alt

রাজনীতি

বাস পুড়লো পেট্রোল বোমায়, অসুস্থ হয়ে পড়লেন মালিক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক ও রাজশাহী প্রতিনিধি : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

সকালে কিস্তির স্যার ফোন দিয়েছিল। তিনিও বাস পুড়ানোর ঘটনা জানেন। তিনি (কিস্তির স্যার) বললেন বেশি চিস্তা-ভাবনা না করতে। এই বলে ফোন রেখে দেন। গাড়ি (বাস) চললে কিস্তি দেয়া কোনো ব্যাপার না। বাসটা পুড়ে গিয়ে চাপে পড়ে গেছেন। এখন কিস্তি দেব, নাকি বাস মেরামত করবো। মিস্ত্রি জানিয়েছে- ঠিকঠাক করে বাস সড়কে নামাতে কয়েক লাখ টাকা খরচ হবে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে মুঠোফোনে আক্ষেপ করে এভাবেই বলছিলেন গত রোববার গোদাগাড়ীর রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে পেট্রোল বোমায় পোড়া ‘শিমু নূর তাজ’ পরিবহনের মালিকের ভাই সোহেল রানা। তিনি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। বাস পোড়ার খবরে তার ভাই জুয়েল রানা (বাস মালিক) অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে তিনি জানান।

সোহেল রানা বলেন, বাসটির পুরনো চেসিস কেনা হয়েছিল। এর আগে স্থানীয় ব্র্যাক ও প্রশিকা (এনজিও) থেকে ঋণ করা হয়। ব্র্যাক থেকে সাড়ে তিন লাখ ও প্রশিকা থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা। ঋণ বাবদ প্রতি মাসে কিস্তি হিসেবে ৫০ হাজার ২০০ টাকা দিতে হয় দুই এনজিওকে। এর মধ্যে ব্র্যাক এনজিওতে ২১ হাজার ৬০০ ও প্রশিকা এনজিওতে ২৮ হাজার ৭০০ টাকা। এনজিওগুলোর লেনদেন আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এখন ঋণের কিস্তি দিতে না পাড়লে সেই সুসম্পর্ক আর থাকবে না। তারপরেও তারা আমাদের বাস পুড়ে গেছে বিষয়টি অবগত আছেন।

তিনি বলেন, বাসটি কেনার বয়স ছয় মাস। এরপরে ধারদেনা করে বাসের নতুন বডি করি। নতুন বডি করার বয়স তিন মাস হবে। বাস নতুনই আছে। তার মধ্যে এমন একটা ঘটনা ঘটে গেল। এটা শুধু আমার ক্ষতি হলো না। এ কারণে রাষ্ট্রের ক্ষতি হলো। কারণ এই বাসটা ঠিক করে সড়কে নামাতে তার ১০ লাখ টাকার বেশি খরচ হবে। বাসটি সাড়ে ১২ লাখ টাকায় কেনা হয়। তারপরে বাসের বডিসহ খরচ পড়ে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা। বাসটি সড়কে নামাতে নতুন করে ধারদেনায় পড়তে হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরও বলেন, মালিক সমিতি থেকে বাসের কাগজপত্র চেয়েছে। সেই কাগজপত্র দেয়া হয়েছে। তারা কেন্দ্রে যোগাযোগ করেছে। রাজশাহীর নেতারা আশ্বাস দিয়েছে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা পাওয়া যাবে। তবে সময় লাগবে। ততদিনে কিস্তি কীভাবে দেব এই চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা সড়কে গাড়ি চালালে আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। গাড়ি ও যাত্রীর যেন কোনো ক্ষতি না হয়।

