আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১২টার রিটার্নিং কর্মকর্তা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে ফরম জমা দেন তিনি। সেসময় তার সাথে ছিলেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, রাউজানের পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল ওহাব ও সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন।
ফরম জমা দেওয়া শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ত্যাগ করেন ফজলে করিম। তার নামে স্লোগান দিতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের। জেলা প্রশাসক কার্যালয় ভবনে কয়েকশ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ভবনের নিচে প্রাঙ্গণেও ছিলেন কয়েকশ নেতাকর্মী। তাদের সবার পরনে ছিল পায়জামা, পাঞ্জাবি ও মুজিব কোট।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। ইতোমধ্যে ৩ হাজারের বেশি মনোনয়ন ফরম থেকে বাছাই করে দলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় ৮ এর খ ধারায় বলা হয়েছে, মনোয়ন ফরম দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল বা ‘শোডাউন’ করা যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার বলেন, “প্রার্থীর সাথে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পাঁচজন আসতে পারেন। আচরণ বিধিতে এটাই আছে। আজকে একজন প্রার্থী নমিনেশন ফরম জমা দিয়েছেন। আমার কাছে যখন এসেছেন, উনার সাথে পাঁচজনই ছিল। এক্ষেত্রে প্রার্থীকে জানিয়েছি।”
জেলা প্রশাসক বলেন, “উনি (প্রার্থী) বলেছেন, সমর্থক অনুসারীরা অনেকে অতি উৎসাহী অনেক কিছু করে থাকেন৷ সমর্থকদের সচেতন করতে তিনি প্রচার চালাতে আমাদের অনুরোধ করেছেন। উনাকে বলেছি, শোডাউন করা যাবে না। উনি বলেছেন, ‘অনেক সমর্থকরা বিষয়টা জানে না’। এখানে বিচারপ্রার্থী অনেক মানুষ আসে, তাদের মধ্যে উৎসুক জনতা প্রার্থীকে দেখতে ভিড় করেছিল।”
তারপরও যদি আচরণবিধি লঙ্ঘনের কিছু ঘটে থাকে, পরে দেখে নিয়ম অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা। আচরণ বিধি না মেনে মিছিল করে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফজলে করিম চৌধুরী ফোন ধরেননি।
তবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই; তিনি এবারসহ সাতবার আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচিত হয়েছি। এবারও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি অংশগ্রহণ করুক৷ বিএনপিকেও আহ্বান জানাব তারা যেন অংশগ্রহণ করে।”
অন্য কেউ তার আসনে প্রার্থী হলে স্বাগত জানাবেন কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “অন্য যে কেউ, যত দল, বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র যা কিছু আছে সবাই আসুক। খেলার মাঠে আমি খেলতে চাই। গোলকিপার ছাড়া আমি গোল দিতে চাই না। সবাই আসুক, অংশগ্রহণ করুক। জনগণ তার রায় প্রদান করবে। আমি নতুন না, চাই সবাই অংশগ্রহণ করুক।”
মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১২টার রিটার্নিং কর্মকর্তা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে ফরম জমা দেন তিনি। সেসময় তার সাথে ছিলেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, রাউজানের পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল ওহাব ও সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন।
ফরম জমা দেওয়া শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ত্যাগ করেন ফজলে করিম। তার নামে স্লোগান দিতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের। জেলা প্রশাসক কার্যালয় ভবনে কয়েকশ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ভবনের নিচে প্রাঙ্গণেও ছিলেন কয়েকশ নেতাকর্মী। তাদের সবার পরনে ছিল পায়জামা, পাঞ্জাবি ও মুজিব কোট।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। ইতোমধ্যে ৩ হাজারের বেশি মনোনয়ন ফরম থেকে বাছাই করে দলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় ৮ এর খ ধারায় বলা হয়েছে, মনোয়ন ফরম দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল বা ‘শোডাউন’ করা যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার বলেন, “প্রার্থীর সাথে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পাঁচজন আসতে পারেন। আচরণ বিধিতে এটাই আছে। আজকে একজন প্রার্থী নমিনেশন ফরম জমা দিয়েছেন। আমার কাছে যখন এসেছেন, উনার সাথে পাঁচজনই ছিল। এক্ষেত্রে প্রার্থীকে জানিয়েছি।”
জেলা প্রশাসক বলেন, “উনি (প্রার্থী) বলেছেন, সমর্থক অনুসারীরা অনেকে অতি উৎসাহী অনেক কিছু করে থাকেন৷ সমর্থকদের সচেতন করতে তিনি প্রচার চালাতে আমাদের অনুরোধ করেছেন। উনাকে বলেছি, শোডাউন করা যাবে না। উনি বলেছেন, ‘অনেক সমর্থকরা বিষয়টা জানে না’। এখানে বিচারপ্রার্থী অনেক মানুষ আসে, তাদের মধ্যে উৎসুক জনতা প্রার্থীকে দেখতে ভিড় করেছিল।”
তারপরও যদি আচরণবিধি লঙ্ঘনের কিছু ঘটে থাকে, পরে দেখে নিয়ম অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা। আচরণ বিধি না মেনে মিছিল করে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফজলে করিম চৌধুরী ফোন ধরেননি।
তবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই; তিনি এবারসহ সাতবার আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচিত হয়েছি। এবারও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি অংশগ্রহণ করুক৷ বিএনপিকেও আহ্বান জানাব তারা যেন অংশগ্রহণ করে।”
অন্য কেউ তার আসনে প্রার্থী হলে স্বাগত জানাবেন কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “অন্য যে কেউ, যত দল, বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র যা কিছু আছে সবাই আসুক। খেলার মাঠে আমি খেলতে চাই। গোলকিপার ছাড়া আমি গোল দিতে চাই না। সবাই আসুক, অংশগ্রহণ করুক। জনগণ তার রায় প্রদান করবে। আমি নতুন না, চাই সবাই অংশগ্রহণ করুক।”