জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে নয়টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ১৪ জন নেতার একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে সাক্ষাৎ করেন।
দলগুলো হল-বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, আশেকানে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
প্রেস উইংয়ের এক বার্তায় বলা হয়, “এ সময় জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য তারা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসাও করেন নেতৃবৃন্দ।”
প্রতিনিধিদল শেখ হাসিনাকে একটি ক্যালিওগ্রাফি উপহার দেয় বলেও জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে।
এই সাক্ষাতের যে ছবি প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখা যায়, এই সাক্ষাতে অংশ নেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর শাহীনূর পাশা চৌধুরী যিনি ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে হারলেও ২০০৫ সালে সুনামগঞ্জ ৩ আসনের উপনির্বাচনে একই প্রতীক নিয়ে জিতে আসেন।
সে সময় বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে জোটে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ছিলেন তিনি। কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক এ দল তখন ধানের শীষ প্রতীকই ব্যবহার করত।
নেতাদের মধ্যে ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত আমিনী, যিনি বিএনপির সাবেক শরিক মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে। তার দলের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহও ছিলেন তার সঙ্গে।
মুফতি আমিনীর মৃত্যুর চার বছর পর ২০১৬ সালে তার দল বিএনপি-জামায়াত জোট থেকে বেরিয়ে আসে।
বৈঠকে ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, যিনি হেফাজতে ইসলামেরও নায়েবে আমির।
তার বাবা হাফেজ্জী হুজুর নামে পরিচিত মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী, যিনি ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন। তিনি ও তার দল সব সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনীতি করে আসছিলেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিসবাহুর রহমান চৌধুরীও ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ ছিলেন। পরে জোট সরকারের আমলেই বেরিয়ে এসে পরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীও আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে।
আশেকানে আউলিয়া ঐক্য পরিষদের চেয়াম্যান আলম নূরীও এই বৈঠকে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নেতারাও এই বৈঠকে ছিলেন। তবে কারও নাম জানানো হয়নি।
শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে নয়টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ১৪ জন নেতার একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে সাক্ষাৎ করেন।
দলগুলো হল-বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, আশেকানে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
প্রেস উইংয়ের এক বার্তায় বলা হয়, “এ সময় জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য তারা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসাও করেন নেতৃবৃন্দ।”
প্রতিনিধিদল শেখ হাসিনাকে একটি ক্যালিওগ্রাফি উপহার দেয় বলেও জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে।
এই সাক্ষাতের যে ছবি প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখা যায়, এই সাক্ষাতে অংশ নেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর শাহীনূর পাশা চৌধুরী যিনি ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে হারলেও ২০০৫ সালে সুনামগঞ্জ ৩ আসনের উপনির্বাচনে একই প্রতীক নিয়ে জিতে আসেন।
সে সময় বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে জোটে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ছিলেন তিনি। কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক এ দল তখন ধানের শীষ প্রতীকই ব্যবহার করত।
নেতাদের মধ্যে ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত আমিনী, যিনি বিএনপির সাবেক শরিক মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে। তার দলের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহও ছিলেন তার সঙ্গে।
মুফতি আমিনীর মৃত্যুর চার বছর পর ২০১৬ সালে তার দল বিএনপি-জামায়াত জোট থেকে বেরিয়ে আসে।
বৈঠকে ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, যিনি হেফাজতে ইসলামেরও নায়েবে আমির।
তার বাবা হাফেজ্জী হুজুর নামে পরিচিত মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী, যিনি ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন। তিনি ও তার দল সব সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনীতি করে আসছিলেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিসবাহুর রহমান চৌধুরীও ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ ছিলেন। পরে জোট সরকারের আমলেই বেরিয়ে এসে পরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীও আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে।
আশেকানে আউলিয়া ঐক্য পরিষদের চেয়াম্যান আলম নূরীও এই বৈঠকে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নেতারাও এই বৈঠকে ছিলেন। তবে কারও নাম জানানো হয়নি।