শুক্রবার শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আ’লীগের আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের -সংবাদ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ছাড়া কোন নির্বাচন হবে না। এমন কোন নেতা নেই যাকে মানুষ বিশ্বাস করে। সেই নেতা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ছাড়া নির্বাচন মানি না। বাংলাদেশকে আবারও ষড়যন্ত্র করে অন্ধকারে নিয়ে যাবেন আমরা তা হতে দেব না।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা। সংকটকে সম্ভাবনার রূপ দিয়েছেন যিনি, তিনি আমাদের সাহস, স্বপ্নের বর্ণিল ঠিকানা। আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নতুন নতুন উচ্চতা দিয়েছেন। বাংলাদেশকে নব নব মুকুটে সজ্জিত করেছেন। সি হ্যাজ মেইড আস লুক ব্রাইটার। সি হ্যাজ প্রাউড আস ফিল প্রাউড, স্ট্যান্ড টলার। সি হ্যাজ শো দ্যা ওয়ে আউট অব প্রভার্টি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৪৮ বছর চলে গেছে। যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের কাছে জানতে চাই, পঁচাত্তরের পর শেখ হাসিনার মতো জনপ্রিয় নেতা এসেছে এ দেশে? গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে সাহসী নেতা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সফল কূটনীতিক- কে তিনি? শেখ হাসিনা। এখনও বাংলাদেশের নম্বর ওয়ান পপুলার পলিটিশিয়ান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন আর ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল। কী অদ্ভূত কান্ড!
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৪৮ ঘণ্টা শেষ। আলটিমেটাম শেষ। ফলাফল কী? ক্যাপ্টেন আমেরিকায়, ক্যাপ্টেন আসলে জোরদার খেলা হবে। তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্র আমাদের সংবিধান ঠিক করবে। আমাদের নির্বাচন আমাদের সংবিধান ঠিক করবে। তত্ত্বাবধায়ক এখন মরা লাশ। ওই মরা লাশ আমাদের কাছে এনে লাভ নেই।
সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ
‘আমরা গত নির্বাচনে ইশতেহার করেছিলাম। ইশতেহার পড়ে কয়জন? বুলেট পয়েন্টে ইশতেহার করুন। কোনও দরকার নেই বিশাল একটা পুস্তক রচনার। এ ধরনের ইশতেহার কেউ পড়বে না। মানুষের সময়ও নেই। আমাদের সময়ের সঙ্গে, বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চলতে হবে। সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। ক্ষমতায় থাকতে হলে এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
২০৪০ সাল মাথায় রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে গেছে, এখন মাথায় স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্টনেস কীভাবে আসবে। কীভাবে এর বিকাশ ঘটবে। এই বিষয়গুলো আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমরা অতি কঠিন সময় অতিক্রম করতে পারবো। কারণ আমাদের দলের অধিনায়ক সাহসী। তার অসীম সাহসের জন্য আমরা দুর্লভ সাগর পাড়ি দিতে পারবো। বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের জনগণের জন্য শেখ হাসিনা আল্লাহর রহমতের দান।
গত বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির প্রথম সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জো বাইডেন বলেছেন, আমি আবারও ক্ষমতা থাকতে চাই। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা এলে আমেরিকার গণতন্ত্র নষ্ট হবে। আমেরিকার গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। আমার বয়স কোনও বিষয় না, গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য আমি আবারও ক্ষমতা থাকতে চাই। আমিও (ওবায়দুল কাদের) একইভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। এই স্পিরিটটা আমাদের রাখতে হবে। অ্যাকশনমুখে কর্মকান্ড করতে হবে। এখানে জুঁই ফুলের গান গেয়ে লাভ নেই। আমার সামনে এই ২৩ নম্বরে গ্রেনেড বিস্ফোরণ, তার সামনে দাঁড়িয়ে আমি জুঁই ফুলের গান গাইবো? আমাকেও অ্যাকশনে যেতে হবে। যেমন কুকুর তেমন মুগুর, ওই রকম ইশতেহার তৈরি করুন।’
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব তো বলেই দিয়েছেন, আর মাত্র কয়টা দিন, আপনারা কোথায় যাবেন? মির্জা আব্বাস বলেন, তারা নাকি চাঁদরাত দেখতে পান। তারা নাকি আমাদের তাড়িয়ে দেবেন। আর কয়েকটা দিন পরেই নাকি আমাদের চলে যেতে হবে। আমি শুক্রবার টঙ্গীতে বলেছি, আমরা এই অক্টোবরে আছি, আগামী অক্টোবরও থাকবো।’
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভা ছোট না বড় হবে, সব এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর। তিনি চাইলে সেটাকে ছোটও করতে পারেন, আবার বড়ও করতে পারেন। পৃথিবীর অন্যান্য সব গণতান্ত্রিক দেশের মতো নির্বাচনকালীন সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে, মেজর কোনও পলিসি ডিসিশনে অংশ নেবে না। এটা হলো নিয়ম। এ নিয়ম মেনে আমরাও চলবো।’
বিগত নির্বাচনগুলোতে দেয়া ইশতেহার মূল্যায়ন করে এবারের নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ড. আবদুর রাজ্জাক। তবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সভা শুরুর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিনে দোয়া মাহফিল ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা কেএম আবদুল মমিন সিরাজী।
ড. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন দলটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও উপ-কমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদ, সদস্য ড. বজলুল হক খন্দকার, অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. শামসুল আলম, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, শেখর দত্ত, ড. মাকসুদ কামাল, ড. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক খায়রুল হোসেন, সাজ্জাদুল হাসান, তারানা হালিম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জুনাইদ আহমেদ পলক, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।
শুক্রবার শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আ’লীগের আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের -সংবাদ
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ছাড়া কোন নির্বাচন হবে না। এমন কোন নেতা নেই যাকে মানুষ বিশ্বাস করে। সেই নেতা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ছাড়া নির্বাচন মানি না। বাংলাদেশকে আবারও ষড়যন্ত্র করে অন্ধকারে নিয়ে যাবেন আমরা তা হতে দেব না।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা। সংকটকে সম্ভাবনার রূপ দিয়েছেন যিনি, তিনি আমাদের সাহস, স্বপ্নের বর্ণিল ঠিকানা। আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নতুন নতুন উচ্চতা দিয়েছেন। বাংলাদেশকে নব নব মুকুটে সজ্জিত করেছেন। সি হ্যাজ মেইড আস লুক ব্রাইটার। সি হ্যাজ প্রাউড আস ফিল প্রাউড, স্ট্যান্ড টলার। সি হ্যাজ শো দ্যা ওয়ে আউট অব প্রভার্টি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৪৮ বছর চলে গেছে। যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের কাছে জানতে চাই, পঁচাত্তরের পর শেখ হাসিনার মতো জনপ্রিয় নেতা এসেছে এ দেশে? গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে সাহসী নেতা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সফল কূটনীতিক- কে তিনি? শেখ হাসিনা। এখনও বাংলাদেশের নম্বর ওয়ান পপুলার পলিটিশিয়ান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন আর ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল। কী অদ্ভূত কান্ড!