২৪ দিনে ১৮৫টি যানবাহনে

আগুন : ফায়ার সার্ভিস

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে তান্ডব শুরুর পর গত সোমবার (২০ নভেম্বর) পর্যন্ত ২৪ দিনে সারাদেশে অন্তত ১৯৭টি যানবাহন ও স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর হরতাল, অবরোধ ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশে এসব যানবাহন ও স্থাপনায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সেই হিসাবে দেশে প্রতিদিন প্রায় সাতটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে গড়ে প্রতিদিন প্রায় পাঁচটি করে বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ওই ২৪ দিনে আগুনে মোট ১৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা পুড়েছে। যানবাহনের মধ্যে ১১৮টি বাস, ২৬টি ট্রাক, ১৩টি কাভার্ড ভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল, দুটি প্রাইভেটকার, তিনটি মাইক্রোবাস, তিনটি পিকআপ, তিনটি সিএনজি, দুটি ট্রেন, একটি নছিমন, তিনটি লেগুনা, একটি ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি, একটি পুলিশের গাড়ি, একটি অ্যাম্বুলেন্স, বিএনপির দলীয় কার্যালয় এলাকায় পাঁচটি, একটি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, একটি পুলিশ বক্স, একটি কাউন্সিলর অফিস, দুটি বিদ্যুৎ অফিস, একটি বাস কাউন্টার, দুটি শোরুমসহ আরো দুটি স্থাপনা পুড়েছে। এসব আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৪১টি ইউনিট ও ১ হাজার ৮৮৮ জন জনবল কাজ করেছেন বলেও জানান তালহা বিন জসিম।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম জানান, সারাদেশের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে মিরপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ে সব মিলিয়ে মোট ৩৪ জেলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাকি ৩০টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটেনি। আর উপজেলার হিসাবে দেশের ৬০টি উপজেলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাকি ৪৩৫টি উপজেলায় কোনো অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি। জেলা হিসেবে গাজীপুরে, উপজেলা হিসেবে বগুড়া সদরে আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি।

ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৯৫টি, ঢাকা বিভাগে ৩৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪টি, বরিশাল বিভাগে সাতটি, রংপুর বিভাগে সাতটি, খুলনা বিভাগে দুটি, ময়মনসিংহ বিভাগে দুটি এবং সিলেট বিভাগে একটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬০টি, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩৫টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

এলাকাভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মিরপুরে এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। মিরপুর এলাকায় ১৭টি, গুলিস্তানে ৯টি, নয়াপল্টন-কাকরাইল এলাকায় সাতটি, খিলগাঁও-মুগদা এলাকায় সাতটি, পোস্তাগোলা-যাত্রাবাড়ী এলাকায় সাতটি, মতিঝিল-আরামবাগ এলাকায় পাঁচটি, মোহাম্মদপুর চারটি ও বারিধারা চারটি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।

এদিকে জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গাজীপুরে ১৬টি, চট্টগ্রামে ১৪টি, বগুড়া ১৩টি, নারায়ণগঞ্জ ছয়টি, মানিকগঞ্জ চারটি, ফরিদপুর চারটি, লালমনিরহাট চারটি ও নাটোর চারটি করে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বগুড়া সদর উপজেলায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। বগুড়া সদরে আটটি, গাজীপুর সদরে ছয়টি, নারায়ণগঞ্জ সদরে চারটি, ফেনী সদরে তিনটি এবং কালিয়াকৈর উপজেলায় চারটি করে আগুনের ঘটনা ঘটে। অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রমে সারাদেশে ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মী ও তিন জন সাধারণ মানুষকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে এসব অগ্নিকান্ডে নিহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান ফায়ার সার্ভিস।

গাড়িতে আগুন দিয়ে ভিডিও করে পাঠালে ১০ হাজার টাকা : র‌্যাব

এদিকে গাড়িতে আগুন দিয়ে ভিডিও করে বড় ভাইদের কাছে পাঠালে ১০ হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে। রাজধানীর মিরপুরের কালশীসহ আশপাশ এলাকায় গাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এ সব কথা র‌্যাবকে জানিয়েছে বলে র‌্যাব দাবি করছে। গত সোমবার রাতে র‌্যাব-৪ টিম অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে। অগ্নিসংযোগকারীরা হলো- আল-মোহাম্মদ চাঁন, মো. সাগর, আল-আমিন রুবেল ও খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্স থেকে পাঠানো তথ্যে বলা হয়েছে, গত ১৮ নভেম্বর মিরপুরের কালশী এলাকায় বসুমতি পরিবহনে একটি বাসে অগুন লাগানো হয়। ওই আগুন লাগানোর ঘটনায় ওই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে শনাক্ত করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা র‌্যাবকে জানিয়েছে, তারা বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী। তাদের নেতাদের নির্দেশে আল মোহম্মাদ চাঁন মিরপুর ও পল্লবীর আশপাশে এলাকায় বাসে আগুন দেয়ার পরিকল্পনা করে। সেই মতে ১৮ নভেম্বর চাঁন তার সহযোগী সাগর ও আলামিন ওরফে রুবেল মিরপুর ১১ নম্বর, তালতলা নাভানা, কালশী রোড, সিরামিক রোড এলাকায় সুবিধা জনক স্থানে যানবাহনে আগুন দিতে রাত সাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে। এরপর চাঁন গাড়িতে আগুন দেয়ার জন্য তার বন্ধুর মোটরসাইকেল থেকে ২৫০ এমএল পরিমাণ পেট্রোল বের করে টাইগার এনার্জির ড্রিংকের বোতলে ভরে ওই দিন সন্ধ্যায় আল আমিনের কাছে দেয়। এরপর রাতে কালশীতে আগুন দেয়ার অনুকুল পরিবেশ আছে কিনা ঘুরে দেখে। এরপর চাঁনের নির্দেশে সাগর আল আমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসের মাঝ খানের জানালা খুলে পেট্রোল ঢেলে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অন্যরাস্থলের ছবি তুলে ও ভিডিও ধারণ করে স্থানীয় নেতাদের কাছে পাঠায়। বাসে আগুন দেয়ার জন্য গ্রেপ্তারকৃত চাঁন তাদের জন্য ১০ হাজার টাকা করে পেলেও সাগর ও আল আমিনকে ৭ হাজার টাকা করে দেয়। অবশিষ্ট ৩ হাজার টাকা করে চাঁন নিজেই আত্মসাৎ করে।

