দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী (সংসদ সদস্য নন এমন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী)। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী একজন উপদেষ্টাও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
রোববার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে তারা পদত্যাগপত্র জমা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং চারজন উপমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তাদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম সংসদ সদস্য না হওয়ায় টেকনোক্র্যাট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
পদত্যাগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “কেবিনেট ডিভিশনে খোঁজ নেন, কেবিনেট ডিভিশন বলতে পারবে। কেবিনেট ডিভিশনের খবর আমাদের দেওয়ার কথা না।”
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, মন্ত্রিসভা ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে যারা সংসদ সদস্য নন, তাদেরকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
মসিউর রহমান ছাড়াও ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা, ড. গওহর রিজভী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং সালমান ফজলুর রহমান বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাদের মধ্যে সালমান ফজলুর রহমান ছাড়া অন্যরা সংসদ সদস্য নন।
মসিউর রহমান ছাড়া প্রধানমন্ত্রী অন্য কোনো উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।
তবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, “এখন নির্বাচনকালীন সরকার। তফসিল ঘোষণার পর টেকনোক্রাট মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা- এসব পদ থাকে না, এটাই তো নিয়ম।”
সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে কিছু বলা নেই। ২০১৮ সালের নভেম্বরে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের দিন টেকনোক্র্যাট চার মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হয় এবং তারা পদত্যাগপত্র জমাও দেন। বাকি মন্ত্রীরা সবাই রুটিন কাজ করে গেছেন।
সেসময় যেসব মন্ত্রী পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন, তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয় এক মাস পর, অর্থাৎ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর ঠিক আগের দিন।
এর আগে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের আগের সর্বদলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরোনো কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে নতুন করে ছয়জনকে যুক্ত করা হয়।
গত ৩১ অক্টোবরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনা করা হয়েছিল, এবারও একই রকম পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই ও প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রচার চালানোর সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা।
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী (সংসদ সদস্য নন এমন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী)। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী একজন উপদেষ্টাও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
রোববার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে তারা পদত্যাগপত্র জমা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং চারজন উপমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তাদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম সংসদ সদস্য না হওয়ায় টেকনোক্র্যাট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
পদত্যাগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “কেবিনেট ডিভিশনে খোঁজ নেন, কেবিনেট ডিভিশন বলতে পারবে। কেবিনেট ডিভিশনের খবর আমাদের দেওয়ার কথা না।”
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, মন্ত্রিসভা ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে যারা সংসদ সদস্য নন, তাদেরকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
মসিউর রহমান ছাড়াও ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা, ড. গওহর রিজভী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং সালমান ফজলুর রহমান বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাদের মধ্যে সালমান ফজলুর রহমান ছাড়া অন্যরা সংসদ সদস্য নন।
মসিউর রহমান ছাড়া প্রধানমন্ত্রী অন্য কোনো উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।
তবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, “এখন নির্বাচনকালীন সরকার। তফসিল ঘোষণার পর টেকনোক্রাট মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা- এসব পদ থাকে না, এটাই তো নিয়ম।”
সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে কিছু বলা নেই। ২০১৮ সালের নভেম্বরে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের দিন টেকনোক্র্যাট চার মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হয় এবং তারা পদত্যাগপত্র জমাও দেন। বাকি মন্ত্রীরা সবাই রুটিন কাজ করে গেছেন।
সেসময় যেসব মন্ত্রী পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন, তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয় এক মাস পর, অর্থাৎ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর ঠিক আগের দিন।
এর আগে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের আগের সর্বদলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরোনো কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে নতুন করে ছয়জনকে যুক্ত করা হয়।
গত ৩১ অক্টোবরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনা করা হয়েছিল, এবারও একই রকম পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই ও প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রচার চালানোর সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা।