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৪৮ ঘণ্টা শেষ। আলটিমেটাম শেষ। ফলাফল কী? ক্যাপ্টেন আমেরিকায়, ক্যাপ্টেন আসলে জোরদার খেলা হবে। তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্র আমাদের সংবিধান ঠিক করবে। আমাদের নির্বাচন আমাদের সংবিধান ঠিক করবে। তত্ত্বাবধায়ক এখন মরা লাশ। ওই মরা লাশ আমাদের কাছে এনে লাভ নেই।
সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ
‘আমরা গত নির্বাচনে ইশতেহার করেছিলাম। ইশতেহার পড়ে কয়জন? বুলেট পয়েন্টে ইশতেহার করুন। কোনও দরকার নেই বিশাল একটা পুস্তক রচনার। এ ধরনের ইশতেহার কেউ পড়বে না। মানুষের সময়ও নেই। আমাদের সময়ের সঙ্গে, বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চলতে হবে। সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। ক্ষমতায় থাকতে হলে এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
২০৪০ সাল মাথায় রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে গেছে, এখন মাথায় স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্টনেস কীভাবে আসবে। কীভাবে এর বিকাশ ঘটবে। এই বিষয়গুলো আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমরা অতি কঠিন সময় অতিক্রম করতে পারবো। কারণ আমাদের দলের অধিনায়ক সাহসী। তার অসীম সাহসের জন্য আমরা দুর্লভ সাগর পাড়ি দিতে পারবো। বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের জনগণের জন্য শেখ হাসিনা আল্লাহর রহমতের দান।
গত বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির প্রথম সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জো বাইডেন বলেছেন, আমি আবারও ক্ষমতা থাকতে চাই। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা এলে আমেরিকার গণতন্ত্র নষ্ট হবে। আমেরিকার গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। আমার বয়স কোনও বিষয় না, গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য আমি আবারও ক্ষমতা থাকতে চাই। আমিও (ওবায়দুল কাদের) একইভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। এই স্পিরিটটা আমাদের রাখতে হবে। অ্যাকশনমুখে কর্মকান্ড করতে হবে। এখানে জুঁই ফুলের গান গেয়ে লাভ নেই। আমার সামনে এই ২৩ নম্বরে গ্রেনেড বিস্ফোরণ, তার সামনে দাঁড়িয়ে আমি জুঁই ফুলের গান গাইবো? আমাকেও অ্যাকশনে যেতে হবে। যেমন কুকুর তেমন মুগুর, ওই রকম ইশতেহার তৈরি করুন।’
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব তো বলেই দিয়েছেন, আর মাত্র কয়টা দিন, আপনারা কোথায় যাবেন? মির্জা আব্বাস বলেন, তারা নাকি চাঁদরাত দেখতে পান। তারা নাকি আমাদের তাড়িয়ে দেবেন। আর কয়েকটা দিন পরেই নাকি আমাদের চলে যেতে হবে। আমি শুক্রবার টঙ্গীতে বলেছি, আমরা এই অক্টোবরে আছি, আগামী অক্টোবরও থাকবো।’
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভা ছোট না বড় হবে, সব এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর। তিনি চাইলে সেটাকে ছোটও করতে পারেন, আবার বড়ও করতে পারেন। পৃথিবীর অন্যান্য সব গণতান্ত্রিক দেশের মতো নির্বাচনকালীন সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে, মেজর কোনও পলিসি ডিসিশনে অংশ নেবে না। এটা হলো নিয়ম। এ নিয়ম মেনে আমরাও চলবো।’
বিগত নির্বাচনগুলোতে দেয়া ইশতেহার মূল্যায়ন করে এবারের নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ড. আবদুর রাজ্জাক। তবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সভা শুরুর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিনে দোয়া মাহফিল ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা কেএম আবদুল মমিন সিরাজী।
ড. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন দলটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও উপ-কমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদ, সদস্য ড. বজলুল হক খন্দকার, অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. শামসুল আলম, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, শেখর দত্ত, ড. মাকসুদ কামাল, ড. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক খায়রুল হোসেন, সাজ্জাদুল হাসান, তারানা হালিম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জুনাইদ আহমেদ পলক, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।