গাড়িতে আগুন দেয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করে। এতে অন্যদেরকে আগুন দিতে প্ররোচিত করে। মঙ্গলবারেও সন্ধ্যার পর একই ভাকে সুবিধা জনক স্থানে গাড়ি পোড়ানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। গ্রেপ্তারকৃতরা কালশীতে বসুমতি পরিবহনে একটি বাসে আগুন দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত খোরশেদ আলম বসুমতি পরিবহনের বাসে আগুন দেয়ার সময় ঘটনাস্থল উপস্থিত থেকে ছবি তুলে ও ভিডিও ধারণ করে চাঁনের কাছে পাঠাত।

এদিকে, র‌্যাব-১০ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ ও মুন্সীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আগুন-সন্ত্রাসসহ নাশকতার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত সোমবার রাতে র‌্যাব-১০ একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মুন্সীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক কাশেম বেপারী, মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বিএনপির সক্রিয় কর্মী আবদুল্লাহ আল মামুন প্রকাশ ওরফে মামুন শেখ, কামরাঙ্গীর চর থানা যুবদলের সদস্য হাসিব, লালবাগ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নেছার উদ্দিন ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগাঞ্জের অভিযুক্ত মোক্তার হোসেন টিটু।

র‌্যাব জানিয়েছে, অভিযুক্ত আসামিরা নাশকতার পরিকল্পপনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছে। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর, বাসে আগুনসহ নানা ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রমে জড়িত ছিল বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

ছবি

শেখ হাসিনা দিল্লির সুরক্ষিত এলাকায় অবস্থান করছেন, ভারতের প্রিন্টের প্রতিবেদন

ছবি

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ, হাসনাত লিখলেন ‘ঈদ মোবারক’

ছবি

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ঘোষণা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে উচ্ছ্বাস

ছবি

আওয়ামী লীগ-জাপাসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধের দাবি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

ছবি

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ মামলায় খালাস

ছবি

রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা সৃষ্টি করতে ফ্যাসিবাদের দোসররা চক্রান্ত করছে: সালাহ উদ্দিন

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর দাবি: জামায়াতের আপিল বিভাগে আবেদন

ছবি

দেশে নতুন সংকট তৈরি হোক চাই না : নজরুল ইসলাম খান

ছবি

৮ বছরের সাজা থেকে খালাস পেলেন বাবর

ছবি

বিএনপির আহ্বান: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ঘিরে রাজনৈতিক সংকট এড়াতে সতর্কতা প্রয়োজন

ছবি

নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পথে এক ধাপ এগোল জামায়াত

ছবি

আইনজীবীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ব্যারিস্টার সুমন

ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সশস্ত্র হামলা

ছবি

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল

ছবি

শেখ হাসিনার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে ঢাকায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিতে ডিএনএ নমুনা দিলেন মেয়ে

ছবি

নতুন এমডি আসছে সরকারি ১০ ব্যাংকে

ছবি

সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ গ্রেপ্তার

ছবি

দাবি আদায়ের আন্দোলনে ছুটির দিনে সরগরম ঢাকা

ছবি

সংলাপের বাইরে আওয়ামী লীগ, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের প্রস্তুতি

