alt

ভিন্ন ব্যানারে মাঠে নামতে চাইছে বিএনপি

মহসীন ইসলাম টুটুল : সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ পন্ড হওয়ার পর একের পর এক হরতাল-অবরোধ কর্মসূচী পালন করে আসছে বিএনপি। এক মাস পর এখন আবার সমাবেশ কর্মসূচীর মাধ্যমে মাঠে নামতে চাইছে দলটি। তবে এবার সরাসরি নিজস্ব ব্যানারে না গিয়ে ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশ করতে চাইছে তারা।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ‘গুম-খুনের শিকার’ এবং দলটির কারাবন্দি নেতাকর্মীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। ১০ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে এই সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করতে যাচ্ছে দলটি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, ‘প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হতো। তবে এবারে সেই অধিকারকেও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সভা আয়োজন করার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। তাই বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি না থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত আর নির্যাতিত পরিবারের ব্যানারে কর্মসূচি হতে পারে।’

বিএনপির নবম দফা অবরোধের শেষ দিন গতকাল সোমবার অজ্ঞাত স্থান থেকে এক ভিডিও বার্তায় রুহুল কবির রিজভী আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার দশম দফা অবরোধ এবং রোববার মানববন্ধনের কর্মসূচী ঘোষনা করেন।

দলীয় সূত্র জানায়, ওই দিন ‘গুম হওয়াদের’ পরিবার সদস্যদের নিয়ে গঠিত ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনকেও এদিন কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেখানে বিএনপির পদধারী নেতাকর্মী উপস্থিত থাকতে না পারলেও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড, এমনকি ইউনিট পর্যায়ে আটক নেতাকর্মীর পরিবারের সদস্যদের হাজির করা হবে। তাতেও ‘১০ হাজারের ওপর উপস্থিতি’ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন বিএনপি নেতারা।

একই দিন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে সমাবেশ করবে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দলটি। অর্থাৎ একই দিনে রাজপথে আবার সমাবেশ করতে যাচ্ছে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল। নিজ নিজ কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে যাচ্ছে তারা।

এবিষয়ে গাজীপুরের বিএনপি নেতা শেখ মো. আলেক সংবাদকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও পুলিশ আমাদের বাড়ি ঘরে থাকতে দিচ্ছে না। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের পরিবেশ নাই। এই অবস্থায় গুম, খুন আর কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীর পরিবার নিয়ে রাজধানীসহ দেশের সকল জেলা শহরে সমাবেশ ও মানববন্ধন পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে শীর্ষ পর্যায় থেকে। দেশের এই ক্রান্তি কালে বসে থাকলেও চলবে না।’

বিএনপির আরেক নেতা সংবাদকে বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভিন্ন উপায়ে মাঠে থাকার কৌশল নিয়েছি আমরা। দেশের বর্তমান অবস্থায় মাঠের আন্দোলন চাঙ্গা করতে বাধ্য হয়েই আমাদের ভিন্ন কৌশল বেছে নিতে হচ্ছে।’

২৮ অক্টোবর হাসমাবেশ পÐ হওয়ার পর সভা-সমাবেশের মতো কর্মসূচি নিয়ে বিএনপিকে আর রাজপথে দেখা যায়নি। ওই দিন বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা, জ্বালাও-পোড়াও এবং পুলিশ হত্যার ঘটনা ঘটে। তবে আওয়ামী লীগের ‘শান্তি সমাবেশ’ শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

নির্বাচনকে সামনে রেখে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সরকার সমর্থক নেতাকর্মীরা সর্বাত্মক নির্বাচনী উৎসবে মেতে উঠেছেন। রাজপথে দলীয় সমাবেশ করতে হলে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি লাগবে বলে জানিয়েছে কমিশন। সেজন্য অনুমতি চেয়ে নির্বচন কমিশন (ইসি) বরাবর চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষমমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। যদিও ইসি জানিয়েছে তারা কোন চিঠি পায়নি।

বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে সম্ভাব্য সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ঠেকাতে রাজপথে সতর্ক পাহারা অব্যাহত রাখার জন্য দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মাঠ পর্যয়ের নেতাকর্মীরা। তাই রাজধানীর সড়ক ও প্রবেশমুখগুলোতে সতর্ক অবস্থান নেবে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মী। ঢাকার প্রবেশমুখ যাত্রাবাড়ী, উত্তরা ও বুড়িগঙ্গা নদীর দুই সেতুর মুখেও অবস্থান করবে আওয়ামী লীগ।

চলতি বছরের জুলাইয়ে বিএনপি ও তার মিত্ররা এক দফা দাবিতে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করলে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের কর্মসূচি পালন জোরদার করতে থাকে। নির্বাচন পর্যন্ত মাঠ নিজেদের দখলে রেখে শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। বিএনপি ও তার মিত্রদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচির বিপরীতে আওয়ামী লীগ গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে শান্তি সমাবেশ ও সতর্ক অবস্থানের কর্মসূচি পালন করে আসছে।

