আবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম। রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার ৮ বছর পর আবার নির্বাচনে দাঁড়াতে যাচ্ছেন তিনি।
এক সময় আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হওয়া মনজুর আলম এবার চট্টগ্রাম-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন। ১৫ বছর আগেও তিনি এ আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন।
আবার কেন ভোটের মাঠে নামছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মনজুর আলম সোমবার গণমাধ্যমকে জানান, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন জাতীয় প্রয়োজন। নির্বাচিত হয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই। আমাদের সংসদীয় আসনে ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে অনেক এলাকা অবহেলিত। যখন মেয়র হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম, তখন যতটুকু পেরেছি করেছি। আল্লাহ কামিয়াব করলে অবশিষ্ট কাজ ভবিষ্যতে শেষ করতে চাই।’
এম মনজুর আলম মোস্তফা হাকিম গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মনজুর আলমের বড় ভাই আবু তাহেরের ছেলে দিদারুল আলম গত দুই মেয়াদে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। তবে, এবার তিনি দলের মনোনয়ন পাননি।
রোববার আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয় ২৯৮ আসনে। প্রার্থী ঘোষণার পর দিদারুল জানান, তিনি এবার আর নির্বাচনে লড়বেন না। তার পরদিনই তার চাচা মনজুর আলম চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন।
ভোটে অংশগ্রহণকে ‘এক প্রকার আন্দোলন’ হিসেবে দেখাতে চান মনজুর আলম।
তিনি বলেন, “আমার লক্ষ্য এলাকার সার্বিক উন্নয়ন। আমি এই এলাকার সন্তান। কারো ভাই, কারো নাতি, কারো আত্মীয়। তাদের জন্য কিছু করতে চাই। সবার দোয়া চাই।”
এম মনজুর আলম শিল্প গোষ্ঠী মোস্তফা হাকিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু তাহের তার বড় ভাই।
আবু তাহেরের ছেলে দিদারুল আলম গত দুই মেয়াদে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। এবার তিনি দলের মনোনয়ন পাননি।
প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চট্টগ্রামের মেয়রের দায়িত্বে থাকাকালীন মনজুর ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রেপ্তার হলে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পান মনজুর।
তাদের দুজনের পারিবারিক সখ্যের কথাও চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে সবার জানা। মেয়র থাকাকালে মহিউদ্দিনের নামে নগরীর একটি সড়কের নামকরণের ঘোষণা দেন মনজুর।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল দ্বিতীয় বার বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিলেও মনজুর আলম ভোট শুরুর তিন ঘণ্টার মাথায় ‘কারচুপির’ অভিযোগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে রাজনীতি ছাড়ারও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালে নগর বিএনপির নতুন কমিটিতেও তার নাম আসেনি।
এরপর ২০১৭ সালের ১৮ মে এই সাবেক মেয়র জানান, ‘উপযুক্ত’ সময়ের অপেক্ষায় আছেন তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী ছিলেন মনজুর। সবশেষ গত সিটি নির্বাচনে আবার মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনোবারই তার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তখনকার চট্টগ্রাম-৮ আসনে (বর্তমান ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন চেয়েও পাননি মনজুর। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।
এরপর ২০১০ সালের সিটি নির্বাচনে চট্টগ্রামে বিএনপির সমর্থনে মেয়র নির্বাচিত হন মনজুর আলম। মেয়র নির্বাচিত হয়ে মহিউদ্দিনের বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখাও করেছিলেন মনজুর আলম। আবার ঢাকায় গিয়ে খালেদা জিয়ার হাতে ফুল দিয়ে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছিলেন। সে সময় তাঁকে উপদেষ্টা করে নেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
আবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম। রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার ৮ বছর পর আবার নির্বাচনে দাঁড়াতে যাচ্ছেন তিনি।
এক সময় আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হওয়া মনজুর আলম এবার চট্টগ্রাম-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন। ১৫ বছর আগেও তিনি এ আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন।
আবার কেন ভোটের মাঠে নামছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মনজুর আলম সোমবার গণমাধ্যমকে জানান, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন জাতীয় প্রয়োজন। নির্বাচিত হয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই। আমাদের সংসদীয় আসনে ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে অনেক এলাকা অবহেলিত। যখন মেয়র হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম, তখন যতটুকু পেরেছি করেছি। আল্লাহ কামিয়াব করলে অবশিষ্ট কাজ ভবিষ্যতে শেষ করতে চাই।’
এম মনজুর আলম মোস্তফা হাকিম গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মনজুর আলমের বড় ভাই আবু তাহেরের ছেলে দিদারুল আলম গত দুই মেয়াদে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। তবে, এবার তিনি দলের মনোনয়ন পাননি।
রোববার আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয় ২৯৮ আসনে। প্রার্থী ঘোষণার পর দিদারুল জানান, তিনি এবার আর নির্বাচনে লড়বেন না। তার পরদিনই তার চাচা মনজুর আলম চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন।
ভোটে অংশগ্রহণকে ‘এক প্রকার আন্দোলন’ হিসেবে দেখাতে চান মনজুর আলম।
তিনি বলেন, “আমার লক্ষ্য এলাকার সার্বিক উন্নয়ন। আমি এই এলাকার সন্তান। কারো ভাই, কারো নাতি, কারো আত্মীয়। তাদের জন্য কিছু করতে চাই। সবার দোয়া চাই।”
এম মনজুর আলম শিল্প গোষ্ঠী মোস্তফা হাকিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু তাহের তার বড় ভাই।
আবু তাহেরের ছেলে দিদারুল আলম গত দুই মেয়াদে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। এবার তিনি দলের মনোনয়ন পাননি।
প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চট্টগ্রামের মেয়রের দায়িত্বে থাকাকালীন মনজুর ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রেপ্তার হলে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পান মনজুর।
তাদের দুজনের পারিবারিক সখ্যের কথাও চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে সবার জানা। মেয়র থাকাকালে মহিউদ্দিনের নামে নগরীর একটি সড়কের নামকরণের ঘোষণা দেন মনজুর।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল দ্বিতীয় বার বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিলেও মনজুর আলম ভোট শুরুর তিন ঘণ্টার মাথায় ‘কারচুপির’ অভিযোগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে রাজনীতি ছাড়ারও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালে নগর বিএনপির নতুন কমিটিতেও তার নাম আসেনি।
এরপর ২০১৭ সালের ১৮ মে এই সাবেক মেয়র জানান, ‘উপযুক্ত’ সময়ের অপেক্ষায় আছেন তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী ছিলেন মনজুর। সবশেষ গত সিটি নির্বাচনে আবার মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনোবারই তার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তখনকার চট্টগ্রাম-৮ আসনে (বর্তমান ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন চেয়েও পাননি মনজুর। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।
এরপর ২০১০ সালের সিটি নির্বাচনে চট্টগ্রামে বিএনপির সমর্থনে মেয়র নির্বাচিত হন মনজুর আলম। মেয়র নির্বাচিত হয়ে মহিউদ্দিনের বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখাও করেছিলেন মনজুর আলম। আবার ঢাকায় গিয়ে খালেদা জিয়ার হাতে ফুল দিয়ে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছিলেন। সে সময় তাঁকে উপদেষ্টা করে নেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।