল নিরাপদ। তিনি সাগরের মতো সবাইকে বুকে টেনে নিতেন। সবাইকে বটবৃক্ষের তিনি আপামর জনতাকে ছায়া দিতেন।
সোমবার, (২৪ নভেম্বর ২০২৫) ছিল সংবাদের প্রধান সম্পাদক, দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব, প্রগতিশীল রাজনীতিক আহমদুল কবিরের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে ঘোড়াশালে আহমদুল কবির স্মৃতি সংসদ এবং স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে দিনভর পালন করা হয় বিভিন্ন কর্মসূচি। কর্মসূচিতে ছিল মরহুমের নিজ বাড়ি ঘোড়াশালের জমিদার (মিয়া বাড়ি)তে সকালে কোরআন খতম, দুই সহস্রাধিক দুস্থদের মধ্যে উন্নত মানের খাবার বিতরণ, মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক প্রদান এবং মোনাজাত তার আত্মা ও পরিবারের কল্যাণ কামনা করে দোয়া হয় ।
সকালে মরহুমের বড় ছেলে দৈনিক সংবাদের সম্পাদক আলতামাশ কবির স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আহমদুল কবির (মনু মিয়া) স্মৃতি সংসদ, পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাবে পক্ষ হতে সাংবাদিকরা, নেহাব গ্রামবাসী, পাঁচদোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মেসার্স ইসলাম ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি অ্যান্ড মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স ও গণতন্ত্রী পার্টির নেতাকর্মীরা। বিকেলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার কন্যা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজিবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবির।
এরপর আহমুল কবির স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, পাঁচদোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন। বক্তব্য দেন আহমদুল কবির স্মৃতি সংসদের সদস্য বেনু মাস্টার । তিনি বলেন, স্মৃতিচারণে বলেন- আহমদুল কবির ছিলেন পলাশ-ঘোড়াশালের রূপকার, তার নামে স্মৃতি সংসদ বছরব্যাপী মেধাবী, গরীব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে আসছে, পিডিব হতে নির্গত অবশিষ্ট পানির স্রোতেরধারা নিয়ে কৃষকদের কল্যাণার্থে দীর্ঘ একটি খালের ব্যবস্থা করেন। মহান আল্লাহ তার আত্মাকে জান্নাতবাসী করুক।
স্মৃতি সংসদের সদস্য ডা. বিজয় বণিক বলেন, তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকদের গুরু, তার আদর্শ ঘওে ঘরে প্রচার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, যত দিন বাংলাদেশ থাকবে আহমদুল কবির সাহেবের সুকর্ম কোনোদিনই ভুলবো না। নিঃস্বার্থপর কবির সাহেবের মতো উচ্চমানের অর্থনীতিবিদ দেশে দ্বিতীয়জন নেই। আহমদুল কবির সাহেবের হাত ধরেই পলাশ- ঘোড়াশালের এত বড় শিল্পাঞ্চল গোড়াপত্তন হয়। যেখানে সারাদেশের হাজার হাজার নর-নারী কাজ করছে।
স্মৃতি সংসদের চরসিন্দুর ইউনিয়নের সদস্য মো. খোরশেদ দেওয়ান বলেন, কবির সাহেব ছিল জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একবাক্যে সহযোগিতা করার সুপুরুষ। আজ পর্যন্ত শুনিনি কোনো মানুষ আছে তার কাজ থেকে সহযোগিতা পাননি। আপনারা সবাই কবির সাহেবে আদর্শ গ্রহণ করে দেশ-জাতির সেবা করবেন।
জাতিয় পার্টির পলাশ উপজেলার সভাপতি এ কে এম জাকির হোসের বলেন, আহমদুল কবির স্যারের মধ্যে ছিল না কোনো হিংসা, স্বার্থপরতা, অহংহার। তার বুক ছিল আকাশের মতো বিশাল। সবাই তার বুকে ঠাঁই পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এরশাদ সাহেব তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রী হতে অনুরোধ করেন। কিন্তু নিঃস্বার্থবান আহমদুল কবির এরশাদের অনুরোধ হাসি মুখে ত্যাগ করেন। এমন ত্যাগী নেতা দেশে দ্বিতীয়জন নেই।
আহমদুল কবির স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক কার্ত্তিক চ্যাটার্জী বলেন, চরসিন্দুর হতে ডাংগা যতগুলো কলকারখানা গড়ে উঠেছে তার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন আহমদুল কবির (মনু মিয়া)। যার অবদান চিরস্মরণীয় ও নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল। তার মাতো মানুষ বার বার জন্ম হয় না।
ঘোড়াশাল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম বলেন, তার কথা শুনতাম মনে হতো মানুষ এত ভালো হয় কীভাবে। এত সুন্দর ব্যবহার, কর্তব্যবোধ ও একনিষ্ঠতা আমি স্যারের মধ্যে দেখেছি।
আলোচনার সভার সভাপতি মো. মনির হোসেন বলেন, আহমদুল কবির অনেক গুণে গুণান্বিত ছিল। আপনারা সবাই তার জন্য, তার পরিবারের সবার জন্য দোয়া করবেন।