বিএনপির অভিযোগ, ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারাদেশে ২০ হাজারের ওপর নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু ঢাকাতেই ১০ হাজার নেতাকর্মী এখন কারাগারে বলে দলটির অভিযোগ। এসব পরিবারের সদস্যদের ১০ ডিসেম্সবরের মাবেশে হাজির করা হবে। এর সঙ্গে বিগত দিনে সারাদেশে ‘গুম-খুনের শিকার’ পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন।

বগুড়ায় সারজিস আলমের গাড়িবহরে ককটেল হামলা

ছবি

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপি মহাসচিবের আহ্বান

ছবি

বগুড়ায় এনসিপির সমন্বয় সভাস্থলে ককটেল হামলা, দুইটি বিস্ফোরণ

ছবি

নির্বাচনকেন্দ্রিক আইনশৃঙ্খলা: নির্বাচন আয়োজনের উপযুক্ত পরিবেশ আছে ইসি সচিব

ছবি

আওয়ামী লীগের আগে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়া উচিত : বুলু

ছবি

ফরিদপুরে সংঘর্ষের অভিযোগে মুখোমুখি এ কে আজাদ ও নায়াব ইউসুফ

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে উদ্যোগ নেবে বিএনপি: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আট দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব

নোয়াখালীর সদরের নেওয়াজ পুরে -বিএনপি জামাত সংঘর্ষ,আহত অন্তত ৪০ জন

নির্বাচন কমিশন ‘চার ভাগ’ হয়ে গেছে, গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকা ও দুর্নীতিমুক্ত ইসি না হলে ভোটে যাবে না এনসিপি

জুলাই সনদে সইয়ের পরও রাজপথে: ব্যাখ্যা জামায়াতের

জামায়াতের ‘পিআর আন্দোলন’ রাজনৈতিক প্রতারণা: নাহিদ ইসলাম

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ড: জনগণ ‘পরিকল্পিত’ বলে বিশ্বাস করছে বললেন ফখরুল

জুলাই সনদে আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না হওয়ায় সই করেনি এনসিপি

ছবি

সালাহউদ্দিন আহমদের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ নাহিদ ইসলাম, ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান এনসিপির

ছবি

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

ছবি

জুলাই সনদ দিয়ে রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের শুরু: ফখরুল

ছবি

জুলাই সনদ: বাস্তবায়নে দেরি হলে রাজনৈতিক সংকটের ঝুঁকি দেখছে জামায়াত

ছবি

কিছু দল ‘ঐকমত্যের’ নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে একটি ‘কাগজে’ সই করছে: নাহিদ ইসলাম

ছবি

জুলাই সনদে সই না করার সিদ্ধান্ত এনসিপির

ছবি

আমলাতন্ত্র চলবে না, প্রয়োজনে ডিসি অফিস ঘেরাও করবেন: মির্জা ফখরুল

জুলাই সনদ সইয়ে অনিশ্চয়তা: সিপিবি, এনসিপি, গণফোরামের আপত্তি

ছবি

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনুস

ছবি

সংশোধিত খসড়া না পেলে জুলাই সনদে সই করবে না বাম ধারার চার দল

ছবি

জাতির কাছে সব কিছু স্পষ্ট করে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আহ্বান এনসিপি’র সদস্য সচিব আখতার হোসেনের

ছবি

‘প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভারসাম্য নষ্ট হলে রাষ্ট্র ঝুঁকিতে পড়বে’ — প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের সতর্কবার্তা

ছবি

সৈয়দপুরে সিপিবির পথসভা অনুষ্ঠিত

ছবি

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তয়নে তারেক মুন্সীর গণসংযোগ

ছবি

তফসিলের আগেই গণভোটের দাবি ইসলামী আন্দোলনের

ছবি

জামায়াতের নভেম্বরে গণভোট দাবি ‘অন্য কোনো মাস্টারপ্ল্যান কি না’: প্রশ্ন রিজভীর

ছবি

আগামী নির্বাচনেই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে: মির্জা ফখরুল ইসলাম

ছবি

শাপলায় অনড় এনসিপি, ‘নিজস্ব পদ্ধতির’ কথা জানালো ইসি

‘ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ উপদেষ্টাদের নাম ও কণ্ঠ রেকর্ড থাকার দাবি, জনসমক্ষে প্রকাশের হুঁশিয়ারি জামায়াত নেতার

ছবি

জাতীয় লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অস্তিত্ব যাচাইয়ে পুনঃতদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

১৯ অক্টোবরের মধ্যে প্রতীক বাছাইয়ের নির্দেশ এনসিপিকে

ছবি

রাজনীতিতে আসছি সেবা করতে, ব্যবসা করতে না: মাসুদুজ্জামান

tab

ভিন্ন ব্যানারে মাঠে নামতে চাইছে বিএনপি

মহসীন ইসলাম টুটুল

সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ পন্ড হওয়ার পর একের পর এক হরতাল-অবরোধ কর্মসূচী পালন করে আসছে বিএনপি। এক মাস পর এখন আবার সমাবেশ কর্মসূচীর মাধ্যমে মাঠে নামতে চাইছে দলটি। তবে এবার সরাসরি নিজস্ব ব্যানারে না গিয়ে ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশ করতে চাইছে তারা।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ‘গুম-খুনের শিকার’ এবং দলটির কারাবন্দি নেতাকর্মীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। ১০ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে এই সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করতে যাচ্ছে দলটি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, ‘প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হতো। তবে এবারে সেই অধিকারকেও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সভা আয়োজন করার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। তাই বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি না থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত আর নির্যাতিত পরিবারের ব্যানারে কর্মসূচি হতে পারে।’

