নির্বাচন বর্জনের একদফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। চার দিনের এই কর্মসূচিতে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার গণসংযোগ এবং রোববার সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা অবরোধ পালন করবে দলটি।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক ভিডিও বার্তায় দলের বক্তব্য তুলে ধরেন। এরপর দলটির পক্ষে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রিজভী বলেন, আন্দোলনে চূড়ান্ত সফলতা পেতে হলে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গণতন্ত্রকামী সব মানুষকে ক্ষমতাসীনদের ‘অসহযোগিতা’ করা ছাড়া বিকল্প নেই। অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সরকারকে সহযোগিতা না করতে এবং ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন বর্জনে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ভিডিও বার্তায় রিজভী বলেন, ‘আমাদের একদফা হলো- সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন। এ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে আজ, কাল ও শনিবার লিফলেট বিতরণ করে গণসংযোগ করা হবে। রোববার সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা অবরোধ পালন করবে বিএনপি ও সমমনারা।’
রুহুল কবির রিজভী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নির্বাচনের নামে বানর খেলায় যাবেন না। ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচনে কারা এমপি হবেন সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে।’
এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস বিদ্যুৎ বিল দেয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের আদালতে হাজিরা দেয়া থেকেও বিরত থাকার আহ্বান জানান রিজভী। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক খাতের মাধ্যমে সরকার সবচেয়ে বেশি অর্থ লুটপাট করেছে। ফলে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কিনা সেটি ভাবুন।’
রিজভী আরও বলেন, ‘এই আন্দোলনে বিজয় লাভ করেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রেখে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারকে অসহযোগিতা অব্যাহত রাখলে গ্রেপ্তার-নির্যাতন-হয়রানি করার সাহস পাবে না।’
সরকারকে অসহযোহিতা করতে গিয়ে প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসও দেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী গণতান্ত্রিক সরকার অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেবে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষে যারাই হতাহত হয়েছে ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক সরকার তাদের অবদান দলীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে দেবে।’
এর আগে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের পর থেকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। সর্বশেষ সরকাররে পদত্যাগ ও নির্বাচন বাতিলের দাবিতে গত মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে তারা।
সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচন এবং তফসিল বাতিলের দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো ৪ দফায় ৫ দিন হরতাল এবং ১১ দফায় ২২ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। এসব কর্মসূচিতে সারাদেশে যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
নির্বাচন বর্জনের একদফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। চার দিনের এই কর্মসূচিতে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার গণসংযোগ এবং রোববার সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা অবরোধ পালন করবে দলটি।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক ভিডিও বার্তায় দলের বক্তব্য তুলে ধরেন। এরপর দলটির পক্ষে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রিজভী বলেন, আন্দোলনে চূড়ান্ত সফলতা পেতে হলে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গণতন্ত্রকামী সব মানুষকে ক্ষমতাসীনদের ‘অসহযোগিতা’ করা ছাড়া বিকল্প নেই। অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সরকারকে সহযোগিতা না করতে এবং ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন বর্জনে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ভিডিও বার্তায় রিজভী বলেন, ‘আমাদের একদফা হলো- সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন। এ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে আজ, কাল ও শনিবার লিফলেট বিতরণ করে গণসংযোগ করা হবে। রোববার সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা অবরোধ পালন করবে বিএনপি ও সমমনারা।’
রুহুল কবির রিজভী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নির্বাচনের নামে বানর খেলায় যাবেন না। ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচনে কারা এমপি হবেন সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে।’
এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস বিদ্যুৎ বিল দেয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের আদালতে হাজিরা দেয়া থেকেও বিরত থাকার আহ্বান জানান রিজভী। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক খাতের মাধ্যমে সরকার সবচেয়ে বেশি অর্থ লুটপাট করেছে। ফলে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কিনা সেটি ভাবুন।’
রিজভী আরও বলেন, ‘এই আন্দোলনে বিজয় লাভ করেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রেখে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারকে অসহযোগিতা অব্যাহত রাখলে গ্রেপ্তার-নির্যাতন-হয়রানি করার সাহস পাবে না।’
সরকারকে অসহযোহিতা করতে গিয়ে প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসও দেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী গণতান্ত্রিক সরকার অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেবে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষে যারাই হতাহত হয়েছে ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক সরকার তাদের অবদান দলীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে দেবে।’
এর আগে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের পর থেকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। সর্বশেষ সরকাররে পদত্যাগ ও নির্বাচন বাতিলের দাবিতে গত মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে তারা।
সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচন এবং তফসিল বাতিলের দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো ৪ দফায় ৫ দিন হরতাল এবং ১১ দফায় ২২ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। এসব কর্মসূচিতে সারাদেশে যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।