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতায় সমালোচনা: রিজভী

ছবি

প্রয়োজন পড়েনি, তাই ডাকেনি: চুন্নু

ছবি

শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া মানে খুনিকে আশ্রয় দেয়া: রিজভী

ছবি

শমসের মবিন চৌধুরীর বাসায় অভিযান চালাচ্ছে ডিবি

অনভিজ্ঞ সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনায় পরামর্শ দিতে চায় বিএনপি

ছবি

পাঁচবিবিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে ১৪৪ ধারা জারি

ছবি

শমসের মবিন চৌধুরীকে বিদেশ যেতে বাধা, আদালত অবমাননার অভিযোগ

ছবি

বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মনে করে না এ সরকার : উপদেষ্টা নাহিদ

ছবি

‘অগ্নিকন্যা’ মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন

ছবি

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের দুই সমন্ময়ককে রংপুরে অবাঞ্চিত করার নেপথ্যে

ছবি

হাসনাত-সারজিসকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

ছবি

ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি: সরকারের উদাসীনতায় উদ্বেগ প্রকাশ বিএনপির

ছবি

আওয়ামী লীগের তৈরি আইনেই তাদের বিচার করতে হবে: জামায়াতের আমির

ছবি

নারায়ণগঞ্জে দখল ও চাঁদাবাজি : ওসমানদের শুন্যস্থানে বিএনপির লোক

ছবি

আমি আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে নেই : এম এ মান্নান

ছবি

কারাগারে সাবেক এমপি বোমা মানিক

tab

রাজনীতি

বাস পুড়লো পেট্রোল বোমায়, অসুস্থ হয়ে পড়লেন মালিক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক ও রাজশাহী প্রতিনিধি

মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

সকালে কিস্তির স্যার ফোন দিয়েছিল। তিনিও বাস পুড়ানোর ঘটনা জানেন। তিনি (কিস্তির স্যার) বললেন বেশি চিস্তা-ভাবনা না করতে। এই বলে ফোন রেখে দেন। গাড়ি (বাস) চললে কিস্তি দেয়া কোনো ব্যাপার না। বাসটা পুড়ে গিয়ে চাপে পড়ে গেছেন। এখন কিস্তি দেব, নাকি বাস মেরামত করবো। মিস্ত্রি জানিয়েছে- ঠিকঠাক করে বাস সড়কে নামাতে কয়েক লাখ টাকা খরচ হবে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে মুঠোফোনে আক্ষেপ করে এভাবেই বলছিলেন গত রোববার গোদাগাড়ীর রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে পেট্রোল বোমায় পোড়া ‘শিমু নূর তাজ’ পরিবহনের মালিকের ভাই সোহেল রানা। তিনি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। বাস পোড়ার খবরে তার ভাই জুয়েল রানা (বাস মালিক) অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে তিনি জানান।

সোহেল রানা বলেন, বাসটির পুরনো চেসিস কেনা হয়েছিল। এর আগে স্থানীয় ব্র্যাক ও প্রশিকা (এনজিও) থেকে ঋণ করা হয়। ব্র্যাক থেকে সাড়ে তিন লাখ ও প্রশিকা থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা। ঋণ বাবদ প্রতি মাসে কিস্তি হিসেবে ৫০ হাজার ২০০ টাকা দিতে হয় দুই এনজিওকে। এর মধ্যে ব্র্যাক এনজিওতে ২১ হাজার ৬০০ ও প্রশিকা এনজিওতে ২৮ হাজার ৭০০ টাকা। এনজিওগুলোর লেনদেন আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এখন ঋণের কিস্তি দিতে না পাড়লে সেই সুসম্পর্ক আর থাকবে না। তারপরেও তারা আমাদের বাস পুড়ে গেছে বিষয়টি অবগত আছেন।