বিএনপির নবম দফা অবরোধের শেষ দিন গতকাল সোমবার অজ্ঞাত স্থান থেকে এক ভিডিও বার্তায় রুহুল কবির রিজভী আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার দশম দফা অবরোধ এবং রোববার মানববন্ধনের কর্মসূচী ঘোষনা করেন।

দলীয় সূত্র জানায়, ওই দিন ‘গুম হওয়াদের’ পরিবার সদস্যদের নিয়ে গঠিত ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনকেও এদিন কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেখানে বিএনপির পদধারী নেতাকর্মী উপস্থিত থাকতে না পারলেও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড, এমনকি ইউনিট পর্যায়ে আটক নেতাকর্মীর পরিবারের সদস্যদের হাজির করা হবে। তাতেও ‘১০ হাজারের ওপর উপস্থিতি’ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন বিএনপি নেতারা।

একই দিন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে সমাবেশ করবে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দলটি। অর্থাৎ একই দিনে রাজপথে আবার সমাবেশ করতে যাচ্ছে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল। নিজ নিজ কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে যাচ্ছে তারা।

এবিষয়ে গাজীপুরের বিএনপি নেতা শেখ মো. আলেক সংবাদকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও পুলিশ আমাদের বাড়ি ঘরে থাকতে দিচ্ছে না। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের পরিবেশ নাই। এই অবস্থায় গুম, খুন আর কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীর পরিবার নিয়ে রাজধানীসহ দেশের সকল জেলা শহরে সমাবেশ ও মানববন্ধন পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে শীর্ষ পর্যায় থেকে। দেশের এই ক্রান্তি কালে বসে থাকলেও চলবে না।’

বিএনপির আরেক নেতা সংবাদকে বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভিন্ন উপায়ে মাঠে থাকার কৌশল নিয়েছি আমরা। দেশের বর্তমান অবস্থায় মাঠের আন্দোলন চাঙ্গা করতে বাধ্য হয়েই আমাদের ভিন্ন কৌশল বেছে নিতে হচ্ছে।’

২৮ অক্টোবর হাসমাবেশ পÐ হওয়ার পর সভা-সমাবেশের মতো কর্মসূচি নিয়ে বিএনপিকে আর রাজপথে দেখা যায়নি। ওই দিন বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা, জ্বালাও-পোড়াও এবং পুলিশ হত্যার ঘটনা ঘটে। তবে আওয়ামী লীগের ‘শান্তি সমাবেশ’ শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

নির্বাচনকে সামনে রেখে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সরকার সমর্থক নেতাকর্মীরা সর্বাত্মক নির্বাচনী উৎসবে মেতে উঠেছেন। রাজপথে দলীয় সমাবেশ করতে হলে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি লাগবে বলে জানিয়েছে কমিশন। সেজন্য অনুমতি চেয়ে নির্বচন কমিশন (ইসি) বরাবর চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষমমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। যদিও ইসি জানিয়েছে তারা কোন চিঠি পায়নি।

বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে সম্ভাব্য সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ঠেকাতে রাজপথে সতর্ক পাহারা অব্যাহত রাখার জন্য দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মাঠ পর্যয়ের নেতাকর্মীরা। তাই রাজধানীর সড়ক ও প্রবেশমুখগুলোতে সতর্ক অবস্থান নেবে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মী। ঢাকার প্রবেশমুখ যাত্রাবাড়ী, উত্তরা ও বুড়িগঙ্গা নদীর দুই সেতুর মুখেও অবস্থান করবে আওয়ামী লীগ।

চলতি বছরের জুলাইয়ে বিএনপি ও তার মিত্ররা এক দফা দাবিতে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করলে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের কর্মসূচি পালন জোরদার করতে থাকে। নির্বাচন পর্যন্ত মাঠ নিজেদের দখলে রেখে শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। বিএনপি ও তার মিত্রদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচির বিপরীতে আওয়ামী লীগ গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে শান্তি সমাবেশ ও সতর্ক অবস্থানের কর্মসূচি পালন করে আসছে।

বিএনপির অভিযোগ, ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারাদেশে ২০ হাজারের ওপর নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু ঢাকাতেই ১০ হাজার নেতাকর্মী এখন কারাগারে বলে দলটির অভিযোগ। এসব পরিবারের সদস্যদের ১০ ডিসেম্সবরের মাবেশে হাজির করা হবে। এর সঙ্গে বিগত দিনে সারাদেশে ‘গুম-খুনের শিকার’ পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন।

back to top