তিনি বলেন, বাসটি কেনার বয়স ছয় মাস। এরপরে ধারদেনা করে বাসের নতুন বডি করি। নতুন বডি করার বয়স তিন মাস হবে। বাস নতুনই আছে। তার মধ্যে এমন একটা ঘটনা ঘটে গেল। এটা শুধু আমার ক্ষতি হলো না। এ কারণে রাষ্ট্রের ক্ষতি হলো। কারণ এই বাসটা ঠিক করে সড়কে নামাতে তার ১০ লাখ টাকার বেশি খরচ হবে। বাসটি সাড়ে ১২ লাখ টাকায় কেনা হয়। তারপরে বাসের বডিসহ খরচ পড়ে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা। বাসটি সড়কে নামাতে নতুন করে ধারদেনায় পড়তে হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরও বলেন, মালিক সমিতি থেকে বাসের কাগজপত্র চেয়েছে। সেই কাগজপত্র দেয়া হয়েছে। তারা কেন্দ্রে যোগাযোগ করেছে। রাজশাহীর নেতারা আশ্বাস দিয়েছে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা পাওয়া যাবে। তবে সময় লাগবে। ততদিনে কিস্তি কীভাবে দেব এই চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা সড়কে গাড়ি চালালে আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। গাড়ি ও যাত্রীর যেন কোনো ক্ষতি না হয়।

২৪ দিনে ১৮৫টি যানবাহনে

আগুন : ফায়ার সার্ভিস

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে তান্ডব শুরুর পর গত সোমবার (২০ নভেম্বর) পর্যন্ত ২৪ দিনে সারাদেশে অন্তত ১৯৭টি যানবাহন ও স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর হরতাল, অবরোধ ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশে এসব যানবাহন ও স্থাপনায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সেই হিসাবে দেশে প্রতিদিন প্রায় সাতটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে গড়ে প্রতিদিন প্রায় পাঁচটি করে বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ওই ২৪ দিনে আগুনে মোট ১৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা পুড়েছে। যানবাহনের মধ্যে ১১৮টি বাস, ২৬টি ট্রাক, ১৩টি কাভার্ড ভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল, দুটি প্রাইভেটকার, তিনটি মাইক্রোবাস, তিনটি পিকআপ, তিনটি সিএনজি, দুটি ট্রেন, একটি নছিমন, তিনটি লেগুনা, একটি ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি, একটি পুলিশের গাড়ি, একটি অ্যাম্বুলেন্স, বিএনপির দলীয় কার্যালয় এলাকায় পাঁচটি, একটি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, একটি পুলিশ বক্স, একটি কাউন্সিলর অফিস, দুটি বিদ্যুৎ অফিস, একটি বাস কাউন্টার, দুটি শোরুমসহ আরো দুটি স্থাপনা পুড়েছে। এসব আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৪১টি ইউনিট ও ১ হাজার ৮৮৮ জন জনবল কাজ করেছেন বলেও জানান তালহা বিন জসিম।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম জানান, সারাদেশের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে মিরপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ে সব মিলিয়ে মোট ৩৪ জেলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাকি ৩০টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটেনি। আর উপজেলার হিসাবে দেশের ৬০টি উপজেলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাকি ৪৩৫টি উপজেলায় কোনো অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি। জেলা হিসেবে গাজীপুরে, উপজেলা হিসেবে বগুড়া সদরে আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি।

ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৯৫টি, ঢাকা বিভাগে ৩৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪টি, বরিশাল বিভাগে সাতটি, রংপুর বিভাগে সাতটি, খুলনা বিভাগে দুটি, ময়মনসিংহ বিভাগে দুটি এবং সিলেট বিভাগে একটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬০টি, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩৫টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

এলাকাভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মিরপুরে এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। মিরপুর এলাকায় ১৭টি, গুলিস্তানে ৯টি, নয়াপল্টন-কাকরাইল এলাকায় সাতটি, খিলগাঁও-মুগদা এলাকায় সাতটি, পোস্তাগোলা-যাত্রাবাড়ী এলাকায় সাতটি, মতিঝিল-আরামবাগ এলাকায় পাঁচটি, মোহাম্মদপুর চারটি ও বারিধারা চারটি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।

এদিকে জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গাজীপুরে ১৬টি, চট্টগ্রামে ১৪টি, বগুড়া ১৩টি, নারায়ণগঞ্জ ছয়টি, মানিকগঞ্জ চারটি, ফরিদপুর চারটি, লালমনিরহাট চারটি ও নাটোর চারটি করে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বগুড়া সদর উপজেলায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। বগুড়া সদরে আটটি, গাজীপুর সদরে ছয়টি, নারায়ণগঞ্জ সদরে চারটি, ফেনী সদরে তিনটি এবং কালিয়াকৈর উপজেলায় চারটি করে আগুনের ঘটনা ঘটে। অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রমে সারাদেশে ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মী ও তিন জন সাধারণ মানুষকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে এসব অগ্নিকান্ডে নিহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান ফায়ার সার্ভিস।

গাড়িতে আগুন দিয়ে ভিডিও করে পাঠালে ১০ হাজার টাকা : র‌্যাব

এদিকে গাড়িতে আগুন দিয়ে ভিডিও করে বড় ভাইদের কাছে পাঠালে ১০ হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে। রাজধানীর মিরপুরের কালশীসহ আশপাশ এলাকায় গাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এ সব কথা র‌্যাবকে জানিয়েছে বলে র‌্যাব দাবি করছে। গত সোমবার রাতে র‌্যাব-৪ টিম অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে। অগ্নিসংযোগকারীরা হলো- আল-মোহাম্মদ চাঁন, মো. সাগর, আল-আমিন রুবেল ও খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্স থেকে পাঠানো তথ্যে বলা হয়েছে, গত ১৮ নভেম্বর মিরপুরের কালশী এলাকায় বসুমতি পরিবহনে একটি বাসে অগুন লাগানো হয়। ওই আগুন লাগানোর ঘটনায় ওই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে শনাক্ত করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা র‌্যাবকে জানিয়েছে, তারা বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী। তাদের নেতাদের নির্দেশে আল মোহম্মাদ চাঁন মিরপুর ও পল্লবীর আশপাশে এলাকায় বাসে আগুন দেয়ার পরিকল্পনা করে। সেই মতে ১৮ নভেম্বর চাঁন তার সহযোগী সাগর ও আলামিন ওরফে রুবেল মিরপুর ১১ নম্বর, তালতলা নাভানা, কালশী রোড, সিরামিক রোড এলাকায় সুবিধা জনক স্থানে যানবাহনে আগুন দিতে রাত সাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে। এরপর চাঁন গাড়িতে আগুন দেয়ার জন্য তার বন্ধুর মোটরসাইকেল থেকে ২৫০ এমএল পরিমাণ পেট্রোল বের করে টাইগার এনার্জির ড্রিংকের বোতলে ভরে ওই দিন সন্ধ্যায় আল আমিনের কাছে দেয়। এরপর রাতে কালশীতে আগুন দেয়ার অনুকুল পরিবেশ আছে কিনা ঘুরে দেখে। এরপর চাঁনের নির্দেশে সাগর আল আমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসের মাঝ খানের জানালা খুলে পেট্রোল ঢেলে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অন্যরাস্থলের ছবি তুলে ও ভিডিও ধারণ করে স্থানীয় নেতাদের কাছে পাঠায়। বাসে আগুন দেয়ার জন্য গ্রেপ্তারকৃত চাঁন তাদের জন্য ১০ হাজার টাকা করে পেলেও সাগর ও আল আমিনকে ৭ হাজার টাকা করে দেয়। অবশিষ্ট ৩ হাজার টাকা করে চাঁন নিজেই আত্মসাৎ করে।

গাড়িতে আগুন দেয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করে। এতে অন্যদেরকে আগুন দিতে প্ররোচিত করে। মঙ্গলবারেও সন্ধ্যার পর একই ভাকে সুবিধা জনক স্থানে গাড়ি পোড়ানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। গ্রেপ্তারকৃতরা কালশীতে বসুমতি পরিবহনে একটি বাসে আগুন দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত খোরশেদ আলম বসুমতি পরিবহনের বাসে আগুন দেয়ার সময় ঘটনাস্থল উপস্থিত থেকে ছবি তুলে ও ভিডিও ধারণ করে চাঁনের কাছে পাঠাত।

এদিকে, র‌্যাব-১০ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ ও মুন্সীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আগুন-সন্ত্রাসসহ নাশকতার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত সোমবার রাতে র‌্যাব-১০ একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মুন্সীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক কাশেম বেপারী, মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বিএনপির সক্রিয় কর্মী আবদুল্লাহ আল মামুন প্রকাশ ওরফে মামুন শেখ, কামরাঙ্গীর চর থানা যুবদলের সদস্য হাসিব, লালবাগ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নেছার উদ্দিন ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগাঞ্জের অভিযুক্ত মোক্তার হোসেন টিটু।

র‌্যাব জানিয়েছে, অভিযুক্ত আসামিরা নাশকতার পরিকল্পপনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছে। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর, বাসে আগুনসহ নানা ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রমে জড়িত ছিল বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

back to top